বাইবেল আমাদের শিক্ষা দেয় যে ঈশ্বর মানবতা সহ সবকিছু সৃষ্টি করেছেন এবং যদিও ঈশ্বর নিখুঁত এবং ভালো, কিন্তু মানুষ তা নয়।ভাল এবং মন্দের মধ্যে একটা বেছে নেবার ক্ষমতা প্রদান করে ঈশ্বর মানবজাতিকে একটি বিনামূল্যের নৈতিক দায়িত্ব দিয়েছেন। ঈশ্বরের পবিত্র বই, বাইবেল, হল ঈশ্বরের নিজের দৈববানী যা আমাদের বলে যে আমরা সকলেই পাপ করেছি এবং তাঁর মহিমার সামনে ছোট হয়ে পড়েছি।
যদি আমাকে কোন ঈশ্বরের আদেশের কথা বলতে হয় যা নিয়মের নৈতিক ভিত্তি, এমন একজন কে পাওয়া যাবে না যিনি ঈশ্বরের নিয়ম কানুন কোনভাবেই লঙ্ঘণ করেন নি। ঈশ্বরকে অবজ্ঞা করা হল পাপ এবং অন্যান্য মানুষেরা অন্যান্য ঈশ্বরের পূজার মাধ্যমে অথবা ভগবানের নামের অসদব্যবহার করে নিজের হৃদয় থেকে ঈশ্বরকে ভালোবাসতে পারছেন না। এই ঐশ্বরিক নির্দেশের পরে আসে নিজেদের বাবা-মা কে অসন্মান করার ধারা, হত্যা করা যা ঘৃণার সমান, ব্যাভিচার, চুরি করা, নিজেদের প্রতিবেশী দের বিরুদ্ধে মিথ্যা স্বাক্ষ্য বহন করা এবং আরেকজন মানুষের সম্পত্তি বা পরস্ত্রী এর দখল নেওয়া ইত্যাদি অসৎ ইচ্ছা এবং দূরভিসন্ধির দ্বারা পরিচালিত।
এই লঙ্ঘণের ফলে আমরা শাশ্বত ভাবে ঈশ্বরের সাথে আলাদা বা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছি। অন্যভাবে বলা যায় আমরা ওনার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছি কারণ তিনি পূণ্যবাণ হয়ে কখনই পাপীদের সাথে একই সাথে থাকতে পারেন না। পাপের ফলেই ঈশ্বরের ক্রোধের উৎপত্তি, এবং তার বিচার শুধু মাত্র এখানে নয়, শাশ্বতকাল ধরে চলমান। বাইবেলের বর্ণণা অনুসারে এটা হল এমন একটা জায়গা যেখানে আগুন নেভানো না হলে বৃহত্তর ভোগান্তির সম্ভাবণা থাকে।
এমতাবস্থায় বিভিন্ন বিষয়ে আশাহতের মত অবস্থা হয়, কিন্তু ভালো খবর হল যে ঈশ্বর মসীহা কে পাঠিয়ে দেন যিনি পাপ মুক্ত। তার কাজ হল ঈশ্বরের কাছে বিভিন্ন ব্যক্তির হয়ে মধ্যস্থতা করা, এবং তিনি যেভাবে এটা করবেন, তা হল নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে আমাদের জন্য বিনিময়ের মাধ্যমে ঈশ্বরের বিচার কে তুষ্ট করে।
তিনি শুধুমাত্র মানবজাতির জন্যই ঈশ্বরের কাছে শান্তি প্রার্থণার জন্য মারা যান নি, তিনি আবার মৃত্যুর থেকে জেগে উঠেছিলেন যারা ওনার উপর বিশ্বাস রেখেছেন তাদের জন্য। যখন আমরা মারা যাই, আমাদের শরীরের মৃত্যু হয় কিন্তু আমরা তাঁকেই উপস্থাপন করব এবং এটাই বাইবেলে শাশ্বত জীবন রূপে বর্ণনা করা আছে।
এই সমস্তই উন্মোচিত হয় যখন আমাদের হৃদয়ে যিশুর কাছে পাপস্বীকারের বিশ্বাসবোধ জন্মায় এবং যিসাস কে একজন পরিত্রাতা রূপে স্বীকার করি যিনি আমাদের সমস্ত পাপ দূর করে ঈশ্বরের কাছে শান্তির ছায়াতলে আমাদেরকে নিয়ে আসবেন। এর মধ্যে আরো অন্তর্ভুক্ত আছে তাঁকে এমনভাবে গ্রহণ করা যাতে আমরা ওনাকে মেনে চলতে পারি এবং ওনার সেবা করতে পারি।
যখন আমরা যিশুকে এইভাবে পাবো, তিনি তখন আমাদের একটি ছোট স্বর্গের মত স্থান প্রদান করেন যা সেই সমস্ত পূণ্যাত্মা ব্যক্তিদের ঈশ্বরের উপর বিশ্বাসের সাথে জীবন ধারনে সাহায্য করবে।
বিশ্বাসের এই আদান-প্রদানের পরে আসে রাইট অফ ওয়াটার ব্যাপ্টিজম বা জল সংক্রান্ত আচার অথবা নিমজ্জন যা জল সমাধির সাথে সমাদৃত। এই ক্রিয়ার তাৎপর্য হল দৈহিকভাবে ঈশ্বরের কাজকে সন্মান জানিয়ে নবজন্ম এবং এই ক্রিয়ার মাধ্যমে পাপ স্বীকার করার অর্থ হল মনের দিক থেকে বা আভ্যন্তরীন ভাবে আধ্যাত্মিক সত্যের আদান-প্রদানের দ্বারা নুতন জীবন লাভ।
যদিও সমস্ত পদ্ধতিটি একটি সরল আদান-প্রদান কে নির্দেশ করে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এর গভীর ব্যবহারিক দিক আছে। যিসাস আপনাকে আহ্বান করছেন ” যারা চিন্তিত, ভারাক্রান্ত, আমার কাছে আসো, আমি তোমাদের বিশ্রাম দেবো আমার বোঝা নিজের উপর নিয়ে আমার থেকে জানো কি জন্য আমি হৃদয়ের দিক থেকে নম্র ও বিনয়ী এবং তুমি নিজের হৃদয়ে বিশ্রাম বা শান্তি খুঁজে পাবে। আমার বোঝা সহজ এবং হালকা।
বন্ধু আপনি যদি আজকে নিজের হৃদয়ে তার আহ্বানের আওয়াজ শুনতে পান তাহলে নিজের হৃদয়কে শক্ত না করে আত্মার চালকের কাছে নিজেকে সমর্পন করুন। তিনি আপনাকে ভালোবাসেন এবং শান্তি দেবেন যা আপনার বোধশক্তিকে পরিবর্তিত করে এক আনাবিল আনন্দ প্রদান করবেন যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এর অর্থ এই নয় যে আপনার জীবনে কখনই ঝড় উঠবে না বা দূঃখ আসবে না, কিন্তু তিনি কোনভাবেই আমাদের ত্যাগ করবেন না।
সবশেষে আমি আপনাকে উৎসাহিত করব তাঁর কাছে প্রার্থণা করতে যাতে ওনাকে নিজের মধ্যে উন্মোচিত করতে পারেন, কারণ এটাই হল ওনার উপরে বিশ্বাসের সবচেয়ে সত্য ও বাস্তব পথ। যদি আপনি হৃদয়ের আন্তরিকতা ও সততার সাথে এটা করেন তাহলে আপনি হতাশ হবেন না, কারণ আমরা রূপকসজ্জিত হয়ে উৎসাহিত হই এটা পরীক্ষা করতে এবং দেখতে যে ঈশ্বর মহান। আমেন
অন্যান্য লিঙ্কসমূহ
www.4laws.com/laws/bengali.musselmani/default.html
যীশুর সাথে আমার সাক্ষ্য প্রদান