কোরান কি পবিত্র?

আমরা যখন কোরান-এর পবিত্রতা বিবেচনা করব তখন তার মূল দাবি প্রমাণ করার জন্য সাহিত্যের অন্য যেকোন অংশের মতন তা বিশ্লেষণ করতে হবে। 

ইসলামের ভিতরে কোরানকে এমন একটি উচ্চ স্থান দেওয়া হয় যাতে অনেক অনুশীলনকারীদের বা অভ্যাসকারীদের  ভিতরেই বিশ্বাসের দরুণ মূর্তি পুজার উদ্দেশ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়।  

এছাড়াও এই ইসলামের প্রেরণা এমন সমস্ত দাবি করে যা পাঠ্য পাণ্ডুলিপির প্রমাণ অতিক্রম করেছে। 

আমি মর্মনবাদ পড়ার সময় ইসলামের ঐতিহ্যের সাথে কিছু মিল দেখেছি। মর্মনরা স্বর্গীয় শিলালিপিতে বিশ্বাস করেন যা সোনালী ট্যাবলেটগুলিতে প্রতিলিপি করা রয়েছে এবং দেবদূতের নির্দেশের মাধ্যমে এই স্বর্গীয় ট্যাবলেটের লিপ্যান্তর করার জন্য স্থানান্তরিত এবং সুরক্ষিত করা হয়েছে।    

এমনকি জোসেফ স্মিথ কল্পনার উপর ভিত্তি করে একটি সত্য বিশ্বাস খুঁজে পেতে চেয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে সেটি তাকে অনেক সম্ভাব্যবাধাবিপত্তির সম্মুখীন এবং একইভাবে ঐশ্বরিক সত্য প্রকাশ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করেছিল।  

এই ঐশ্বরিকতা সংক্রান্ত “বুক অফ মর্মন” প্রকাশ করা সত্ত্বেও কোরানের থেকে নির্ভুল নথিপত্র কম ছিল। 

মুসলিমরা দাবি করতেই পারেন যে সাহিত্যের সব সূত্রের মধ্যে কোরান হল সবচেয়ে সঠিক এবং সুন্দর, যা  ইসলামের অনুমোদন অনুসারে ঐশ্বরিক অনুপ্রেরণায় নিজেকে প্রমাণের একটি পদ্ধতি।  

এই পর্যন্ত বুক অফ মর্মন বইয়ের বিষয়ে জোসেফ স্মিথ-এর মনোভাব অনুসারে বিবৃত করা ছিল এখন পর্যন্ত লেখা বইগুলির মধ্যে এই বইটি সবচেয়ে নিখুঁতভাবে লেখা হয়েছে। 

যদিও, উভয় পাঠ্যই সঠিক দক্ষতার অভাবে দাবীমত পরিপূর্ণতায় পৌঁছাতে না পাড়ার কারণে মূল ঐশ্বরিক দাবিও অর্জন করতে পারেনি। দাবি করা ও তা প্রমাণ করা দুটি ভিন্ন জিনিস এবং সত্যের উপর ভিত্তি করে একজন ব্যক্তি অবশ্যই তা প্রমাণ করবেন অথবা তা যুক্তিসঙ্গত ভাবে সমর্থন করবেন বা যুক্তিসঙ্গত সাক্ষ্য দিতে পারবেন।  

কোরানের শুরু থেকেই উৎস হলেন একক প্রতিষ্ঠাতা, যিনি ছিলেন একজন সন্দেহজনক চরিত্র। 

মুহাম্মদ প্রথম থেকেই তার নিজের বিচারবুদ্ধির সুস্থতা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করতেন, তিনি নিজেই জানতেন না তিনি পাগল মানুষ নাকি একজন কবি। তিনি পিশাচ দ্বারা আবিষ্ট হয়ে নিজেকেই প্রশ্ন করতেন এবং এর কারণে যেমন তিনি মুখ দিয়ে ফেনা বের করতেন আবার উটের মত গর্জন করে অদ্ভুত আচরণের মাধ্যমে বিস্ময়কর ফতেয়া সম্পর্কিত অতিপ্রাকৃতিকতা প্রকাশ করতেন। নবী সম্পর্কিত আরেকটি প্রশ্ন থেকেই যায় যে, কেন আল্লাহ সত্যের শিক্ষা দিতে অশিক্ষিতদের বেছে নিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করলেন যা তার জীবদ্দশায় কখনই সংকলিত হয়নি।  

যাই হোক আমি নিজের অন্য ব্লগে এই বিষয়ে বিশদে আলোচনা করেছি যা পোস্ট করা আছে

মহম্মদ কী একজন নকল নবী?

এছাড়াও কোরান সম্পর্কিত আরেকটি উদ্বেগ হল পাঠ্যের মৌলিকত্ব, কোরান বিভিন্ন গৌণ উৎস থেকে তার সাহিত্যের বিভিন্ন বিষয় গ্রহণ করেছে। এই উৎসগুলি হল বাইবেল এবং বিভিন্ন নব্যতান্ত্রিক শিক্ষা যেমন জুডেও খ্রিস্টান অপ্রামাণিক সাহিত্য যা এই সম্প্রদায়ের সত্য এবং বিশ্বাসের বাইরে কারণ তারা ঐশ্বরিক অনুপ্রেরণার পরিমাপ করে না। এই অপ্রামাণিক লেখাকে ইহুদি ও খ্রিস্টান উভয় সংস্কৃতির ও ধর্মমতের গোষ্ঠী গ্রহণ করে নি এবং কখনই গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয় নি। 

এই সমস্ত সাহিত্য ছাড়াও কোরান লেখার মধ্যে ফার্সি জোরাথ্রুস্টিয়দের মৌখিক ঐতিহ্যের প্রভাব অন্তর্ভুক্ত ছিল।

সুতরাং কিভাবে আল্লাহ তার স্বর্গীয় বার্তা পার্থিব বার্তাবাহক এবং মানব ঐতিহ্যের মিথ্যা বিশ্বাস  থেকে তা গ্রহণ করেছিলেন?  

সম্প্রদায়ের দ্বারা উদ্ভাবিত যে সাহিত্য নিখুঁত না হওয়ায় প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল তা মানুষের কল্পনার থেকে আবিষ্কার হওয়ায় কি পরিপূর্ণতা বা অলৌকিকতা অর্জন করতে পেরেছে?

যদি ইসলাম সর্বোৎকৃষ্ট ধর্ম হয়েই থাকে তাহলে কেন এর নিজস্ব উৎস উপাদান সৃষ্টি করতে পারে নি বরং ইতিহাসের এই সময়ে ইসলামের সংস্কৃতি বেষ্টিত অন্যান্য ধর্মীয় আন্দোলন থেকে থেকে ধার করতে হয়েছে? তা কতটা খাঁটি? 

আরেকটি প্রশ্ন উঠে আসে এই অনুমিত পবিত্র পাঠ্য কি সমর্থনযোগ্য, যা অনুন্নত এবং অসম্পূর্ণ খন্ড হিসাবে পচনশীল উপকরণ, যেমন হাড়, কাঠ, চামড়া, পাতা, এবং পাথরের উপর নির্ভরশীল।  

কোরানে ভূলে যাওয়ার মানসিকতা সম্পন্ন বোধশক্তির স্মৃতি এবং বক্তৃতা যা নির্ভুলতা দাবি করে ও সংক্ষিপ্তসার যা সামগ্রিক ভাবে স্মরণে রাখার মাধ্যমে তার অভ্রান্তিসত্ত্বতা নিশ্চিত করার জন্য, সমস্তগুলি একত্রিত করে সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ করা হয়েছে।    

“সমস্ত বইয়ের মাতা” হিসেবে সাহিত্যের স্মারক খন্ড হিসাবে যাকে বর্ণনা করা হয়েছে তার ক্ষেত্রে এটি কি রেকর্ড বা তথ্য করার জন্য কোন পদ্ধতি হতে পারে  অথবা বাস্তবে এটি অন্য কোন প্রাচীন সাহিত্যের থেকে পৃথক কোন ব্যাপার নয়। 

মহম্মদ-এর জীবদ্দশায় অথবা তার মৃত্যুর পরেই কোরান একত্রিত হয়েছিল তার কখনই প্রমাণিত হয়নি বরং প্রমাণ থেকে দেখা যায় কোরান বিকশিত ও একত্রিত হয়েছে নবীর শ্বাসত্যাগের পর 150 থেকে 200 বছর ধরে এবং অবশেষে 8ম অথবা 9ম শতাব্দীতে বিধিসম্মত হয়েছিল।

পণ্ডিতগণ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে কোরান-এর বাণী একজন ব্যক্তি দ্বারা নয় কিন্তু কয়েক শত বছর ধরে বিভিন্ন ব্যক্তিদের দ্বারা সংগৃহীত হয়েছে।

কোরান-এর প্রাচীনতম অনুলিপিটি মুহাম্মদ-এর মৃত্যুর 150 বছর পর 790 খ্রিস্টাব্দে মেইল হস্তলিপিতে লেখা হয়েছিল। 

এমনকি বর্তমানে প্রাচীনতম যে হস্তলিখিত টুকরোটির অস্তিত্ব জানতে পারা যায় তা মহম্মদের সময় থেকে 100 বছর পরে পাওয়া যায়। 

বর্তমানে এই উথমান-এর কপিগুলির কোন অস্তিত্ব নেই এবং যদিও ইসলামী পণ্ডিতরা  দাবী করেন, কিন্তু বাস্তব হল এই বিতর্কিত পাঠ্যে কুফিক হস্তলিপি অন্তর্ভুক্ত করা হয় যা উথমান-এর সময় ব্যবহার করা হয়নি এবং উথমান-এর মৃত্যুর 150 বছর পরে তা দেখানো হয়। 

এছাড়াও কল্পনানুসারে আল্লাহর স্বর্গীয় জিহ্বা হল আরবি ভাষা এবং কোরান আল্লাহর সাথে উদ্ভাবিত হলে, তাহলে কেন কোরান বিদেশী শব্দ গ্রহণ করে তার মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন যেমন অ্যাকাডিয়ান, অ্যাসিরিয়ান, ফার্সি, সিরিও, হিব্রু, গ্রিক, আরামাইক এবং ইউথিওপিক। 

যদি কোরান যর্থাথই হয়ে থাকে তাহলে কেন সেখানে আমরা সম্পূর্ণ টেক্সট্যাস অরিজিনালিস অথবা মূল পাঠ্য পাই না, বিশেষত এখনও আমাদের কাছে ইসলামের আবির্ভাব পূর্ববর্তী নথি অক্ষত রয়েছে? আল্লাহ তার সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য অবশ্যই নিজের পবিত্র পাঠ্য সংরক্ষণ করতে পারতেন। 

কোরানের ইতিহাস বিষয়ে একটি মতানুসারে, জায়িদ ইবন তাবিদ মহাম্মদের ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন। আবু বকর-এর বিস্তারিত নির্দেশের ভিত্তিতে জায়েদ মুহাম্মদ-এর বাণী থেকে একটি নথি তৈরী করেছিলেন।

ফলস্বরূপ, তৃতীয় খলিফা উথমান-এর রাজত্বকালে, একটি জোরদার প্রয়াসের দ্বারা কোরান-কে প্রমাণ্য করতে চেয়েছিলেন এবং সমগ্র মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর একটি পাঠ্য আরোপিত করা হয়েছিল এবং যার ফলস্বরূপ অন্যান্য তূলনামূলক দস্তাবেজ নষ্ট করা হয়, যার ফলেই জায়েদ-এর কেডিয়েক অন্য অনুলিপি তৈরি করতে হয়।  

কে বলবেন পাঠ্যটি প্রমাণ্য কারণ একজন ব্যক্তির হাতেই চূড়ান্ত কর্তৃত্ব ছিল বনাম মহাম্মদের অনুগত ব্যক্তিগত সম্প্রদায়ের কিছু সাথী ছিলেন?  

আমাদের কাছে পূর্বে বিদ্যমান লেখার পাশাপাশি অনুলিপির উপর নুতন অনুলিপি রয়েছে। কিভাবে আমরা জানব যে আমরা প্রকৃতপক্ষে সত্য কোরানই প্রতিনিধিত্ব করছি কিনা এবং এমনকি মহাম্মদ এর সমস্ত বিষয়বস্তুতে স্বীকৃতি দিয়েছেন?

যেহেতু অনেকাংশেই হস্তলিখিত প্রমাণ ধ্বংস হয়ে গেছে, তাই আমাদের কাছে পবিত্র পাঠ্য পুনর্গঠনের সঠিক উপায় জানা নেই। 

জায়েদ, আব্দুল্লাহ ইবন মাসুদ, আবু মুসা এবং উবে রচিত এই চারটি সংহিতার ভিতরে ধারণার বিচ্যুতি লক্ষ করা যায় এবং একে অপরেরটি মুছে দিয়েছেন এবং পাঠ্যের মূল উদ্ভাবন মহাম্মদের তুলনায় বেশী করে ব্যক্তিগত বিশ্বাসযোগ্যতার মতামত প্রকাশিত হয়েছে।   

মহাম্মদ কর্তৃক আব্দুল্লাহ মাসুদ-কে কোরান আবৃত্তির শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন  এবং উবে নবীদের সম্পাদক বা সচিব ছিলেন।  

আমার প্রশ্ন হল কার পান্ডুলিপি সঠিক অথবা নবীর ব্যক্তিগত শিষ্যদের মধ্যেই কে বেশি বিশ্বাসযোগ্য ছিল?

যেখানে অন্যান্য সম্প্রদায় দ্বারা স্বীকৃত অন্যান্য প্রামাণ্য পাঠ্য রয়েছে সেখানে উথমান শুদ্ধির চূড়ান্ত কর্তৃত্ব প্রকাশ করার ক্ষেত্রে কে ছিলেন?  

এছাড়াও যখন জায়েদ পাঠ্যকে সংকলিত করেন তিনি “স্টোনিং” সম্পর্কযুক্ত কিছু বাণী অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলে গিয়েছিলেন।  

পাঠ্যকে একত্রিভূত করার এই সমস্ত কঠিন প্রয়াসের পরে কুফা-র প্রশাসক আল হাজাজ তা পর্যালোচনা এবং পরিমার্জিত করেন।  

তিনি প্রথমে পাঠ্যে ১১টি সংশোধনী করেন এবং পরিশেষে তা কমিয়ে সাতটি পরিবর্তন রাখা হয়েছিল। 

হাফসাহ পাঠ্যের উপর উল্লেখিত ব্যবস্থা গৃহীত হয়, যা আসলে মূল নথি এবং যার থেকে চুড়ান্ত পাঠ্য গৃহীত হয়েছে, মদিনা-এর প্রশাসক মীরওয়ান দ্বারা তা ধ্বংস করা হয়। 

এছাড়াও কোরান-এ অন্য একটি ঘটনাটি রদ করা হয়, তা হল অভ্যন্তরীণ অসঙ্গতি সাথে মোকাবিলা করা যা পাঠ্যের উন্নতি হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। 

আমি বিস্ময় প্রকাশ করি যা এখনো নিখুঁত বলে বিবেচিত, মাত্র 20 বছরের মধ্যে তাতে কিভাবে সংশোধন করতে পারেন এবং সাংস্কৃতিক মান বিবর্তনের সহজতর কোনো উন্নতির প্রয়োজন কি ছিল না?

5 থেকে 500 এর মধ্যে অনেকগুলি রদ রয়েছে। অন্যদের কথায় 225টির কাছাকাছি তা দাঁড়িয়েছে।  এটি আমাদের দেখায় যে রদকরণের বিজ্ঞান আসলে কোন বিজ্ঞান নয়, যার ফলে সকলের অজ্ঞাত কয়েকটি পংক্তিকে রদ করা হয়। 

এছাড়াও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টির ব্যাকরণগত ত্রুটির সাথেই অভ্যন্তরীণ অসঙ্গতি রয়েছে।  

হঠাৎ 250 বছর পরে 9ম (নবম) শতাব্দীতে এই সমস্ত অসঙ্গতি একত্রে হাদিস ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় হাজির হয়েছিল। 

আসলে 6,00,000 হাদিস বাণী থাকলেও এই ঐতিহ্যের 99% ত্রুটিপূ্র্ণ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করে বর্জন করার ফলে মানুষের মধ্যে নামমাত্র 7,000 কিছু বেশী বাণী প্রচলিত রয়েছে।   

যদি 99% ত্রুটিপূ্র্ণ হয়েই থাকে তাহলে কিভাবে আমরা আল বুখারী অনুমোদিত এই 1% বিশ্বাস করতে পারি?

মুসলিম ঐতিহ্য বিকশিত হয়েছিল গল্পকথক অথবা কুশাশ-এর মৌখিক প্রচারের মাধ্যমে যা 8ম (অষ্টম) শতাব্দীর পূর্বে সংকলিত করা হয়নি। এই গল্পগুলি সাধারণ লোকাচার থেকে গৃহীত এবং এইভাবে ইসলামের ভিতরে বৃহত্তর বিকৃতি নিয়ে আসাকেই নির্দেশিত করে।

আপনি কি কখনও টেলিফোন অথবা অনেকগুলি মানুষের দল নিয়ে গল্প বিনিময় করার খেলা খেলেছেন, যেখানে বিনিময় হয়ে আসা গল্পটি চূড়ান্ত ব্যক্তির গল্প একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন গল্প দিয়ে শেষ হয়।  

এখন দুই শত বছর ধরে এটি ছড়িয়ে পড়লে এবং এর অনুশীলনের শেষ ফলাফল কি হবে বলে আপনি মনে করেন?

কোরান আল্লাহর প্রতিচিত্র হিসাবে মনে করা হয় অথবা সাহিত্য সমতুল্য ছাড়া বিস্ময়ের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময়কর হিসাবে গণ্য করা হয় যা অনেকক্ষেত্রেই অতিরঞ্জিত শোনায়।

কোরান-এ যা উত্তর রয়েছে তার চেয়ে বেশি প্রশ্ন রেখেছে। 

কোরান সাহিত্য অত্যুৎকৃষ্টের মধ্যে শ্রেষ্ঠ অথবা এটির খ্যাতির দাবিতে কিছুটা খামতি রয়েছে? র পাঠ্যের মধ্যে কি সৌন্দর্য্য রয়েছে যা অন্য কোন সাহিত্যের সাথে তুলনায় আসে না? এটি যারা দেখেছেন তাদের কাছাই অগণিত ধ্রুপদী সাহিত্যে রয়েছে, যার থেকে কোরান এর বিভিন্ন অংশ গৃহীত নিয়েছে, এবং অন্যদের মতামতের উপর ভিত্তি করে এই সাহিত্যিক রীতি অতিক্রম করেছে।  

এই অদ্বিতীয় গ্রন্থটিকে প্রায়ই বলা হয় অসংলগ্ন এবং কিছু কিছু স্থানে খারাপভাবে সম্পাদিত বলে বর্ণনা করা হয়েছে এবং এটি সমালোচনা ও ​​অন্যদের নিরীক্ষণের সামনে দাড়াতে পারে না যারা এই গ্রন্থের যথার্থতার উপর বিভিন্ন দিকে থেকে লক্ষ্য স্থাপন করেন।  

অন্যদের কাছে আন্দোলনের ভিতরেই চিন্তাহীন সমর্থন করে প্রশ্নাতীত পক্ষপাত করে আবিষ্ট করা হয়, যার ফলে যারা নামাজ পড়েন তাদের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সমালোচকদের সংকটপূর্ণ ভাবে ভাবায়।

পাঠ্যের উপরে প্রশ্ন করার অর্থ হল আল্লাহর উপরে ও তার নবীদের উপর প্রশ্ন করা যা মুসলিম চিন্তার অনেক উর্দ্ধে এবং যা দেখা হয় বিশ্বাসঘাতকতার কাজ রূপে এবং আদি-অন্তহীন প্রতিক্রিয়ার সাথেই অবাধ্যতার ফলে ভয়ানক পরিণতি দিকে গেছে।   

আপনি এটি বলতেই পারেন ইসলামের এই অর্ন্তবর্তীকালীন পর্যায়ের পরেও কোরানের বেঁচে থাকা একটি অলৌকিক ঘটনা এবং আমি প্রমাণের উপর ভিত্তি করে এটা আমার পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন যে এটি অলৌকিক ঘটনা যার মধ্যে ঐশ্বরিক উদ্ঘাটন রয়েছে।  

উপসংহারে বলতে হয় সত্যিই কোরান সংক্রান্ত আমার অন্য কোন মন্তব্য নেই। আমি একটি কথাই বলতে পারি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরাসরি বলার মাধ্যমে অধিকার লঙ্ঘন করিনি এবং সেইজন্য আশা করি আমার মুসলিম বন্ধুদের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখাই নি।  

এটি করা খুবই কঠিন কারণ যখন ধর্ম ব্যক্তিগত বিশ্বাসের মধ্যে গেঁথে যায় তখন যে কোনো কিছুই ধর্মীয় চিন্তার ভিতরে চ্যালেঞ্জ হিসাবে প্রস্তুত করা হয় তখন প্রায়ই তা হুমকি বা শত্রুতা রূপে দেখা দেয়।

আমার সমস্ত কাজকর্ম যদি, পাঠ্যের পবিত্রতার প্রতি আপনাদের সন্দেহ বৃদ্ধি করার পরিবর্তে শুধুমাত্র আপনাদের রাগ বাড়িয়ে দেয় তাহলে অনুগ্রহ করে আমাকে আপনারা ক্ষমা করবেন।   

পুনরায় জানাচ্ছি আমার অভিপ্রায় দূরভিসন্ধিমূলক নয় কিন্তু সত্য রক্ষার জন্য এবং শেষ পর্যন্ত আমাদের যে পথে নিয়ে যাবে সেই পথেই চলার জন্য হেটে যেতে হবে।

অবশেষে এই বিষয়ের উপর আরও তথ্য জানতে হলে আপনি জে স্মিথ এর লেখা প্রবন্ধের সাহায্য নিতে পারেন, এই ব্লগে পোস্ট করার সময় আমি তার সাথে সামঞ্জস্য রেখেছি

 

 

অন্যান্য লিঙ্কসমূহ

ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়

মুসলমান ও ইসলামী সম্পদ

যিশু এবং ইসলাম

Is the Qur’an sacred?

Leave a Reply