Archive for the ‘বাংলা-Bengali’ Category

পৌত্তলিকতা ও ইসলাম

Saturday, February 6th, 2021

নিম্নোক্ত নিবন্ধে আমি ইতোপূর্বে প্রাক ইসলামিক সময়ে পৌত্তলিকতা ও মূর্তিপূজার প্রভাব সম্পর্কে লিখেছি।

ইসলামে অর্ধচন্দ্রাকার চাঁদ ও নক্ষত্র

কাবা কি পবিত্র?

ইসলামে পৌত্তলিকতা সংশ্লিষ্ট অন্য একটি বিখ্যাত দলিল হল “শয়তানের আয়াত” যা মোহাম্মদ তেলওয়াত করেছিলেন সুরা ৫৩:১৯-২০ সময় যা কিনা প্রাক ইসলামিক যুগের ঐতিহাসিক উৎসে লিপিবদ্ধ আছে যেগুলো ইবনে সাদ এবং আল তাবারির মতো বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তির লেখা মোহাম্মদের জীবনীগ্রন্থ থেকে পাওয়া যায়৷

যাইহোক এই পর্বটি প্রতীয়মান হয় মক্কার বসবাসকারী মানুষের জন্য তাদের দেবী বা মহিলা উপাস্য হিসাবে আল্লাত, আল উজ্জা এবং মানত, যা কিনা আল্লাহর তিন কন্যা বলে বিবেচিত, তাদের বৈধতা এবং কার্যকরী মধ্যস্থতা হিসাবে স্বীকৃতি দেয় যা তার আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের ইসলাম ধর্মান্তরিত হতে সাহায্য করতে পারে কিন্তু পরে তা অপসারণ করা হয়েছিল শয়তানের প্ররোচনার আরোপ এনে যে জন্য জিব্রাইল মোহাম্মদকে তাড়িত করেছিল কুরআনের আয়াতের রদবদলের জন্য ২২:৫২,৫৩ যা পরবর্তীতে রূপক দেবতাদের বিতাড়িত করে ৫৩:২১,২২।

সংক্ষেপে আমার মনে হয় বর্ণনাগুলো এই আন্দোলনের সদৃশতা দেখায় যখন মুহাম্মদ সাময়িকভাবে মদিনার ইহুদিদের খুশি করার উদ্দেশ্যে উত্তরে জেরুজালেমের দিকে ফিরে কিন্তু মক্কার দিক পিছনে রেখে নামাজ পড়েছিলেন এবং পরে আবার নিজেকে প্রত্যাহার করেছিলেন যেখানে ইহুদিরা তার বার্তা প্রত্যাখ্যান করার সাথে সাথে তাদের মদীনা থেকে বিতাড়িত করেছিলেন।

পরিশেষে এই সামগ্রিক বিষয়টি ইসলামের কেন্দ্রীয় বিশ্বাসের মতবাদের সাথে সাংঘর্ষিক যেখানে “শাহাদা” ঘোষণার মাধ্যমে অভিন্ন সূত্রে আল্লাহর একত্ব এবং একজন নবী হিসাবে মোহাম্মদের বৈধতা দেয়া হয় সাথে সাথে “ইজমা” মতবাদ মোহাম্মদের ভুলের রক্ষাকবচ হিসাবে কাজ করে এক্ষেত্রে জিব্রাইলের নিখুঁত বর্ণনা ব্যর্থ হয় এবং আল্লাহর বাক্য মিথ্যা প্রতিপন্ন হয়। এটা সেরকমই সন্দেহজনক মনে হওয়া যুক্তিযুক্ত মোহাম্মদের অন্যান্য প্রকাশিত বাক্যের মতো যা সম্ভবত ব্যক্তিগত মিথ্যা উদ্ভাবন বা শয়তানের অনুপ্রেরণা।

উপসংহারে মুহাম্মাদকে প্রিয় ও সম্মানিত নবী হিসাবে এটি একটি বিব্রতকর বা অপ্রত্যাশিত প্রতিনিধিত্ব হতে পারে তবে এটিকে প্রয়োজন মাফিক বিবৃতিতে কৈফিয়তদানকারী মুসলিম দৃষ্টির বাইরেও গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করা উচিত যেন উপলক্ষ্যটি কেবল একটি পরীক্ষা বা সাহিত্যের সম্পূর্ণ অস্বীকার।

ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়-Bengali

হিন্দু সম্পদ

যিশু এবং ইসলাম

Paganism and Islam

একজন খুশি এবং সন্তুষ্ট মুসলিম

Sunday, January 31st, 2021

আমি ভিন্ন ধর্মীয় পটভূমির অনেক লোকের সাথে কথা বলেছি, বলতে গেলে তারা যা যা করছে তাই নিয়ে তারা খুশি এবং পরিপূর্ণ। তাই একজন লোক সন্তুষ্ট এবং আন্তরিক হতে পারে যদিও আদতে ভুল কারন বিভিন্ন ধর্ম সবগুলো সঠিক হতে পারে না যদিও তাদের মনে বা কাছে এটা সঠিক হতে পারে।

ব্যক্তিগতভাবে আমি মুসলিম হিসাবে খুশি হতে পারি না যেহেতু আমি সত্যিকার অর্থে কখনো জানি না যে আমি স্বর্গে যাবার মতো যথেষ্ট ভালো করেছি কিনা ভক্তিসহকারে তেলওয়াত করে, রোজ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, জাকাত দিয়ে, রমজান মাসে রোজা রেখে এবং সম্ভব হলে মক্কায় হজ্জ্ব করে। এটা কিছু মুসলমানদের জন্য কষ্টদায়ক হতে পারে যারা মনে করে শুধু জিহাদী শহিদই এই দুশ্চিন্তা সমাধানের একমাত্র পন্থা যা জীবনের প্রতি অস্বস্তিকর এবং প্রাণঘাতী দৃষ্টিভঙ্গী বলে মনে হয়।

বাইবেলে উল্লিখিত দৃশ্যানুযায়ী এই রকম স্বর্গীয় পরিত্রাণ ব্যক্তিগত যোগ্যতা এবং প্রার্থনার দ্বারা অর্জিত হয়না যেহেতু সেখানে পাপহীন কেউ নেই এবং এইজন্য আমি আমার নিজের ধার্মিকতাকে বিশ্বাস করার যোগ্য নই যেটা হয়ত আমার নিজের দৃষ্টিতে ভালো দেখায় কিন্তু ঈশ্বরের দৃষ্টিতে তা একজন কলুষিত ব্যক্তি। আমাদের প্রবল আক্রমণে আমরা ব্যাপক বা ক্ষয়শীলভাবে আমাদেরকে পরিমাপ করতে ব্যর্থ হই এবং যখন স্বর্গীয় তুলাদণ্ডের স্থানে স্থাপিত হই তখন পবিত্র সৃষ্টিকর্তার সাথে তুলনায় আমরা কিছুই না এই পর্যন্ত নিজেদেরকে বিশ্বাস এবং আমাদের কাজ বা কার্যকলাপের দ্বারা পরিত্রাণ আসেনা বরং এটা কেবল ব্যক্তি এবং খ্রিস্টের দৈব কাজের মাধ্যমে সদয় প্রতিগ্রহ হিসাবে গৃহীত হয়।

রোমীয় ৩:২৩

২৩ কেননা সকলেই পাপ করিয়াছে এবং ঈশ্বরের গৌরব-বিহীন হইয়াছে।

রোমীয় ৬:২৩

২৩ কেননা পাপের বেতন মৃত্যু; কিন্তু ঈশ্বরের অনুগ্রহ-দান আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টেতে অনন্ত জীবন।

মথি ১১:২৮-২৯

২৮ হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোক সকল, আমার নিকটে আইস, আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব। ২৯ আমার জোয়ালি আপন স্কন্ধে তুলিয়া লও, এবং আমার নিকটে শিক্ষা কর, কেননা আমি মৃদুশীল ও নম্রচিত্ত; তাহাতে তোমরা আপন আপন প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাইবে।

ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়-Bengali

হিন্দু সম্পদ

যিশু এবং ইসলাম

A happy and content Muslim

 

 

 

 

Permission granted by David Woods for excerpts taken from the article on “ Muhammad and the Messiah” in the Christian Research Journal Vol.35/No.5/2012

মুহাম্মাদ এবং অলৌকিকতা

Saturday, January 30th, 2021

কুরআন এই অর্থ প্রকাশ করে যে, একমাত্র অলৌকিক ঘটনা যা মুহাম্মাদ প্রদর্শন করেছিলেন তা ছিল কুরআন উদঘাটনের বর্ণনা করা, সুরা ২৯:৪৯-৫২, সুরা ১৭:৯০-৯৩ এবং আমি এখানে কুরআন সম্পর্কে আরও লিখেছি।

Is the Qur’an sacred?

যদি এইসব কোরআনিক ঘটনা সত্যি হত তাহলে এটা অন্যান্য স্বীকৃত ইসলামিক সাহিত্য যেমন সহীহ বুখারী হাদিস যেটা এমন অদ্ভুত চিন্ময়জগততত্ত্বে দাবী করে যে মুহাম্মাদ একটি বৃক্ষের স্কন্ধকে আয়েশ দিয়েছিলেন হাতের তালুর ঘষায় যা ক্রন্দনরত ছিল, একে অস্বীকার করে, ৪.৭৮৩, এবং মক্কার লোকদের একটি অলৌকিক ঘটনা দেখানো যে হেরা পর্বতের মধ্যে চাঁদকে দুটি খন্ডে ভাগ করে ফেলা, ৫.২০৮।

স্পষ্টত এইসব লোকাচার গল্পগুলো কল্পিত এবং মনগড়া এবং প্রথম শতাব্দীর বিভিন্ন ইহুদি জ্ঞানবাদীর লেখা নাগ হাম্মাদি পাঠ্যের প্রচারিত নিয়ম যা অনুরূপ অবিশ্বাস্য গল্পকে যা উপকথার কল্পনার উপর ভিত্তি করে আছে তাকে অন্তর্ভুক্ত করে। কিছু মুসলিম এই ছদ্মসাহিত্য ব্যবহার করতে এতদূর যায় যে একে কুরআনের অবস্থানকে একটি প্রমাণিত পাঠ্য প্রতিপন্ন করে যা যীশুর পীড়াকে ও তাঁর ভয়ংকর অথচ ঐশ্বর্যময় মৃত্যুকে অস্বীকার করে। আমি ক্রুশারোহন সম্পর্কে আরেকটি প্রবন্ধ লিখেছি যা এই ঐতিহাসিক ঘটনায় বাইবেলে উল্লিখিত সাক্ষীদের বিশুদ্ধতা প্রমাণ করে।

যীশু কি ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন? 

উপসংহারে নাগ হাম্মাদির বর্ণনা অনুসারে হাদীসটি খ্রিস্ট ও মুহম্মদের জীবনের বহু বছর পরে এসেছিল যা তাদের ব্যক্তিত্ব ও কার্যের পৌরাণিক বিবরণ সজ্জিত করে কাহিনী তৈরির জন্য পর্যাপ্ত সময় দেয়।

ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়-Bengali

হিন্দু সম্পদ

যিশু এবং ইসলাম

Muhammad and Miracles

 

 

 

Holman QuickSource Guide to Christian Apologetics, copyright 2006 by Doug Powell, ”Reprinted and used by permission.”

যীশু কি ঈশ্বর, যোহন ১৪:১৮

Sunday, January 24th, 2021

এটি একটি প্রতিবেদন যে আমি যোহন ১৪:১৮ তে যীশুর অবস্থানের বিষয়ে একটি ইমেইল দিয়েছিলাম।

 

আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই নির্দিষ্ট বিষয়ে আপনাকে উত্তর দিতে যাচ্ছিলাম যতক্ষণ না পর্যন্ত আমি একটি প্রবন্ধ খুঁজে পাই যেটা একই মূলনীতিকে আচ্ছাদন করে যা আমি ব্যবহার করেছি।

www.gotquestions.org/Father-greater-I.html

carm.org/john-1428-father-greater-i

ঠিক এর পূর্বে ৯-১১ বাক্যে পিতার সাথে যীশু তাঁর ঐক্যের সম্পর্কস্থাপন করে বলেছেন, “যে আমাকে দেখেছে সে পিতাকে দেখেছে।” এটা এমন একটা কিছু যা একজন ধর্মভীরু ব্যক্তি কখনোই ঈশ্বরের সাথে তুলনায় নিজের সম্পর্কে বলবে না, এমনকি একজন ভাববাদী বা একজন দেবদূত কখনো এভাবে কথা বলবে না। সত্যি বলতে একমাত্র ঈশ্বরপুত্র এমন বাগবাহুল্য ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও যদি আপনি ইব্রীয় বই পড়েন, বিশেষ করে প্রথম ৩টি অধ্যায়, আপনি এমন ভাষা দেখবেন যা দেবদূতগণ যীশুর উপাসনায় অর্পণ করছেন তাদের কাছে তাঁর স্বর্গীয় প্রকৃতি সর্বোৎকৃষ্ট ও শ্রেয় করতে এবং এমনকি ইব্রীয় ১:৮-১০ এ পিতা যীশুকে ঈশ্বর এবং প্রভু বলেন এবং একইভাবে ইব্রীয় ১:৩, যেখানে এটা বলা হয়েছে যে যীশু পিতার একজন যথাযথ প্রতিরূপ।

যাইহোক, আপনি যদি আগ্রহী হন, আমি আমার ব্লগে নিচের তালিকা অনুযায়ী অন্যান্য প্রবন্ধ লিখেছি এই সম্পর্কে।

যীশু কি ঐশ্বরিক?-Bengali

jesusandjews.com/wordpress/2009/10/16/the-divinity-of-jesus/ 

পরিশেষে, চেরি বাছাইয়ের মত বাইবেলের কিছু প্রসঙ্গের বাইরে বাছাই করা বাক্যসমূহ নিতে পারে, যেমন যোহন ১৪:২৮, অথচ সমগ্র ধর্মশাস্ত্রকে বিবেচনা করতে এটা শ্রেষ্ঠ যখন যীশুর দেবত্ব একটি ঘটনার পরিস্থিতির জন্য তৈরী হয় বা অস্বীকৃত হয়। এছাড়াও, একজন ব্যক্তির ঈশ্বরের সমগ্র উপদেশের প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিৎ এটা অনুধাবন করতে যে, সকল সত্যই ঈশ্বরের, উৎসের প্রয়োজন নেই, এমনকি যেটা বাইবেলে উল্লিখিত বিষয়ের অতিরিক্ত বিষয়কে যেমন দর্শন এবং বিজ্ঞানকে অন্তর্ভুক্ত করে।

তদুপরি কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বাইবেল বোঝা কঠিন কিন্তু বিকৃত করা সহজ, ২ পিটার ৩:১৬, এবং তাই যিহোবার সাক্ষী ও ইসলামের মতো ধর্মের পক্ষে এই সুযোগটি থাকে যে তারা কথিত বিভেদগুলোকে পুঁজি করতে পারে নিজেদের জন্য অনুসারী অর্জনে এবং এই বিচ্ছিন্ন শাস্ত্রীয় রেফারেন্সগুলি ব্যবহার করে অর্থোডক্স খ্রিস্টান ধর্মকে খণ্ডন করার সুযোগ পায়।

যেখানে বাইবেলের স্বীকারোক্তিতে বিশ্বাস করা হয় যে ঈশ্বর প্রকৃতি তিনটি ঐশ্বরিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত; পিতা ঈশ্বর, পুত্র ঈশ্বর, এবং পবিত্র আত্মা ঈশ্বর, যা কিনা এক ঈশ্বরের নিখুঁত একত্বে একত্রে সংযুক্ত। এই সরল সংজ্ঞাটি ঈশ্বরের প্রকৃতির ব্যাপারে বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গী দেয় না এবং সর্বোপরি এটা ত্রয়ী এবং তিন ব্যক্তির মধ্যে ঈশ্বরের একত্বের একটা টুকরো।

অবশেষে আরেকটি চ্যালেঞ্জিং বিষয় বুঝতে হবে যে খ্রিস্টের অবতারতত্ত্ব, যা কিনা যীশুকে মানুষ এবং ঐশ্বরিক এই দুই প্রকৃতিতে চিত্রিত করে। এটা শুধুমাত্র একটি/অথবা সমীকরণ নয় বরং উত্তর হলো দুটো/উভয়ই। রহস্যময় বটে কিন্তু বিপরীতমুখী নয়।

এটি এমন আশ্চর্যজনক বিষয় যার দ্বারা আপনার মনকে এক ধরনের অনন্য এবং অপরিবর্তনীয় ঘটনা হিসাবে ঘিরে রাখা কঠিন, তবে এটি একটি প্রয়োজন, মুক্তির আলোতে, এমন এক জিনিস হিসাবে যা কেবলমাত্র ঈশ্বর স্বয়ং, দেহরূপে আমাদের পক্ষে আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত এবং সুপারিশ করার ক্ষেত্রে পিতা ঈশ্বরের সামনে বিশ্বস্ত মহাযাজক হিসাবে নিখুঁত প্রতিনিধিত্ব করতে পারতেন, ইব্রীয় ২:১৪-১৮, ফিলিপীয় ২:৫-১১, ইব্রীয় ৭:২৪-২৬

আমার বন্ধু আমি আশা করি আপনি আমার বিশ্বাসকে দুর্বল করার জন্য বা আপনার অবিশ্বাসকে জোরদার করার জন্য এই শাস্ত্রটিকে অকাট্য দলিল হিসাবে দেখবেন না। আপনি যদি বাইবেলের খ্রিস্টকে গ্রহণ করার জন্য সত্যই উন্মুক্ত এবং আন্তরিক হন তবে আমি আপনার উদ্বেগ, সন্দেহ এবং প্রশ্নগুলোর সমাধান করতে পারলে আরও বেশি খুশি হব।

আমার আকাঙ্ক্ষা হল আপনি এই প্রতিক্রিয়াটি কমপক্ষে যীশু খ্রীষ্টকে প্রভু ও ত্রাণকর্তা হিসাবে গ্রহণের নিমিত্তে আপনার অবস্থানের বিষয় পুনর্বিবেচনা করার পক্ষে যথেষ্ট জোর হিসাবে খুঁজে পাবেন,  আমেন।

ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়-Bengali

হিন্দু সম্পদ

যিশু এবং ইসলাম

Is Jesus God John 14:28

যীশু, ইসা, ঈসা, যেশু এবং যেশুয়ার দর্শন এবং স্বপ্ন

Saturday, January 16th, 2021

সম্ভাষণ, মুসলিম দেশে বাসকারী আমার একজন বন্ধু আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আমি যাদের চিনি তাদের সাথে যীশুর দর্শন এবং স্বপ্ন বিষয়ে আমি অংশী হই কি না। শুরুতে আমার একটি স্বপ্ন ছিল ঈশ্বরের বিষয়ে যখন আমি শিশু ছিলাম এবং আমি সেই স্বপ্নকে মিথ্যা ভাবিনি কারণ তিঁনি একটি উজ্জ্বল আলো হয়ে আমার কাছে প্রতীয়মান হয়েছিলেন যেটা বাইবেলে উল্লিখিত ঈশ্বরের স্বর্গীয় জ্যোতির বর্ণনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যা ঐ সময়ে আমার কাছে অজানা ছিল। এটা আমার উপরে একটা গভীর ছাপ রেখে গিয়েছিল যা আমি আজও মনে করতে পারি এবং যদিও তিঁনি আমাকে কিছুই বলেননি তবু এটা তাঁর উপস্থিতির অত্যুজ্জ্বলতা ছিল যা আমাকে জানিয়েছিল যে তিঁনি আরাধনার যোগ্য এবং যার ফলে তাঁর কাছে আমি অবনত হই।

এছাড়াও আমার কিছু ইহুদি বন্ধু আছে যাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে যীশুকে নিয়ে। একজন ভদ্রমহিলা আমার ভালো বন্ধু ছিলেন এবং তিনি খ্রীস্টধর্মের খুব বিরোধী কারণ তার বিবেচনায় সব ধর্মই যুক্তিসিদ্ধ এবং বৈধ। তিনি কখনোই আমার কথা গভীরভাবে নেননি এবং এমনকি একসময় তিনি মন্তব্য করেছিলেন যে তার বাবা খ্রীষ্টানদের সাথে ভালো তর্ক করতেন এবং কথোপকথন সেখানেই ছিল শেষ। যাইহোক, মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তে তিনি হাসপাতালে ছিলেন এবং দাবী করেছিলেন যে তিনি যীশুর কাছ থেকে বিভিন্ন দৈবানুগ্রহ পেয়েছিলেন। এখন, যীশুর সাথে ঘনিষ্ঠ সাক্ষাৎ একজন ইহুদির জন্য স্বীকার করা একটি চমকপ্রদ এবং অলৌকিক ঘটনা এবং আমি বিশ্বাস করি যেটা তার উপলব্ধিকে গভীরভাবে পরিবর্তন করেছিল যীশু সম্পর্কে যে তিঁনিই মসীহ।

আরেকটি ঘটনা হচ্ছে একজন দক্ষিণ আফ্রিকান ইহুদির যিনি একটি চার্চে আমার একজন অন্যতম পালক ছিলেন যেখানে আমি অংশগ্রহণ করতাম। তিনিও মসীহ হিসেবে যীশুর ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন অথচ জেরুজালেমে ভ্রমণের সময় তার বিভিন্ন প্রখর দর্শন ছিল তাঁর ব্যাপারে। তিনি তার অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি বই লিখেছেন যার নাম “জেরুজালেমে আমার লড়াই” (My Jerusalem Encounter)। পরিশেষে, কিছু আকর্ষণীয় এবং বিস্ময়কর ঘটনা বা আত্মসাক্ষ্য এসেছে আমার কিছু মুসলিম বন্ধুদের কাছ থেকে যারা যীশুকে শুধু নবী হিসেবে পবিত্র জ্ঞান করেনা বরং যীশুকে ঈশ্বর হিসেবে মেনে নিয়ে তাদের বিশ্বাস স্থাপন করেছে।

প্রথমবারের মতো কারো সাথে আমি এরকম কথা বলেছিলাম যখন আমি মধ্যপ্রাচ্যের একজন লোককে আন্তর্জাতিক গীর্জা সম্মেলনে প্রত্যক্ষ করেছিলাম, পরে যার সাথে আমার এক মুদি দোকানে ধাক্কা লাগে। আমি এই ইরানি লোকটির সম্মুখীন হয়েছিলাম কিভাবে তিনি বিশ্বাসী হলেন এবং তিনি বলেছিলেন যীশুকে নিয়ে তার দর্শন ও স্বপ্ন আছে।  আরেকজন লোককে আমি চিনি যে কিনা একজন ফিলিস্তিনি বন্ধু যার সাথে আমার ইসরায়েলে দেখা হয়েছিল, তিনি বলেছিলেন, যদিও তিনি মুসলিম ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছেন, যাইহোক তিনি যীশুর বিশ্বাসী হয়েছেন। পরে তার বিশ্বাসের জন্য তাকে কারাগারে বন্দী করা হয়েছিল এবং সেই সময় তার সামনে যীশুর আবির্ভাব হল এবং পুরো কারাগার আলোকিত হলো।

আমি আরও যাদের সাথে দেখা করেছি তাদের মধ্যে পাকিস্তানের একজন মহিলা আছেন যিনি বলেছিলেন যে কিশোরী মেয়ে হিসাবে যীশু স্বপ্নে তাঁর কাছে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং তাকে জল পান করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং সেই মুহূর্তে আমি উনাকে ব্যাখ্যা করেছিলাম বাইবেলের পাঠ্য অনুসারে যে যীশু জীবিত জল স্বরূপ যিনি জীবন দেন।

ইরানী আর একজন মহিলা আমাকে ইমেইল প্রেরণ করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে ফজরের নামাজ শেষ করে তিনি যখন বিছানায় ফিরে গেলেন তখন কেবল জাগ্রত হওয়ার জন্য সবুজ আলো ঘরের মধ্যে একজন মানুষের কণ্ঠে তাকে বলেছিল,  “উঠে দাঁড়াও!  দেখো, আমি মসীহ।” জবাবে তিনি দাবি করেছিলেন এতই ভয় পেয়েছিলেন যে বিছানা থেকে উঠতে পারেননি এবং চাদরের নিচে ছিলেন কারন তিনি হিজাব পরিহিত ছিলেন না।

সমাপ্তিতে আমি এই সমস্ত গল্পের কিছু বিবরণ ভুলে গিয়েছি এবং আমি যদি এগুলো ঘটার সময় সংরক্ষণ করতে পারতাম! তবে তবুও আমি এই ঘটনাগুলোর সম্পর্কে আরও বেশি করে শুনছি যা বাস্তব এবং জীবনের এমন এক বিন্দুতে পরিবর্তিত হয়েছে যে এই পুরুষ এবং মহিলারা তাদের পরিবার এবং সমাজ দ্বারা একঘরে হতে ইচ্ছুক ছিলেন যা তাদের কারও জন্য মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারত।

মানুষ বিনা কারনে তাদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করেন না, এবং আমি বিশ্বাস করি যে এই দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে একটির জন্য এতই শক্তিশালী এবং গতিশীল প্রভাব ফেলতে পেরেছিল যা তাদের জাতিগত বিশ্বাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব, মূসা এবং মুহম্মদ দ্বারা আসেনি, এটা তাদের জন্য একটা আহবান ছিল, ব্যক্তি এবং কাজের নিরিখে যীশুকে পুনরায় ভাবতে, যা ভাবতে তাদের শেখানো হয়েছে এবং তাঁকে যেভাবে বিশ্বাস করতে তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, সেটাকে চ্যালেঞ্জ করে।

সম্ভবত আপনি এই প্রতিবেদনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন, তবে আমি কেবল অনুরোধ করব আপনি ঈশ্বর বা যীশুকে বলুন, ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে আপনার কাছে পরিচিত করতে যেন আপনি তাঁকে প্রভু ও ত্রাণকর্তা হিসাবে বিশ্বাস করতে ও ভরসা করতে পারেন।

শেষ অবধি, আমি ৭০০ ক্লাবে কয়েকটি ভিডিও দেখেছি যা বিশ্বাসে আগত কয়েকজন মুসলিমদের সম্পর্কে আলোকপাত করেছে।

ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়-Bengali

হিন্দু সম্পদ

ইসলাম এবং যীশু

Visions and Dreams of Jesus, Isa, Esa, Yeshu, Yeshua

যীশু খ্রিস্টের দেবত্ব ও ইসলাম

Sunday, January 10th, 2021

যখন যীশু খ্রিস্টের দেবত্ব বিবেচনা করা হয়, একজন ব্যক্তির অবশ্যই প্রথমে স্থির করতে হবে বাইবেল একটি বিশ্বাসযোগ্য সংস্থান কি না। তাই আমি নিউ টেস্টামেন্টের বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে একটি প্রবন্ধ লিখেছি যা মুসলিম পরিপ্রেক্ষিতের উপর কেন্দ্র করে।

বাইবেল কি রদবদল করা হয়েছে?-Bengali

যীশুর ঐশ্বরিকত্ব সম্পৃক্ত এই পুরো ব্যাপারে এটা বহুল নয় যা বাইবেলে বলা হয়েছে যেটা এলে বিতর্কিত করে কিন্তু বরং কুরআনের ৫:১১৬ এর ত্রুটিপূর্ণ ধারণা ইঙ্গিত দেয় খ্রিস্টানদের বিশ্বাস হচ্ছে ত্রয়ী মতবাদ অবস্থানে আল্লাহ, যীশু এবং মরিয়ম, যেটাকে কখনো না বাইবেল, না গোঁড়া খ্রিস্টধর্ম সমর্থন করেছিল। বরং ত্রয়ী মতবাদ সম্বন্ধীয় সূত্র সবসময় হচ্ছে পিতা, পুত্র এবং পবিত্র আত্মা। যদি আপনি রূপক অলংকারযুক্ত বা বাইবেলে উল্লিখিত শব্দসমূহ “পিতা” এবং “পুত্র” এর প্রতীকী ব্যবহার বুঝতে আগ্রহী হন, সেক্ষেত্রে আমি আরেকটি প্রবন্ধ লিখেছি যেটা এইসব সম্বন্ধযুক্ত ধারণাগুলোকে ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করবে।

যীশু কি ঈশ্বরের পুত্র?-Bengali

যাইহোক, যদি বাইবেল অনুপ্রেরণীয় পাঠ্য হিসাবে প্রকৃত সত্যবাদী হয়, তাহলে যীশুর বাক্য এবং সুসমাচার তাঁর ঐশ্বরিকত্ব বিচারে সহযোগিতা করে।  প্রথমত এটা এত সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় না, অনিয়মিত পর্যবেক্ষক বা সন্দেহবাদীদের জন্য মসীহ হিসেবে তাঁর অবস্থান যা মুসলিমরা নির্দ্বিধায় গ্রহণ করতে পারে। আপাত বিরোধী হলেও সত্য, যীশু সরাসরি বহির্ভাগে আসেননি এবং তাঁর ঐশ্বরিক মসীহ পদমর্যাদা সম্বন্ধে বলেননি যদিও তিনি সেই চরিত্রের যোগ্য ছিলেন, মথি ১১:২-৬।

আবার তিনি যতদূর পর্যন্ত না অন্যদের অনুগ্রহ লাভ করার চেষ্টা প্রতিহত হয় এবং তাঁকে রাজা করতে চায় ততদূর পর্যন্ত গিয়েছিলেন, যোহন ৬:১৪-১৫ এবং এছাড়াও তাঁর রাজ্য পৃথিবীর বা পৃথিবীর পদ্ধতির নয় এটা বলার মাধ্যমে তিঁনি পার্থিব রাজপদের এমন ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, যোহন ১৮:৩৬-৩৭। এটা ছিল যতক্ষণ না শত্রুদের সামনে তাঁর বিচার হয় এবং তিঁনি সুস্পষ্টভাবে কিন্তু অনিচ্ছাপূর্বক তাদের কাছে সত্য বলে স্বীকার করেন যে তিঁনি খ্রিস্ট বা মসীহ, লূক ২২:৬৬-৭১। তাছাড়াও যদিও ব্যাপিস্ট যোহন প্রভুর পথ তৈরী করতে এসেছিলেন, তবে যীশু নিজে ধর্ম প্রচারনায় যাননি শুধু তাঁর ঐশ্বরিক পদমর্যাদা দাঁড় করাতে বরং এই বিষয়ে তাঁর প্রাথমিক প্রচারকার্য ছিল বিনীতভাবে সেবা করা, সেবিত হওয়া নয়, মথি ২০:২৮। এটা শুধু নিস্তব্ধতার সাথে একটি একান্ত বাক্যালাপ যে, তিঁনি তাঁর সত্য পরিচয় সম্বন্ধে তাঁর বিশ্বস্ত শিষ্যদের কাছে নিজেকে প্রকাশিত করেছিলেন এবং এমনকি তিনি সুস্পষ্টভাবে এটা ফাঁস করতে অনিচ্ছুক ছিলেন কিন্তু বরং তিনি একটি উন্মুক্ত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন যে, কাকে তারা যীশু মনে করে, তবে এটা চাননি যে, তারা শুধু মানুষের ঐশ্বরিক বিধানের উপর নির্ভর করে বরং ঈশ্বরের ঐশ্বরিক কর্তৃত্বে পিতা এবং পবিত্র আত্মা এই সত্য প্রকাশ করে, মথি ১৬:১৩-২০, যোহন ৬:৪৪, যোহন ১৬:১৩। সবশেষে তিঁনি তাদের বলেন যে এগুলো যেন তারা সেইমূহূর্তে কাউকে না বলে।

এটা আপনার কাছে অদ্ভুত শোনাতে পারে যে, কিভাবে যীশু তাঁর স্বীকৃত শত্রুদের থেকে এটা লুকানোর জন্য যতক্ষণ পর্যন্ত না পৃথিবীতে তাঁর সময় পূর্ণ হয়, বিশেষভাবে, তিঁনি যা বলেছেন তাদের কাছে সেসবের কোন পার্থক্য নেই, যাইহোক এটা তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল যেহেতু তারা তাঁর সাক্ষ্য প্রত্যাখ্যান করেছিল কারণ সেখানে সত্যের সংস্পর্শ ছাড়া তাঁর ভুল এবং দোষ খুঁজে পেয়েছিল।

সুতরাং, এই প্রকাশিত জ্ঞান কেবল তাঁর সত্য বা আসল শিষ্যদের জন্য সংরক্ষিত ছিল কারণ এটি

অবিশ্বাসীদের সম্যক দৃষ্টি থেকে লুকানো ছিল যেহেতু পবিত্র আত্মা ঈশ্বর তাদের অন্ধ ও বধির করে দিয়েছিলেন, যেখানে বিশ্বাসীদের চোখ ও কান খুলে দেয়া হয়েছে সত্য দেখার ও শোনার জন্য কারন তিঁনি অশুচি কুকুর ও শুকরের সম্মুখে তাঁর মুক্তা রাখা এড়িয়ে গিয়েছিলেন।

অপ্রত্যক্ষভাবে এই পুরো বিষয়টি বাইবেলের সত্যকে দৃঢ়তার সাথে প্রমাণ করে যে খ্রিস্টানরা যদি সত্যই ঈসা মশীহের ঈশ্বরত্বকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ধর্মগ্রন্থগুলিতে হেরফের করতে চেয়েছিল তবে তারা ছদ্মবেশী জ্ঞানীয় পুস্তকের মতো আরও ভালো কিছু লিখতে পারত। এখন আসুন আমরা দেখি এবং বুঝতে চেষ্টা করি  যীশু ও তাঁর ব্যক্তিগত শিষ্যদের বাক্য ও কাজকর্মের ভিত্তিতে তাঁর ঐশ্বরিক স্বরূপ প্রদর্শন করার ক্ষেত্রে সুসমাচারের বিবরণগুলো যীশুর প্রকৃতি সম্পর্কে সত্যই কী বলে।

শুরু করার ক্ষেত্রে হিব্রু শাস্ত্র বা তাওরাতে সম্বোধন করতে গিয়ে যীশু নিজের জন্য ঈশ্বরের ব্যক্তিগত নাম প্রয়োগ করেছেন যা “আমি”, যোহন ৮:৫৮

তিঁনি নিজেকে সমগ্র মানবজাতির বিচারক হিসাবে উল্লেখ করেছেন, মথি ২৫:৩১-৪৬

কাউকে তিরস্কার না করেও তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নির্দ্বিধায় আরাধনা প্রাপ্ত হন।

যোহন ৯:৩৮

৩৮ সে কহিল, বিশ্বাস করিতেছি, প্রভু; আর সে তাহাকে প্রণাম করিল।

মথি ১৪:৩৩

৩৩ আর যাঁহারা নৌকায় ছিলেন, তাঁহারা আসিয়া তাঁহাকে প্রণাম করিয়া কহিলেন, সত্যই আপনি ঈশ্বরের পুত্র।

মথি ২৮:৯-১০

৯ আর দেখ, যীশু তাহাদের সম্মুখবর্তী হইলেন, কহিলেন, তোমাদের মঙ্গল হউক; ১০ তখন তাঁহারা নিকটে আসিয়া তাঁহার চরণ ধরিলেন ও তাঁহাকে প্রণাম করিলেন। তখন যীশু তাঁহাদিগকে কহিলেন, ভয় করিও না; তোমরা যাও, আমার ভ্রাতৃগণকে সংবাদ দেও, যেন তাহারা গালীলে যায়; সেখানে তাহারা আমাকে দেখিতে পাইবে।

মথি ২৮:১৬-২০

১৬ পরে একাদশ শিষ্য গালীলে যীশুর নিরূপিত পর্বতে গমন করিলেন, ১৭ আর তাঁহাকে দেখিয়া প্রণাম করিলেন; কিন্তু কেহ কেহ সন্দেহ করিলেন। ১৮ তখন যীশু নিকটে আসিয়া তাঁহাদের সহিত কথা কহিলেন, বলিলেন, স্বর্গে ও পৃথিবীতে সমস্ত কর্তৃত্ব আমাকে দত্ত হইয়াছে। ১৯ অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর; ২০ আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি, সেই সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও। আর দেখ, আমিই যুগান্ত পর্যন্ত প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।

তিঁনি দাবী করেছেন যে তাঁর পাপ ক্ষমা করার ক্ষমতা আছে, যা উল্লেখ আছে মার্ক ২:১-১২ ও লুক ৭:৪০-৫০।

তিঁনি তাঁর পূর্ব অস্তিত্বতা ঘোষণা এবং পৃথিবী শুরুর আগেই তাঁর গৌরব উল্লেখ করেছিলেন।

যোহন ১৬:২৮

২৮ আমি পিতা হইতে বাহির হইয়াছি, এবং জগতে আসিয়াছি; আবার জগৎ পরিত্যাগ করিতেছি, এবং পিতার নিকটে যাইতেছি।

যোহন ১৭:৫

৫ আর এক্ষণে, হে পিতঃ, জগৎ হইবার পূর্বে তোমার কাছে আমার যে মহিমা ছিল, তুমি সেই মহিমায় তোমার নিজের কাছে আমাকে মহিমান্বিত কর।

যীশু নিজেকে বিশ্রামবারের প্রভু এবং রাজা দায়ুদের প্রভু হিসাবে সম্বোধন করেছিলেন, উল্লেখ আছে মার্ক ২:২৮ ও মথি ২২:৪১-৪৫।

অনেক ক্ষেত্রেই  প্রভুতত্ত্বের এই ধারণা হিব্রাইক মানসিকতার মধ্যে দেবতা বা দেবত্বের ধারণা বহন করে যেখানে বাইবেল জুড়ে প্রায়শই প্রভু এবং ঈশ্বর  প্রতিশব্দে এবং আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয় যা গ্রীক সেপুয়াজিন্টের পাশাপাশি হিব্রু তানাখের মধ্যেও দেখা যায়৷ এছাড়াও, গোঁড়া ইহুদিরা যখন শাস্ত্রগুলো পড়ে, তখন তারা ঈশ্বরের কথা উল্লেখ করার সময় বিকল্প শব্দ হিসাবে আদোনাই(প্রভু) ব্যবহার করে।

মার্ক ২:২৮

২৮ সুতরাং মনুষ্যপুত্র বিশ্রামবারেরও কর্তা।

মথি ২২:৪১-৪৫

৪১ আর ফরীশীরা একত্র হইলে যীশু তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন, ৪২ খ্রীষ্টের বিষয়ে তোমাদের কেমন বোধ হয়, তিনি কাহার সন্তান? তাহারা বলিল, দায়ূদের। ৪৩ তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, তবে দায়ূদ কি প্রকারে আত্মার আবেশে তাঁহাকে প্রভু বলেন? তিনি বলেন- ৪৪ ‘‘সদাপ্রভু আমার প্রভুকে কহিলেন, তুমি আমার দক্ষিণে বস, যাবৎ আমি তোমার শত্রুগণকে তোমার পদতলে না রাখি।” ৪৫ অতএব দায়ূদ যখন তাঁহাকে প্রভু বলেন, তখন তিনি কি প্রকারে তাঁহার সন্তান?

মথি ৭:২১-২৩

২১ যাহারা আমাকে হে প্রভু, হে প্রভু বলে, তাহারা সকলেই যে স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারিবে, এমন নয়, কিন্তু যে ব্যক্তি আমার স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা পালন করে, সেই পারিবে। ২২ সেই দিন অনেকে আমাকে বলিবে, হে প্রভু, হে প্রভু, আপনার নামেই আমরা কি ভাববাণী বলি নাই? আপনার নামেই কি ভূত ছাড়াই নাই? আপনার নামেই কি অনেক পরাক্রম-কার্য করি নাই? ২৩ তখন আমি তাহাদিগকে স্পষ্টই বলিব, আমি কখনও তোমাদিগকে জানি নাই; হে অধর্মাচারীরা, আমার নিকট হইতে দূর হও।

যোহন ১৩:১৩

১৩ তোমরা আমাকে গুরু ও প্রভু বলিয়া সম্বোধন করিয়া থাক; আর তাহা ভালই বল, কেননা আমি সেই।

যোহন প্রথম অধ্যায় অনুসারে, বিশ্ব সৃষ্টির সময়ে তাঁর গৌরবময় পূর্ব অস্তিত্বের দরুন যীশুকে ঈশ্বর হিসাবে উল্লেখ করা হয়।

যদিও কখনও কখনও যীশু তাঁর প্রকাশকে সঙ্কোচন করেছিলেন তবু শূন্যস্থানের মধ্যে কাজ করেননি এবং তাঁর শত্রুদের থেকে সম্পূর্ণভাবে নিজের পরিচয় লুকাননি যারা তাঁকে মাঝে মাঝে পিছু হটানোর জন্য আলোড়িত করেছিল এবং প্রতিবাদ করেছিল নিজেকে ঈশ্বরের সাথে ঐশ্বরিক সমতার হিসাবে নিন্দাসূচক দাবীর।

অবশেষে, শাস্ত্র অনুসারে, যীশু একজন নবী বা একজন মানুষের চেয়ে অনেক বেশি ছিলেন, যেখানে তিঁনি মানুষিক সীমাবদ্ধতার বাইরে যেতে পেরেছিলেন, যা তিঁনি এবং তাঁর সম্পর্কে অন্যান্যরা যা যা বলেছিলেন তা থেকে বিবেচনা করে বলা যায়৷

সুতরাং সবশেষে আপনার কাছে আমার প্রশ্নটি হল বাইবেল যদি নির্ভরযোগ্য হয় তবে আপনাকে অবশ্যই এই পদগুলোকে যীশুর ঐশ্বরিক সত্যতা হিসাবে বিবেচনা করতে হবে এবং এটিকে খারিজ করা উচিত নয় এই কারনে যে এটি আপনার ধর্মীয় বিশ্বদর্শনের সাথে খাপ খায় না এবং ভুলভাবে অস্বীকার করা যে বাইবেল এমনটি দাবী করে। অন্যথায় আপনিও নিজেকে, যীশুর সময়ের ধর্মীয় গোঁড়ামির জন্য দায়ী দোষগুলোর সাথে, পার্থক্য করতে পারবেন না যারা যীশুকে নিজেদের মশীহ হিসাবে অস্বীকার করেছিলেন এবং বাইবেলের সাক্ষ্যকে বিশ্বাস ও ভরসা করা এবং ঐশ্বরিক বাক্যে যীশুর আত্মসাক্ষ্য বাদ দিয়ে কেবল একজন মানব মশীহ হিসাবে মনে করেছিল।

 

ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়-Bengali

হিন্দু সম্পদ

ইসলাম এবং যীশু

The Divinity of Jesus and Islam

যীশু খ্রিস্টের ক্রুশবিদ্ধকরণ এবং ইসলাম

Friday, January 1st, 2021

যখন যীশুর মৃত্যু বিবেচনায় আনা হয়, এটা শুধুমাত্র বাইবেল এবং কুরআনের মধ্যকার দ্ব্যর্থক পার্থক্য নয় বরং এটা এমন একটা আলোচনার বিষয় যেখানে অন্য সকল মাধ্যমিক উৎসগুলো থাকে যেগুলো প্রকৃতিগতভাবে ধর্মনিরপেক্ষ এবং যারা ঐতিহাসিক বা বিরূপ ধারণা নিয়ে আলোকপাত করেন  যখন যীশুর ক্রুশবিদ্ধকরণ নিয়ে ব্যাখ্যা দেন এবং এখানে তারা নিজেদের খ্রিস্টিয় মতবাদের সাথে সংযুক্ত করতে সহানুভূতিশীল হন না।  এই উৎসগুলো সমসাময়িক ব্যাপার অন্তর্ভুক্ত করে যেমন মারা বার-সেরাপিওন, ইহুদি তালমুদ, থাল্লুস, কর্নেলিয়াস ট্যাসিটাস এবং ফ্লাবিয়াস যোসেফাস যা রোমান এবং ইহুদি এই দুই লেখকবৃত্তি প্রতিনিধিত্ব করে।

এছাড়াও ক্রুশবিদ্ধকরণ গোপনভাবে হয়নি এবং খ্রিস্টের শত্রুদের জন্য এটা ভুল পরিচয়ের ফলে আকস্মিক ঘটনা ছিল না যেহেতু তারা খ্রিস্টের লাশের সাথে ছিল, এমনকি কবরে পাহারা দিচ্ছিল। তারা খ্রিস্টের মৃত্যুর বিষয়ে যতটা না চিন্তিত ছিল, তার চেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন ছিল খ্রিস্টের পুনরুত্থান এবং তাঁর দেহ চুরি না হওয়ার বিষয়ে।

নিউ টেস্টামেন্টের পরিপ্রেক্ষিতে, প্রতারণার ঘটনার দৃশ্যপাতের জন্য এটা জটিল হতে পারত যেহেতু এটা শুধুমাত্র প্রধান ঘটনার সাথে জড়িত ছিল না, এছাড়াও এটা নেতৃত্ব দিচ্ছিল ক্রুশবিদ্ধকরণ থেকে খ্রিস্টের পুনরুত্থানের উপস্থিতিকে। আসলে যীশুর মৃত্যু ক্রুশে ঘটেনি, এর সূত্রপাত হয়েছিল রোমান এবং ইহুদি উভয় বিভাগের বিচারের পরে চাবুক মারা থেকে। সুতরাং এই পুরো সময়ে তাদের সাথে খ্রীস্টের নিকটবর্তী সাক্ষাৎ তাঁর পরিচয় সম্পর্কে আর কোনো সন্দেহ রাখেনা।

খ্রীস্টের প্রকাশ্য ফাঁসির পূর্বে অনেকে তাঁর জীবন ও সেবার সাক্ষী ছিল এবং সেখানে উপস্থিত সকল প্রকারের মানুষ তাঁর ক্রুশে ঝোলানো বর্ণনা করেছিল। এর মধ্যে ছিল রোমান সৈনিকগণ, ধার্মিক ইহুদিগণ এবং তৎকালীন যীশুর অনুসারীরা, এমনকি হয়তো প্রচারকগণও ছিলেন।

তাছাড়াও যীশুর বিচার এবং ক্রুশবিদ্ধকরণের সময় সেখানে উপস্থিত মানুষ তাঁর সাথে কথা বলছিল যা কিনা খুব কঠিন বা অসম্ভব হতে পারত সেখানে কিছু সৃষ্টিসংক্রান্ত প্রতারণার ক্ষেত্রে তাদের দৃষ্টির অগোচরে যারা ঘনিষ্ঠভাবে তাঁকে জানত। আর, সত্যকে গোপন করে কোনোভাবে মিথ্যা তৈরী করে নিপুণভাবে মানুষকে ঠকানো বা বোকা বানানো যে, জুডাস ছিলেন যীশু এটা ঈশ্বরের প্রকৃতিবিরুদ্ধ।

উপরন্তু, বিচার এবং ক্রুশবিদ্ধকরণের সময় যেসব কথা বলা হয়েছিল সেগুলো জুডাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, যেহেতু এই ব্যক্তিকে মসীহ দাবী করা হয়েছিল। এই ব্যক্তি কিছু বাক্যেও প্রযুক্ত হন, যেমন – ‘আজকে তুমি আমার সাথে স্বর্গে যাবে’ বা ‘তাদেরকে ক্ষমা করো কারণ তারা জানে না তারা কি করছে’ এবং ‘ঈশ্বর কেন আমাকে পরিত্যাগ করলে?’

এইসব বর্ণনা নিরপেক্ষ পক্ষের তৈরি ছিল, যারা ত্যাগ করেছিল বা বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল তাদের নয়। আমরা এটাও বুঝতে পারি যে, পুনরুত্থানের পরে সেখানে শারীরিক প্রমাণ ছিল যাতে যীশু বিকশিত হয়েছিলেন তাঁর সমস্ত ক্ষত নিয়ে এবং এইজন্য এই পুরো কঠোর পরীক্ষা এক প্রকার ষড়যন্ত্রের ধারণা, এটা যে শুধু সাহিত্যের নতুন চুক্তির বক্তব্যের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ তা নয়, বরং অন্য সকল বহিরাগত উৎসের সাক্ষ্য যা আমি উল্লেখ করেছি।

এমনকি ওল্ড টেস্টামেন্ট এই বিষয়ের সাথে একমত এবং বিবেচনা করা যেতে পারে প্রশংসাসূচক পাঠ্য হিসেবে যেটাতে খ্রিস্টানরা অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ করেনি বা পরিবর্তন করেনি যেহেতু ইহুদিরা এইসব লেখাগুলো খ্রীস্টধর্ম আবির্ভাবের পূর্বে নিরাপদে সংরক্ষণ করে রেখেছিল। এটা বিস্ময়কর যে, যখন একজন ধর্মনিরপেক্ষ ইহুদি নিঃসন্দেহে প্রথমবার ওল্ড টেস্টামেন্ট শোনে, যেমন – ইসাইয়া অধ্যায় ৫২:১৩ – ৫৩:১২ এবং গীতসংহিতা অধ্যায় ২২, তারা কখনো কখনো যীশুর ক্রুশবিদ্ধকরণ এবং এই ক্লিষ্ট উপাসকের মধ্যে সংযুক্তি তৈরী করে। এই ক্ষেত্রে যখন আপনি খ্রীস্টীয় বাইবেল থেকে কিছু পাঠ করেন, সেটা অনুধাবন না করে তারা প্রায়ই প্রতিবাদ করে এবং অনুমান করে যে এইসকল ঘটনা তাদের নিজেদের ধর্মশাস্ত্র থেকে এসেছে। এটাই শুধু নয়, এইসব শ্লোক তাঁর বেত্রাঘাতকরণ এবং ক্রুশবিদ্ধকরণের খুঁটিনাটি বহন করে যেটা মিথ্যা নয়, বিশেষভাবে, ফাঁসির অনুষ্ঠান থেকে যেটা এমনকি সম্প্রসারিত করা হয়েছিল না দীর্ঘ সময় অবধি যতক্ষণ পর্যন্ত না এইসব কথা ভবিষ্যদ্বাণীমূলকভাবে বলা হয়েছিল। যাইহোক, আমি আপনাদের বাইবেলে উল্লিখিত এইসকল ঘটনার লিংক দিচ্ছি যেন আপনারা এদের সম্পর্কস্থাপন করতে পারেন।

ইসাইয়া

গীতসংহিতা

সবশেষে, আজকের সংশয়বাদীরাও বাইবেলের বার্তার কিছু বিষয় নিয়ে বিতর্ক করতে পারেন কিন্তু সাধারণভাবে ক্রুশবিদ্ধকরণ স্বীকৃত এবং সম্ভবত কিছু মানুষ আছেন যারা মনে করেন, যাই হউক তিনি একজন বিপ্লবী হিসাবে এমন দাবী করতেই পারেন।

শেষ পর্যন্ত, তাঁর আবেগের পূর্বে যীশুর বাণী নিশ্চিত করে তাঁর মৃত্যু, যেখানে তিনি পরিপূর্ণ হবার পূর্বেই তাঁর আগতপ্রায় মৃত্যুর কথা বলেছিলেন, যদিও শিষ্যরা এই ফলাফল অস্বীকার করেছিল, তারা বিব্রত এবং বিস্মিত ছিল। প্রাথমিকভাবে তাদের এমন প্রত্যাশা থাকার কারন ছিল তৎকালীন ইহুদিরা, যাদের উপর বিদেশি শাসনের নিপীড়ন ছিল এবং নিষ্ঠুর মৃত্যুর পরিবর্তে মসীহ তাদের উদ্ধারকর্তা ছিলেন। তাহলে কেনই বা শিষ্যরা নিজেদের প্রতিকূলে অবস্থান করবেন, খ্রিস্টের মৃত্যুর ব্যাপারে তাঁর মন্তব্য সমূহের ক্ষেত্রে এবং শত্রুর হাতে তাদের নায়কের মৃত্যু হয়েছে এমন গল্পে চিত্রণের পেছনে তাদের প্রেরণাই বা কি ছিল? মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে এটা তাদের মসীহের জন্য বিজয় নয় বরং দুর্বলতা এবং পরাজয় হিসাবে দেখা যায়। কুরআনের বিষয়বস্তুর সাথে তাল মিলিয়ে চলাই তাদের জন্য সুবিধাজনক মনে হয় যেখানে যীশুকে অক্ষত রাখা হয় এবং বলা হয় উনি অন্তিমকালে আবার সবকিছু পুনরুদ্ধার করতে প্রকাশিত হবেন৷

মূলত, এই পুরাতন নিয়মের ধর্মগ্রন্থগুলোর কিছু বিষয় বোঝার ক্ষেত্রে তাদের দূরদৃষ্টি ছিল না এবং আজও ইহুদিরা এই গ্রন্থগুলির প্রতি অন্ধ দৃষ্টিভঙ্গী রাখে, যদিও অনেক ইহুদী এই ধর্মগ্রন্থগুলির দ্বারা বিশ্বাস এনেছে যা আমি প্রসঙ্গত উল্লেখ করেছি।

ঘটনার পরে বুদ্ধি উন্মেষ হলে, দুঃখভোগ বা মৃত্যুর পর পুরো বিষয়টিকে দেখা সহজতর কারণ এটা সম্পূর্ণভাবে ঈশ্বরের ঐশ্বরিক উদ্দেশ্য এবং এটা সকল ধরনের ব্যর্থতা বা অর্থহীনতা অস্বীকার করে।

আপনি যদি বাইবেলের মতবাদের একটি সমীক্ষা করতেন তবে এই বিষয়টিকে বাইবেলীয় উদ্ধারতত্ত্ব  বিশ্বদর্শনের প্রেক্ষাপটে খুব সুন্দরভাবে বোঝা যায় যা শুরু হয়েছিল পৃথিবী গঠনের পূর্ব থেকে যীশুর ত্যাগস্বীকার, মৃত্যু এবং তাঁর পুনরুত্থান ও প্রকাশিত হবার সাথে। এটিকেই ত্রাণের স্কারলেট থ্রেড হিসাবে আখ্যায়িত করা হয় যা প্রায়শ্চিত্তের বলিদান ব্যবস্থার সাথে সম্পর্কিত যা ইতিহাসের বুননে নিজেকে জুড়ে রাখে। উৎসর্গ ব্যবস্থার প্রকৃতি ঈশ্বরের ন্যায়বিচার এবং করুণা উভয়কেই একত্রিত করে যার দ্বারা পাপ ও অপরাধবোধ মোকাবেলা করা হয়। এই আনুষ্ঠানিক আইন একজন চুক্তি ভঙ্গকারীকে বরাদ্দ করা হয়েছিল যাতে এই অপরাধীকে অস্থায়ী মুক্তিপণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল নৈবেদ্য এবং পশুবলির মাধ্যমে। লেবিয় পুস্তকে বলা হয়েছে যে, রক্তপাত ছাড়া পাপের ক্ষমা নেই। অতএব, এই প্রাণীটি নির্দোষ এবং বিকল্প প্রস্তাব হিসাবে কাজ করেছিল যেখানে জীবনের বদলে জীবন হিসাবে, যাতে দোষী পক্ষের বিনিময়ে এর রক্ত ব্যবহৃত হয়।

এই পুরো ঘটনাটি এমন একটি মঞ্চ স্থাপন করে যা নিউ টেস্টামেন্টের হিব্রু পুস্তকে বলা আছে খ্রিস্টের সম্পর্কে যিনি ওল্ড টেস্টামেন্টের ছায়ার বাস্তবিক পরিপূর্ণতা ছিলেন ঈশ্বরের মেষ হিসাবে, উৎসর্গ হয়েছিলেন একবার এবং সবার জন্য তাঁর কাজকে সম্পূর্ণভাবে কার্যকরী করার ক্ষেত্রে, ঈশ্বরের সাথে আমাদের সংযুক্ত করার এবং শান্তি দেবার নিমিত্তে।

খ্রিস্ট পৃথিবীতে আসার কারণ ছিল মানবজাতির প্রতিনিধিত্ব করা এবং যেহেতু তিঁনি পাপহীন ছিলেন, আমি ও আপনি খাঁটি ও নির্দোষ নৈবেদ্য হিসাবে যা করতে পারতাম না তিঁনি তা করতে পেরেছিলেন কারণ তিঁনি ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের জন্য পাপের শাস্তি গ্রহণ করেছিলেন। খ্রিস্টের ধার্মিকতার সাথে তুলনা করলে আমরা পরাজিত হবো যে আমরা সকলেই পাপ করেছি এবং তাই আমরা যদি একে অপরের সাথে নিজেদের তুলনা করি তবে সম্ভবত আমাদের দাঁড়ানোর একটি জায়গা থাকতে পারে তবে যখন আমরা নিজেদেরকে পবিত্র ও ধার্মিক ঈশ্বরের সাথে তুলনা করি তখন এই আত্মবিশ্বাস  সহজেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। আমরা এখানে দৃষ্টিতে পার্থক্য করছি না যখন আমরা নিজের এবং অন্যদের মধ্যে বিচার করি, অতএব ঈশ্বরের বিচার আসনের সামনে দাঁড়ানোর সাথে সাথে আমাদের নম্রভাবে সচেতন হতে হবে যে আমরা ঈশ্বরের সৃষ্টি এবং খারাপ গাছের মতো আমরা মধুর ঘ্রাণযুক্ত পঁ চা ফল উৎপাদন করেছি। ঈশ্বর সমস্ত কিছুর রচয়িতা এবং পরিপূর্ণ এবং ঘাটতি কিছু মানে হল তাঁর চরিত্রের লঙ্ঘন। সুতরাং ঈশ্বরের সামনে আমাদের কতটুকু আশ্বাস আছে যখন আমরা আমাদের অপূর্ণ ধার্মিকতা নিয়ে তাঁর সামনে দাঁড়াই? আমরা তাঁর সামনে নগ্ন এবং উন্মুক্ত এবং যত চিন্তা এবং কাজও উন্মুক্ত এবং এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই যে বিবেক আমাদের নিন্দা করে যখন আমরা জীবনের প্রাথমিক নৈতিক বিধিগুলো মেনে চলতে ব্যর্থ হই।

এজন্যই আমাদের একজন ত্রাণকর্তার প্রয়োজন কারণ আমরা ঈশ্বরের ন্যায়বিচার থেকে নিজেদেরকে বাঁচাতে পারি না যা পরিপূর্ণতার দাবি করে এবং তবুও বাইবেলের ঈশ্বরকেও প্রেমের ঈশ্বর হিসাবে বর্ণনা করা হয় এবং আমাদের পাপের জন্য বিধান করে তাঁর করুণা হিসাবে আমাদের প্রতি এই ভালোবাসা প্রসারিত হয়।

অধিকন্তু, ঈশ্বর এই কাজ করার জন্য কোন ধরনের বাধ্যবাধকতার মধ্যে নেই, কারণ তিঁনি সঠিক যে তিঁনি আমাদের ক্রোধ ও রাগ ভোগ করাতে দেবেন। যাইহোক খুশির খবর হলো আমরা শুধুমাত্র ঈশ্বর থেকে রক্ষা পাই না, আমরা ঈশ্বরের মাধ্যমে জীবন, মৃত্যু এবং খ্রিস্টের পুনরুত্থানের নিমিত্তে রক্ষা পাই।

ঈশ্বর এমন একটি সমাধান প্রদান করেন যার ফলে আমরা নিন্দায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হই না বরং এখন ঈশ্বরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরিবর্তে আমরা আত্মবিশ্বাসী হতে পারি এবং নিজেদের আশ্বস্ত করতে পারি যাতে আমরা যখন এই জীবন থেকে পরবর্তীতে জীবন অতিক্রম করি, তখন আমরা অনন্তকালের পাশা খেলার জুয়ায় পতিত হই না৷

সম্ভবত এই সমস্ত ভালবাসা, করুণা এবং ত্যাগের জিনিসগুলি আপনার কাছে বোধগম্য হবে না এবং সম্ভবত আপনি ভাবছেন যে ঈশ্বর কীভাবে এই বৈষম্যকে একই সময়ে ঘটতে দিতে পারেন যখন আমরা উভয়ই একইভাবে এই রক্তাক্ত লেনদেনের জন্য উপকারভোগী এবং অপরাধী এবং তবুও এই সুযোগ ছাড়া কীভাবে আমাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হত? এছাড়াও, বাইবেল ঈশ্বরের অনুভূতির ধারণাকে সমর্থন করে যেন তাঁর চিন্তাভাবনা আমাদের চিন্তাভাবনা নয় এমনকি তাঁর উপায়ও আমাদের উপায় নয়। আমরা ভিন্নভাবে যুক্তি দিয়ে দেখি বা মনে করি যে ঈশ্বরের এইভাবে কাজ করা উচিত নয় এবং তবুও এটি তাঁর বিশেষ ক্ষমতা এবং এটি ছাড়া আমাদের কি-ই বা উপায় আছে? অধিকন্তু, এটি তাঁর চরিত্র এবং প্রকৃতির সাথে কোনও দ্বন্দ্ব বা আপস নয় কারণ তিনি আমাদের পাপের প্রতিদান হিসাবে খ্রিস্টের এই উদ্ধারকাজ গ্রহণ করে ন্যায়বিচার সরবরাহ করছেন।

যীশুর নিজের জীবন বিসর্জন দেওয়ার এবং তা গ্রহণ করার অধিকার ছিল।  তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর মেষপালের জন্য জীবন দিয়েছেন এবং যদিও আমরা একসময় তাঁর শত্রু ছিলাম, খ্রিস্ট আমাদের জন্য মরেছিলেন এবং ফলস্বরূপ এটিকে আশ্চর্য অনুগ্রহ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। আপনি যখন এই সমস্ত বিষয় বিবেচনা করেন, তখন আমরা এই ধরণের প্রতিক্রিয়া অনুধাবন পর্যন্ত করতে পারি না এবং সর্বোপরি আমরা কেবলমাত্র একজন পিতামাতার বা স্ত্রীর আত্মত্যাগের ভালবাসার সাথে সম্পর্কিত হতে পারি, তবে ভাবুন ঈশ্বর কতটা নিখুঁত যিনি এই সীমাবদ্ধ মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং তাই আমি সান্ত্বনা পেয়েছি যে তাঁর অসীম ভালবাসা যে কোন সীমাবদ্ধ প্রাণীর চেয়ে অনেক অনেক বেশি। বন্ধুগণ, ঈশ্বর নরকের আগুনের জ্বালানী সরবরাহ করার জন্য মানুষ সৃষ্টি করেননি এবং বাইবেল বলেছে এটি প্রাথমিকভাবে শয়তান এবং তার ফেরেশতাগণের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল এবং তবুও যদি আমরা এটিকে অস্বীকার করে অনুগ্রহের এই কৃতজ্ঞ আচরণকে অবহেলা করি যা কিনা মুক্তির উৎস, তবে আমরা কীভাবে এই বিচার থেকে বাঁচতে পারি? ভদ্রতার সহিত আপনার কাছে আমার চ্যালেঞ্জটি হল আপনি কীভাবে আপনার পাপকে মোকাবেলা করবেন? এছাড়াও আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন বা বিবেচনা করেছেন যে আপনি স্বর্গে যাবার জন্য যথেষ্ট যোগ্যতা অর্জন করেছেন?

আপনি কি নিশ্চিতভাবে জানেন যে আপনার জীবন সত্যই আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য? উপসংহারে ঈশ্বরের প্রেম আমাদেরকে অসহায় বা নিরাশ করে ফেলে না বরং আমাদের প্রতি তাঁর ভালোবাসা স্বরূপ যীশুকে প্রদান করেছেন যিঁনি আমাদের আত্মবিশ্বাস, চিরন্তন জীবন লাভের নিমিত্তে।

অবশেষে, যীশু আপনাকে একটি আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন, যেখানে তিঁনি আমাদের পাপের বোঝা আপন কাঁধে নিয়ে আমাদের এই পাপের ঋণ থেকে মুক্তি দিয়ে ধর্মীয় প্রত্যাশার কঠোরতা থেকে উদ্ধার করেছেন তাঁর সাথে নিবিড় জ্ঞান এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের মাধ্যমে।

মথি ১১:২৮-৩০

২৮ ‘তোমরা যাঁরা শ্রান্ত-ক্লান্ত ও ভারাক্রান্ত মানুষ, তারা আমার কাছে এস, আমি তোমাদের বিশ্রাম দেব।

২৯ আমার জোয়াল তোমাদের কাঁধে তুলে নাও, আর আমার কাছ থেকে শেখো, কারণ আমি বিনয়ী ও নম্র, তাতে তোমাদের প্রাণ বিশ্রাম পাবে।

৩০ কারণ আমার দেওয়া জোয়াল বয়ে নেওয়া সহজ ও আমার দেওয়া ভার হালকা।’

 

ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়-Bengali

হিন্দু সম্পদ

ইসলাম এবং যীশু

Crucifixion of Jesus Christ and Islam

কুরআন বাইবেল সমর্থন করে

Thursday, December 24th, 2020

কুরআন তওরাত, গীতসংহিতা এবং সুসমাচার বিষয়াবলির ঐশ্বরিক প্রমাণকে সমর্থন করে কিন্তু এখনো সমসাময়িক মুসলিম বিশ্বাস দাবী করে যে বাইবেল রদবদল হয়েছে এবং তাতে বিশ্বাস করা যাবে না। নিশ্চিত ভাবেই এটা প্রমাণযোগ্য নয় এবং এই বিবৃতি অনেকগুলো মতামতের মধ্যে একটি যা মুসলিম অনুসারীদের ভিতর প্রচারিত হয়।

এই ধরনের চিন্তা ভাবনার একটা অন্যতম কারন হল বিভিন্ন রকম বাইবেল পাওয়া যায় এবং যুক্তি হল এদের সবগুলো সঠিক হতে পারে না।

বিভিন্ন বাইবেল থাকার মূল কারন হল প্রচুর পরিমাণে  পান্ডুলিপির প্রমাণের উপলব্ধতা যা আমাদের কাছে আছে। ৬০০০ গ্রিক পান্ডুলিপির অনুলিপির অস্তিত্ব আছে যা এককভাবে প্রাচীন সাহিত্যের অন্যকোন বিষয়ের থেকে সবচেয়ে বেশি পান্ডুলিপির প্রমাণ বহন করে যা প্রাচীনকাল থেকে আমাদের কাছে আছে।

আজ আমাদের কাছে মুদ্রণের বিলাসিতা আছে পাশাপাশি উৎপাদন, সহভাগিতা এবং আরও ভাল উপায়ে নথি সংরক্ষনের উপায় রয়েছে। বাইবেলের সময়ে পাণ্ডুলিপিগুলি কম এবং ব্যয়বহুল ছিল। সুতরাং সংরক্ষণের নিমিত্তে এবং পান্ডুলিপির তাৎক্ষণিক চাহিদার দরুন এটা অত্যাবশকীয় প্রয়োজনীয় হয়ে যায় যে অনুলিপি তৈরি ও মুদ্রণ করতে হবে।

অনুলিপিগুলো সমালোচনামূলক স্ক্রাইবাল বিধি এবং কৌশলগুলির মাধ্যমে উপলব্ধ এবং উৎপাদিত হয়েছিল ইহুদিদের অনুসরণ করে যাতে মূল বিষয়বস্তুর পরিবর্তন না হয়। এই অনুলিপিগুলো পাঠ্যের যথার্থতা এবং তার বৈধতা নিশ্চিত করার জন্য তুলনা করার পক্ষে একটি সুবিধাজনক ক্ষেত্র। আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে স্বীকৃত পান্ডুলিপির মধ্যে কোন অসামঞ্জস্য, মূল বিষয় বা বাক্যের রদবদল না হলেও সূক্ষ্মভাবে দেখা হয়।

নতুন টেস্টামেন্ট সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য হল যদি তা ধ্বংস হয়ে গিয়ে থাকে তবে তা পুনর্গঠন করা হয়েছিল প্রাচীন গীর্জার পিতৃপুরুষদের উদ্ধৃতিগুলি ব্যবহার করে, যা সমর্থনমূলক হিসাবে শাস্ত্রের সত্যতা এবং নির্ভরযোগ্যতার প্রমাণ হিসাবে পরিবেশন করতে সাহায্য করে। নতুন টেস্টামেন্টের পক্ষে বলা যায় যে মূল পান্ডুলিপির সাথে বিদ্যমান পুরাতন অনুলিপিগুলোর অপেক্ষাকৃত স্বল্প সময়ের পার্থক্য আছে যা কিনা মাত্র ১০০ থেকে ২৫০ বছর হতে পারে। এটা সিজারের গ্যালিক যুদ্ধসমূহের মতো অন্যান্য প্রাচীন সাহিত্যের নিদর্শনের তুলনায় তুলনামূলকভাবে স্বল্প সময়ের দূরত্ব যার কিনা প্রায় ১০০০ বছরের ব্যবধানে রয়েছে।

বাইবেলের সত্যতা নিরুপণে সাহায্য করে এমন আরেকটি উপায় হল মৃত সাগরে আবিষ্কৃত স্ক্রোলগুলো যা কুমরানে ১৯৪০ সালের দিকে পাওয়া যায়। এখন অবধি পুরাতন টেস্টামেন্টের প্রাচীনতম অনুলিপিটি হল মাসোরিটিক পাঠ যা প্রায় ৯০০ খ্রিষ্টাব্দের। এটা যখন মৃত সমুদ্রের স্ক্রোলগুলির সাথে তুলনা করা হয়, যা কিনা ১০০০ বছর পূর্বের এখানে আমরা কোন গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য দেখি না।

এছাড়াও, ভারসাম্যের নীতির মধ্যে বাইবেলকে রদবদলের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য, জনশ্রুত হতে শাস্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষার জন্য এমন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল কারন  ছদ্ম-সাহিত্যের অন্যান্য রূপ প্রচারিত হচ্ছিল এবং গির্জার নেতৃত্বকে প্রথাগত সংস্কার এবং ক্যানন প্রতিষ্ঠা করতে হয়েছিল যা  পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। খ্রিস্টানদের মধ্যে নিকায়ার কাউন্সিলটি ৩২৫ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং ইহুদিরা জামেনিয়া পরিষদটি ৯০ খ্রিস্টাব্দে করেছিল।

বিভিন্ন বাইবেল থাকার আরেকটি কারণ হল ব্যবহারিকভাবে শাস্ত্রকে লোকের সাধারণ ভাষায় উপলব্ধ করা যাদের উদ্দেশ্যে এটি প্রণীত হয়েছে।  শিষ্যদের সমস্ত পৃথিবীতে যাওয়ার এবং সুসমাচার প্রচার করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল এবং এটিই কার্যকর উপায় যার মাধ্যমে তা সম্ভব।

বাইবেলের অনুবাদের মাধ্যমে কিছু রদবদল বা পরিবর্তন করার কোন ষড়যন্ত্র নেই। আমি এটা ভাবতেই পারি না যে কেউ আমাকে হিব্রু, আরামিক এবং গ্রিকের মূল ভাষায় লিখিত একটি বাইবেল হস্তান্তর করে এবং আমাকে তার অর্থ বোঝার জন্য বলে। এমনকি যদি আমি এইসকল প্রাচীন ভাষায় অধ্যয়ন করতাম তবুও আমি ইংরেজিতে চিন্তা করার জন্য সাংস্কৃতিকভাবে প্রশিক্ষিত এবং এটি ব্যাখ্যা করা আমার ক্ষেত্রে পক্ষপাত হবে। সাহিত্য সমালোচনার নিয়মের দিক থেকে বিচার করলে কুরআনও বাইবেলের মতো একই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। সর্বোপরি এটি আকাশ থেকে পড়েনি বা এটি আল্লাহর আঙুল দ্বারাও লিখিত হয়নি।

সবশেষে, আমি বলতে চাই যে বাইবেলের যা কিছু ধারণার ব্যাপারে মুহাম্মদ অবগত হয়েছেন, তা তিনি অর্জন করেছেন এবং ধার করেছেন খ্রিস্টান ও ইহুদিদের থেকে মাধ্যমিকভাবে প্রাপ্ত ধারণাসমূহ থেকে, যারা এইসব বাক্যের প্রবর্তক। ইতিহাসের এই সময় বাইবেল যদি দূষিত হয়ে থাকে, যখন মুহাম্মদ বেঁচে ছিলেন, তাহলে মুহাম্মদ কিভাবে এই বিষয়ের সত্যতার ব্যাপারে অবগত হয়েছিলেন, যেখানে তিনি খ্রিস্টান এবং ইহুদি প্রভাবের উপর নির্ভরশীল ছিলেন? ইসলাম আবির্ভাবের পূর্বেই বাইবেলের ভালো পাঠ্য অনুলিপি বিদ্যমান, তাই এই ব্যাপারে আমি বির্তকের কিছু দেখতে পাই না। যদি সত্যিই বাইবেল রদবদল ও পরিবর্তিত হয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহ কেন তার সার্বভৌমে প্রথমত মুসলিমের কাছে তা প্রকাশিত করার উদ্যোগ নেননি? আমি জানি এই যুক্তিগুলো হাস্যকর, কিন্তু আমি তাদের যৌক্তিক উপসংহার বহন করতে চেয়েছিলাম যাতে আপনি এই নির্বোধ যুক্তিতে অসঙ্গতি দেখতে সমর্থ হন।

 

ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়-Bengali

হিন্দু সম্পদ

ইসলাম এবং যীশু

The Quran Supports the Bible

ইসলামিক ধারণা যে বাইবেল পরিবর্তিত হয়েছে

Sunday, December 20th, 2020

বাইবেলীয় সাহিত্যের প্রমাণীকরণের প্রয়োজনটি খ্রিস্টীয় চিন্তাভাবনা এবং বিষয়ের ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে রয়েছে এবং আমি পূর্বে এই বিষয় সম্পর্কে দুটি পোস্ট লিখেছি; একটি সাহিত্যের দিক থেকে এবং অন্যটি ঐতিহাসিকতার দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে যার দ্বারা আমি এর দাবী প্রমাণ করার জন্য মাধ্যমিক (অতিরিক্ত বাইবেলীয়) উৎস ব্যবহার করি।

jesusandjews.com/wordpress/2010/02/03/is-the-bible-reliable/

jesusandjews.com/wordpress/2014/01/19/does-archaeology-disprove-the-bible/

ইতিমধ্যে এই ব্লগে আমার তৈরিকৃত পয়েন্টগুলো ছাড়াও আমার মনে হয় বাইবেলের অখণ্ডতা নিয়ে প্রশ্ন করার সময় আরও কয়েকটি অতিরিক্ত বিষয় বিবেচনা করা উচিত যেমন, বাইবেলের সতর্কতা যে ঈশ্বর, যে কেউ তাঁর বাক্য বা পবিত্র পুস্তকের বিস্মরণ ঘটাবে বা মিথ্যাচার করবে, তাদের বিচার করবেন, দ্বিতীয় বিবরণ ৪:২, প্রকাশিত বাক্য ২২:১৮ এবং অন্যান্য সত্যের সাথে মিথ্যা উপস্থাপন, মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া বা মিথ্যা বলা ইত্যাদি খ্রিস্টধর্মের নৈতিক মানদণ্ডের বিরুদ্ধে যায়।

সুতরাং মনস্তাত্ত্বিক এবং আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে কারও কার্যক্রম বিবেচনা করার সময় এটি অকল্পনীয়ই হবে যে একজন খাঁটি বিশ্বাসী পুস্তক সংশোধন করার সাহস করবে। এই পুরো ষড়যন্ত্র তত্ত্বের একদিকে বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব রয়েছে এবং অন্যদিকে এর কোন অর্থ নেই যে একজন এটি সম্পাদনা করে এবং আপাতদৃষ্টিতে দ্বন্দ্ব বা প্যারাডক্সিক্যাল বক্তব্যকে অপসারণ করে না যা বাইবেলের পাঠকে প্রতিকূল বা সন্দেহযুক্ত দেখাতে পারে, এবং দুটো ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের পক্ষে, পুরাতন পুস্তক বা তানাখের অভিভাবক হিসাবে ইহুদি এবং নতুন পুস্তকের প্রধান ধারক হিসাবে অ-ইহুদি, পুস্তক পরিবর্তন করা অবিশ্বাস্য মনে হয় কারণ যেহেতু তারা একই বা অভিন্ন পুস্তক যৌথভাবে পাঠ করে। এমনকি কুমরানে মৃত সাগরের আবিষ্কৃত স্ক্রোল, প্রাচীনতম মাসোরিটিক পাঠ যা প্রায় ১০০০ বছর পূর্বের পূর্বাভাস দেয়, শাস্ত্রীয় অখণ্ডতা নিশ্চিত করে।

যাইহোক আমি বুঝতে পারি যে কিছু বিরোধী দলের বাইবেল কলুষিত হয়েছে এই জাতীয় দাবি করা প্রয়োজন অন্যথায় তারা প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বদর্শন হিসাবে উপস্থিত থাকতে পারবে না এবং তাই শাস্ত্রীয় তথ্যের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গির প্রেরণা থাকার পক্ষে যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয় যা সঠিকের পরিবর্তে ভুল প্রমাণ করার প্রবনতা রাখে। বাইবেল কে কারা কলুষিত করেছে, কখন এটিকে পরিবর্তন করা হয়েছে, এবং ঠিক কী পরিবর্তন করা হয়েছে, এই সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞাসা করার পরে এই সমস্ত কিছুই স্পষ্ট বলে মনে হয় যে প্রমাণের অভাবে এই তিনটি প্রশ্নের যথাযথভাবে উত্তর দেওয়ার জন্য এই মুহূর্তে অভিযোগগুলির জন্য উপযুক্ত কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। এমনকি আমি ভাবিও না যে বাইবেল ধর্মগ্রন্থকে প্রত্যাখ্যান করার ক্ষেত্রে কুরআন থেকে একটি শক্তিশালী বিষয় তৈরি করা যেতে পারে কারণ এগুলো ঈশ্বরের বাক্য হিসাবে স্বীকৃত, উল্লেখ আছে সুরা ২:৮৭, ৩:৩, ৪:১৬৩, ৫:৪৬-৪৭, ৫:৬৮, ১০:৯৪। অধিকন্তু কোরআন নিশ্চিত করে যে ঈশ্বরের বাক্য কখনই  রদবদল বা পরিবর্তন করা যায় না, ৬:৩৪, ৬:১১৪-১১৫, ১০:৬৪।

সুতরাং কুরআনের বক্তব্য যে ইঞ্জিল, তওরাত এবং গীতসংহিতা হল “ঈশ্বরের বাক্য” যা রদবদল করা যায় না এবং আমি বিশ্বাস করি বাইবেলকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, আমার মুসলমান বন্ধুদের, তাদের পবিত্র ও মহান গ্রন্থ থেকে কোন অনুমোদনমূলক যুক্তি নেই। আরো বলতে গেলে তওরাত, গীতসংহিতা এবং ইঞ্জিলে প্রকাশিত ঈশ্বরের বাক্য পরিবর্তন হয়েছে এই কথা একইভাবে কুরআনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে যদি এটি সত্যই তা ঈশ্বরের বাক্য হয়ে থাকে। আসলে কুরআনে উল্লেখিত ঈশ্বরের বাক্যের অপরিবর্তনীয়তার কথা যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত বলে মনে হয় কেননা সর্বজনীন ও সর্বশক্তিমান ঈশ্বর কি তাঁর বাক্যকে সর্বদা বজায় রাখতে সক্ষম হবেন না?

পরিশেষে, যদি বাইবেল সঠিক হয় যা কোরআনে মুহাম্মদের সময় সঠিক বলে দাবি করা হয়েছিল, তবে এটি মুসলমানদের পক্ষে সমস্যা সৃষ্টি করবে যারা অভিযোগ করে যে এটি রদবদল হয়েছে কারণ প্রাথমিকভাবে বর্ণিত শাস্ত্রীয় বাক্যগুলোর সাথে ইসলাম পূর্ব সময়ে গির্জার পিতৃপুরুষদের মুখের কথার মিশ্রণ ঘটেছে, তা বাইবেলের সত্যতা প্রমাণ করে যে, যা আজ পর্যন্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি, সহস্র বছরেও এটি পরিবর্তিত হয় নি। সুতরাং, মুসলিম দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে গেলে যে বাইবেল দূষিত হয়েছে তা হল মুহাম্মদের নবীত্ববাদের প্রত্যাখ্যান যেহেতু তা কোরআনের দাবির বিরোধিতা করে এবং এর মাধ্যমে খ্রিস্টীয় শাস্ত্রের অনুপ্রেরণা, সংরক্ষণ এবং কর্তৃত্বকে সমর্থন করে।

ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়-Bengali

হিন্দু সম্পদ

ইসলাম এবং যীশু

An Islamic view that the Bible has been corrupted

 

 

ডেভিড উডস কর্তৃক অনুমতি মঞ্জুর করা হয়েছে, খ্রিস্টান রিসার্চ জার্নাল খণ্ড ৩৫/নং৫/২০১২ এর “মুহাম্মদ ও মশীহ” শীর্ষক নিবন্ধ থেকে নেওয়া উপাত্তের জন্য।

যীশু হল ঈশ্বরের পুত্র

Saturday, December 12th, 2020

ইসলাম ধর্ম শিক্ষা দেয় যে, ঈশ্বরের কোন পুত্র নেই এবং আমিও বলব যে, পুত্রত্বের ব্যাপারে আপনার ধারণার সাথে আমি সাধারণভাবে একমত। যদিও যীশু খ্রিস্ট জন্মগ্রহণ করেছেন এক অনন্য ও অলৌকিক পদ্ধতিতে, আমি একমত যে মহান ঈশ্বর দৈহিক সম্পর্ক থেকে মুক্ত অথবা ওই পদ্ধতিতে সন্তান উৎপাদন করেন না, যেটা এমন একটা বিশ্বাস যা পৌত্তলিক পুরানের উপর দাঁড়িয়ে আছে এবং তাদের আচার অনুষ্ঠান এই শিক্ষা দেয়। ড. মাইকেল ব্রাউন, যিনি সেমেটিক ভাষাসমূহের বিশেষজ্ঞ যা ইহুদি ধর্মাবলম্বী ও বাইবেল এর মূল ভাষা এবং ঐতিহ্য, তিনি এই ধারণার প্রকৃতি সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। শুরুতেই আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমাদের একুশ শতকের মস্তিষ্ক কোনভাবেই প্রাচীন হীব্রুভাষী ধারণায় চিন্তা করে না। প্রকৃতপক্ষে “ঈশ্বর পুত্র” শব্দগুলো বহুবার হিব্রু ধর্মগ্রন্থে ব্যবহৃত হয়েছে যেখানে ঈশ্বর ইস্রায়েলকে এবং রাজা ও স্বর্গদূতদেরও পুত্র বলে সম্বোধন করেছেন। যেহেতু যীশু হলেন মসীহ এবং তাকে এই উপাধির চূড়ান্ত প্রতিনিধি হিসাবে বিবেচনা করা যায় যে তিনি শুধু ইস্রায়েরেল বংশধর নন বরং তিনি রাজাদের রাজা এবং প্রভুদের প্রভু এবং শেষ পর্যন্ত তিনি স্বর্গীয় আয়োজক বা দূতগণের উপরে স্থান পেয়েছেন। যখন তার পরিচয় দেয়া হয়, অনুধাবন করা যায় “ঈশ্বর পুত্র” এই উপাধিতে তিনি কত বেশি যোগ্য। বাইবেলে পুত্র শব্দের হিব্রু প্রতিশব্দ হল ‘বেন’ যা আরামীয় এবং আরবি ভাষায় যথাক্রমে ‘বার’ এবং ‘ইবনে’। এর দ্বারা আক্ষরিক সন্তান বোঝাতে পারে যেভাবে আপনি ‘পুত্র’ শব্দ ব্যবহার করতে পারেন অথবা এর মাধ্যমে রূপকভাবে বলা যেতে পারে যেমন “ভাববাদীদের পুত্র” যার মানে ভাববাদীদের শিষ্য। যখন এর দ্বারা কোন ইস্রায়েল রাজাকে বোঝায়, এর মানে ‘পুত্র’ ঐশ্বরিকভাবে গ্রহণ যেমন, ২ শমুয়েল ৭:১৪ যেখানে বলা হয়েছে, “আমি তার পিতা হব এবং সে হবে আমার পুত্র।” এবং এটা ইস্রায়েল জাতির উদ্দেশ্যেও বলা যেতে পারে যেমন, যাত্রাপুস্তক ৪:২২-২৩ যেখানে বলা হয়েছে যে প্রভু পরমেশ্বর বলেছেন, “ইস্রায়েল আমার প্রথম সন্তান। আমি তোমাকে বলেছিলাম, আমার সন্তানকে মুক্ত করে দাও, সে আমার আরাধনা করবে।” পুত্রের আরেকটি অর্থ হল এমন ব্যক্তি যিনি স্বর্গীয় দূতদের মতো একই শ্রেণির অন্তর্ভূক্ত। এই কথা বলে আমি এটা বোঝাচ্ছি না যে স্বর্গীয় দূতেরা ঈশ্বর কিন্তু তারা “বেনেই ইলোহিম” বা “ঈশ্বরের পুত্রগণ” এর মতন। এই শব্দটি ইস্রায়েলের বাধ্যগত মানুষদের বোঝাতেও ব্যবহৃত হয় যেমন, হোশেয় ১:১০ যেখানে বলা হয়েছে, “তাদের বলা হবে, জাগ্রত ঈশ্বরের সন্তান।” পরিশেষে শব্দটি দ্বারা একটি উপাধি বা একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে বোঝানো যায় যেহেতু যীশু মসীহ হিসাবে অনন্য ভূমিকা পরিপূর্ণ করেছিলেন তাই তাকে চূড়ান্তভাবে “ঈশ্বরের পুত্র” হিসাবে বিবেচনা করা যায়। উপসংহারে ‘পিতা’ ও ‘পুত্র’ শব্দদ্বয় আধুনিক বস্তুবাদী সমসাময়িক ধারণার বাইরে বাইবেল সংশ্লিষ্ট অলংকারিক বা রূপক দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। সুতরাং আপনার পক্ষপাতিত্ব বা এই শব্দের সাধারণ ব্যবহারের অংশ হিসাবে আপনার ব্যক্তিগত সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি বা আঞ্চলিক ভাষায় এটি ভুলভাবে প্রয়োগ করা হতে পারে যা সম্পূর্ণভাবে প্রাচীন বাইবেলের বিশ্বদর্শনের সাথে অসঙ্গত।

ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়-Bengali

হিন্দু সম্পদ

ইসলাম এবং যীশু

Jesus is God’s Son

* বিশেষ দ্রষ্টব্য “ঈশ্বরের পুত্র” শিরোনাম ও উপাধি সম্পর্কে  যা সবচেয়ে অনন্য এবং সর্বোচ্চ অর্থে ব্যবহৃত হয় খ্রিস্ট হিসাবে যীশুর ঐশ্বরিক গুণাবলি যা উল্লেখ আছে মথি ২৮:১৬-২০, যোহন ৫:১৬-২৭, এবং ইব্রীয় ১।