বাইবেল কি নির্ভরযোগ্য

বাইবেল কি নির্ভরযোগ্য?

এই পোস্টটি লেখার সময় আমি বাইবেলের অনন্যতার সাথে যোগসূত্র করতে চেয়েছিলাম, আমি বিশ্বাস করি যা বাক্যের সত্যতার উপর বিশ্বাস দেয় যা সম্পূর্ণভাবে নির্দেশ করে স্বর্গীয় লেখকবৃত্তির উপর।

এই বিষয়ে আরও পড়ার জন্য আমি একটি বই সুপারিশ করতে চাই যা আমি অনেকদিন আগে পড়েছিলাম। “A Ready Defence” গ্রন্থকার জস ম্যাকডোয়েল যিনি একজন নাস্তিক থেকে খ্রিষ্ট বিশ্বাসী হয়েছিলেন। তার অনুসন্ধান ছিল অনেকটা লি স্টোবেলের মতো যিনি তার “কেস” সিরিজ বইয়ের গ্রন্থকার হিসেবে সুপরিচিত।

যখন বাইবেলকে ঘনিষ্ঠভাবে পরীক্ষা করা হয় এটি একটি রত্নের মতো সৌন্দর্যখচিত যা একে অন্যান্য সাধারণ সাহিত্যিক রত্নের থেকে অনন্য করে তোলে। আমি জানি এটা একটা অভিন্ন দাবী যা অন্যান্য মানুষ তাদের ভিন্ন ভিন্ন বৈশ্বিক ধর্মীয় মতবাদকে সুবিধা দিতে গিয়ে করে থাকে কিন্তু চূড়ান্ত বিশ্লেষণে, অন্যান্য শাস্ত্রের সাথে বাইবেলের তুলনা করলে একটি নজীর হয় যেখানে বাইবেল তার নিজস্ব শ্রেণীতে অবস্থান করে।

প্রত্যেক দলই দাবী করতে চায় মৌলিকতা, অনন্যতা, শুদ্ধতা এবং কর্তৃত্ব যেন এটা কিছু প্রধান বা স্বর্গীয় উৎপত্তির সাথে সম্পর্কিত যা তাদের পবিত্র বাক্যের ক্ষেত্রে এবং যা আমি এতদিন দেখেছি তার উপর ভিত্তি করে বলতে পারি এইসব পুস্তকগুলো প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে হয় তাদের খামতি এবং বিদ্বেষপূর্ণ বিশ্বাসের ভিন্ন অবস্থানের উপর ভিত্তি করে দেখলে।

আবার আমি বুঝতে পারি এটা অভিন্ন সমালোচনা যা বাইবেলের বাক্যের বিরুদ্ধে আরোপ করা হয়েছে এবং সংশয়বাদীরা দ্রুতই সকল ধরনের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে কিন্তু কেউ কেউ সবসময় তাদের সমালোচনায় সুনির্দিষ্ট হতে পারেন না।

আরও আমি জানি বাইবেলের মাঝে কিছু সমস্যাকর বিষয় আছে যা বোঝা কষ্টকর কিন্তু তাই বলে এটা সাক্ষ্য হিসাবে যথেষ্ট নয় যে এর বিষয়বস্তুকে আবর্জনা বা অর্থহীন হিসাবে বলা যায়। এর মধ্যে কিছু মতানৈক্য ঘটেছে শাস্ত্রের বিশালতা এবং জটিলতার জন্য যা ১৫০০ বছরের লেখাকে সন্নিবেশিত করে সাথে সাথে ৪০ জন লেখক যারা লিখেছেন ৩ টি ভিন্ন মহাদেশে ৩ টি ভিন্ন ভাষায়৷ এটা বিভিন্ন সূক্ষ্মতার দিকে নিয়ে গিয়েছে যেখানে সময়ে সময়ে এটা পুরোপুরি অসম্ভব সম্পূর্ণ সংশোধন বা পুর্নমিলন করার ক্ষেত্রে কারণ ভাষা এবং ঐতিহ্যের বৈচিত্র‍্য বিদ্যমান।

বাইবেলের কিছু বিষয় আমাদের অভিজ্ঞতার ধারণার ক্ষেত্রে একটা দৃষ্টান্ত, বিশেষ করে এর অলৌকিক এবং রূপক বিষয়, কিন্তু এটা মোটেই বাইবেল কে অস্বীকার করে না বরং এটা আমাদের রহস্যে আবদ্ধ করে যা কিনা আমাদের আদর্শিক ইন্দ্রিয় উপলব্ধি হয় না৷ বাইবেলের বিষয়বস্তু বিবেচনা করলে অন্য কিছু বিষয় আছে যাতে সম্পূর্ণ মতামত ব্যাখ্যা এবং অন্তর্দৃষ্টি সংক্রান্ত ঘাটতি আছে যা লেখকরা আমাদের উত্তর দেননি বা দেবার প্রয়োজন বোধ করেননি। যখন আমরা শূন্যস্থান পূরণ করতে যাই এটা আমাদের প্রায়ই ভুল বোঝার দিকে নিয়ে যায় যা অনেকটা পুঁথিগত ধারণার সাথে আপাতদৃষ্টিতে দ্বন্দ্বাত্বক বা অপ্রয়োগতার সাথে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ যা মতানৈক্য শিক্ষা বা বিশ্বাসের দিকে ধাবিত করতে পারে।

 বাইবেল সবক্ষেত্রে পরিচালিত বা একত্রে বোঝার নিমিত্তে একটা সহজ সাহিত্যিক খন্ড নয় এবং এটা একটা পেঁয়াজের মতো যেখানে প্রত্যেকবার আপনি পড়ার সময় বোঝার অন্য একটি পর্দা খুঁজে পাবেন যা প্রথম প্রকাশে অবহেলিত ছিল। এখানে কোন কিছু পুরোপুরি বোঝা যায়নি এর মানে এই নয় যে এটা বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না৷ এমনকি বিজ্ঞানেরও এইসব সীমাবদ্ধতা আছে যেহেতু তারা এখনই মহাবিশ্বের গভীর রহস্যগুলো প্রমাণ করতে শুরু করেছে এবং মহাবিশ্ব আমাদের কাছে আসল এবং বিশ্বাসযোগ্য দুটোই।

আরও আমরা বাইবেলকে সম্পূর্ণ ম্যানুয়াল হিসাবে বিবেচনা করতে পারি না যেখানে প্রতিটি ক্ষুদ্র বিশদ ব্যাখ্যা করে এবং মনে হয় যে, সকল জটিলতা যা অনুসন্ধিৎসু মনকে আকর্ষিত করে সেইসব বিস্তৃত ব্যাখ্যা রোধ করতে এটা সর্বশক্তিমানের বিশেষ ক্ষমতা। বাইবেলের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে সেখানে একটা মনোযোগ দেওয়া হয় প্রাসঙ্গিক বা কেন্দ্র বিন্দু এবং বিষয়ে বরং সবসময় “কেন” প্রশ্নসমূহের উত্তর দেবার চেয়ে। এটা এমন নয় যে আমরা সবকিছু অনুধাবন করতে বা বুঝতে পারব, যাইহোক এবং কিছু ক্ষেত্রে এটা এমন চেষ্টা করা হতে পারে যে সদ্যোজাত শিশুকে নিউক্লিয়ার সাইন্সের উপপাদ্য শিক্ষা দেওয়া। এটা আমাকে জবের কথা মনে করিয়ে দেয় যে ঈশ্বরের সমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল যা ফিরতিবারে ঈশ্বর জবকে উত্তর দিয়েছিলেন তাঁর সুবিশালতায় যা জবকে নির্বাক করে দিয়েছিল।

মানুষ হিসাবে আমরা এমনি পুরোপুরি বুঝতে পারি না মানুষের প্রাচীন প্রযুক্তি বা অর্জন যেমন পিরামিডের দেয়াল সম্পর্কে যা তাদের উপস্থিতির মধ্যে অনস্বীকার্যভাবে স্মারক এবং এখন আমরা কিভাবে অনন্ত এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের জটিলতা বুঝতে পারব বলে আশা করি?

এবং বাইবেলের মধ্যে কিছু সমস্যাগুলো ইতিহাসের সেই নির্দিষ্ট বিন্দুতে সরাসরি প্রয়োগ হয় যা কিনা সেই সকল প্রজন্মের সমসাময়িক প্রাসঙ্গিকতার মধ্যে থেকে আরও তাৎপর্যপূর্ণভাবে তৈরি হতে পারত।

 সুতরাং আমাদের পুরোপুরি বিবেচনা করার সামর্থ্য কমে যেতে পারে এই সময় এবং স্থানের ক্ষেত্রে এবং একটা বিষয় যা বাইবেলের মতবাদের শূন্যস্থানকে সরু করতে সাহায্য করে তা হল প্রযুক্তিগত নৃতাত্ত্বিক অগ্রগতি এবং তাদের সাক্ষ্যের পুনরুদ্ধারের ফলে যা বাইবেলের বাক্য অস্বীকার করার পরিবর্তে সমর্থন করতে সাহায্য করে। এটা শুধু সময়ের ব্যাপার কোন কিছু পরিষ্কার হবার জন্য যখন আমরা পরবর্তী গাদা স্তুপ করি৷

নৃতত্ত্ববিদরা যেমন উন্মোচন করেছেন হিত্তিয় সভ্যতার আবাসস্থল যা একসময় অবাস্তব বলে মনে করা হত এবং তারা ঐতিহাসিক প্রমাণ পেয়েছেন বাইবেলের বিষয়বস্তুর একসময় যা কিনা পৌরাণিক গল্প হিসেবে সন্নিবেশিত করা হত।

 বিবেচনা করতে বা বুঝতে আমাদের সীমাবদ্ধতা বিকৃত হয়েছে বাক্যের অপবোধগম্যতার ফলে এবং ব্যাখ্যাকারকের পক্ষে ভ্রমতার দরুণ শাস্ত্রের ভুলবোঝার উদ্রেক হয় কিন্তু একটা বিষয় নিশ্চিত যে এই বিবৃতিগুলো মানুষের উপলব্ধিতে প্রয়োগ হয় কিন্তু সেটা পুস্তকের প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নয় অন্যান্য সুবিবেচনার পরিপ্রেক্ষিতে।

 যাইহোক সত্যিই আমার কাছে যথেষ্ট সময় নেই এই একটি পোস্টে এত সুবিশাল কাজ লিপিবদ্ধ করার যাতে এই বিষয়ের উপর অঢেল বৃত্তি উৎসর্গ করা হয়েছে। আশা করি এটা আপনার আগ্রহ কে প্ররোচিত করবে আরও সম্পূর্ণ দাবীগুলো গবেষণা করে কঠিন কিন্তু প্রবেশযোগ্য দরজা খোলার ব্যাপারে যেন আপনি বাইবেলের সত্য উদঘাটন করার ক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারেন।

 একটা বিষয় যে বাইবেলীয় সাহিত্য নিজে নিজে চলে যে সেখানে  অন্য যেকোন পুরানো সাহিত্যের থেকে অনেক পান্ডুলিপির সাক্ষ্য আছে। সেখানে কমপক্ষে ২৫০০০ পান্ডুলিপি আছে ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় যা নতুন পুস্তকের ক্ষেত্রে ১২৫ খ্রিস্টাব্দে এবং পুরাতন পুস্তকের ক্ষেত্রে ২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ফিরে যেতে হয়। এই বিশাল আকারের পান্ডুলিপি সাহায্য করে যখন সত্যতা পুনর্গঠন করা হয় সম্ভাব্য গোলযোগ বিশ্লেষণ করে স্ক্রাইবাল ওঠানামার কারণে এবং পন্ডিত এবং ভাষাবিদের এইসব পুনর্গঠন প্রচেষ্টা অনেকাংশেই শুদ্ধ বাক্যে পরিণত হয়েছে।

 এইগুলোর মধ্যে অনেক রূপ যেগুলো পাওয়া যায় তা নগণ্য যেমন ভুল বানান এবং তাই তারা বাক্যের সততার ক্ষেত্রে ফলাফলহীন।

দূর্ভাগ্যবশত আমাদের কাছে মৌলিক বা স্বহস্তাক্ষর নেই কিন্তু তবুও সেখানে মাত্র ১০০ বছর সময়ের ব্যবধান নতুন পুস্তকের স্বহস্তাক্ষর এবং পুরাতন জীবিত অনুলিপির মধ্যে, যেটা আদতে ছোট অন্যান্য সাহিত্যে বিবেচনা করে যা আমরা পেয়েছি ৪০০ থেকে ১০০০ বছরের মধ্যে প্রাচীনত্ব যা মৌলিক অনুলিপি থেকে অপসারিত।

 এবং নতুন পুস্তকের বাক্য সংরক্ষণ এবং সত্যয়ন বিবেচনা করে যার মধ্যে ১১ শ্লোক ব্যতিত বেশিরভাগ পুরোপুরি পুনর্গঠন করা যেতে পারে ৯৭ থেকে ১৮০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত গীর্জার পিতাদের উদ্ধরণ দ্বারা। অধিকন্তু ১০০ থেকে ৩০০ খ্রিস্টাব্দের পাঠ্যও সম্পূর্ণ নতুন পুস্তকের বিষয়বস্তু নিশ্চিত করে।

বিবেচনা করার মতো অন্য একটি বিষয় হল যে যখন উৎসগুলোর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সময় থাকে তখন বেশ সম্ভাবনা থাকে যে একটি দলিলের সাহিত্যের বিষয় অলঙ্কৃত হয় যেটি মৌলিক ঐতিহ্যের কারণে অভিব্যক্ত হতে পারে অবাস্তব অংশে। আমরা এটি আবিষ্কার করেছি যখন আমরা শিশুকালে টেলিফোন নিয়ে খেলা করেছি। তাই আমি বিশ্বাস করি এই পান্ডুলিপির উৎসগুলোর মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম সময় দেবার কারণে বাইবেলের বাক্যের সত্যতা প্রতিপাদন করে। মৌলিক স্বহস্তাক্ষরগুলো কেন সংরক্ষণ করা এবং বাঁচিয়ে রাখা কঠিন ছিল তার অন্যতম কারণ হল চর্মের কাগজের কমতি থাকার কারণে, যার বেশিরভাগটা ছিল প্যাপিরাস৷ শতাব্দী পর্যন্ত পশুর চামড়া সর্বজনীনভাবে ব্যবহৃত হত না নতুন পুস্তক সম্পন্ন হবার পরে তাই উপসংহারে এই বিশাল পান্ডুলিপির লম্বা সারি একসাথে শাস্ত্রের বাক্য সাক্ষ্য আবদ্ধ করার ক্ষেত্রে একটা আশীর্বাদ হিসাবে পরিণত হয়েছে গুটেনবার্গ মুদ্রণযন্ত্রের সুবিধা ছাড়াই।

 পুরাতন পুস্তকের দিকে নজর দিলে, এটা আমাদের নিকট এসেছে ম্যাসুরেটস। এইসব কপিয়িস্ট বা স্কাইবস অতিসতর্ক ছিল কিভাবে এত অক্ষর, শব্দ এবং লাইনসমূহ পবিত্র বাক্যের সাথে সংগতি সাধন করা হয়। এই ধরনের বিশদের সামঞ্জস্য আরোপিত হয় যা আমরা দেখেছি ১৯৪৭ সালে ডেড সী স্ক্রলের আবিষ্কারের সাথে যা লিখিত হয়েছিল ম্যাসুরেটস লিপির(৮৯৫ খ্রিস্টাব্দ) ১০০০ বছর পূর্বে। যখন আমি জেরুজালেমে ছিলাম, তখন বই যাদুঘরের মন্দিরে ইশাইয়া স্ক্রোল দেখতে সক্ষম হয়েছিলাম।

 যাইহোক, এছাড়াও পুরোনো পুস্তকের আরেকটি অনুলিপি রয়েছে যা সেপ্টুয়াজিন্ট নামে পরিচিত, যা বিগত দ্বিতীয় শতাব্দীর দিকে গ্রীক ভাষায় লেখা হয়েছিল, যা এখনও এই প্রাচীন সাহিত্যের ধাঁধার অন্য একটি অংশ।

এখন নতুন পুস্তক প্রসঙ্গে, মূল পাণ্ডুলিপিটি লেখা হয়েছিল ৪৫ ও ৯৫ খ্রীস্টাব্দের মধ্যে। সৌভাগ্যবশত এসব দলিলাদি আরোপ করা হতে পারে তাদের বিভিন্ন সময়ে সুপরিচিত ব্যক্তি, স্থান এবং ঘটনার ঐতিহাসিক গুরুত্বের উপর ভিত্তি করে। এটা ছাড়াও আমি মনে করি এসব দলিলাদির বয়স নির্ণয়ে একটি প্রধান উপাদান হচ্ছে তথ্য যেটা হচ্ছে ৭০ খ্রীস্টাব্দে দেবালয়টি ধ্বংস করা হয়েছিল এবং অদ্যাবধি এটি এমন একটি সর্বনাশা ঘটনা যার সঠিকভাবে উল্লেখ নেই এমন সব গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক বইতে কর্মানুষ্ঠান বা প্রচারিত নিয়মের ধারাবাহিক বর্ণনা হিসেবে তারপর এটা বোধগম্য হল যে এই বইগুলো কেন ইতিহাসে এই বিশেষ ঘটনার আগে এসেছে।

এছাড়াও, পূর্বে নতুন পুস্তক গৃহীত হতে পারত ক্যানন হিসেবে এর বৈধতা ছিল এবং উৎপত্তি ছিল বলে প্রমাণিত হয়েছে যা একে দাবী করে হয়তো একটি সরাসরি সাক্ষী অথবা কেউ ঘনিষ্ঠভাবে এই সাক্ষীর সাথে সম্বন্ধযুক্ত বিশ্বাসীদের নতুন পুস্তক সম্প্রদায়ে গ্রহণযোগ্যতা খোঁজার উদ্দেশ্যে।

প্রায় সকল নতুন পুস্তক বাণীপ্রচারক কর্তৃক লিখিত সাহিত্যের অধিকাংশ অংশ যা হচ্ছে বাণীপ্রচারক পল কর্তৃক আরোপিত। অন্যান্য যারা বই লিখেছেন তারা ঘনিষ্ঠভাবে বাণীপ্রচারকদের সাথে সম্বন্ধযুক্ত ছিলেন যেমন যোহন মার্ক যিনি বাণীপ্রচারক পিটারের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ছিলেন এবং লূক যিনি পলের দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন এবং সেখানে আরও ছিল জ্যাকব (জেমস) এবং জুডাহ (জুড) যারা ছিলেন যীশুর সৎভাই। গোঁড়ার দিকের গীর্জার অনুসারীদের দ্বারা ধর্মশাস্ত্রগুলোর তারিখ ও গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তির উপরে প্রচারের জন্য প্রেরিত এইসব লেখকদের সত্যতা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন করার কোন কারন নেই।

এমনকি ১০৫ খ্রীস্টাব্দে পলিকার্প, যিনি বাণীপ্রচারক যোহনের একজন শিষ্য ছিলেন, তিনি ১৫ টি নতুন পুস্তক বইয়ের উল্লেখ করেছেন, এটা বলতে নয় যে অন্যান্য বইগুলোর অস্তিত্ব নেই, কিন্তু পরিশেষে বিভিন্ন গীর্জা পরিষদের মধ্য দিয়ে ৩৯৭ খ্রীস্টাব্দে কার্থেজ পরিষদের প্রতি অগ্রসর হয়, নতুন পুস্তকের ক্যানন সমাপ্ত নির্ধারিত হয়েছিল এবং পুরোপুরি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত ও গৃহীত ছিল যদিও এটা এর আগেই অনুমোদিত ছিল সন্তদের সম্প্রদায়ে যারা এইসব পরিষদের অধিবেশনের চেয়েও আগেকার। এ ছাড়াও জামনিয়ার ইহুদী পরিষদ এর আগেই তাদের ধর্মশাস্ত্রের ক্যানন অনুমোদন করেছিল ৯০ খ্রীস্টাব্দের আগে পুরাতন পুস্তক পাঠ্য আনুষ্ঠানিকভাবে সারসংগ্রহ করার দ্বারা।

পরিষদের জন্য অন্যতম কারন ছিল একটি প্রতিক্রিয়াশীল জবাবের কারণে যেমন বাইবেলে উল্লিখিত গোঁড়ামি অক্ষুণ্ণ রাখার প্রয়োজন যা বিভিন্ন ধর্মানুষ্ঠান ও ধর্মদ্রোহীতা দ্বারা আক্রমণের অধীন ছিল যেগুলো ইতিহাসে এই সন্ধিক্ষণে প্রচারিত ছিল। এছাড়াও এসব পরিষদে, যার মধ্যে জামনিয়া অন্তর্ভুক্ত, বিভিন্ন সন্দেহজনক সাহিত্য অনুপ্রেরণীয় হিসেবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল যদিও এটা সেপ্টুয়াজিন্টদের ভেতরে মেনে নেওয়া হয়েছিল এবং পরে বিভিন্ন শাস্ত্রবিশ্বাসী ও ক্যাথলিক বাইবেলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

গোঁড়ার দিকের গীর্জা প্রমাণীকরণের প্রতি অত্যধিক সংবেদনশীল এবং প্রচারিত পাঠ্যের অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে খুবই সংকীর্ণ ছিল। গীর্জা চেয়েছিল বিতর্কমূলক পাঠ্যের সমলয় বিধান এড়িয়ে চলতে যা কিছু ধর্ম যেমন হিন্দুধর্মের চেয়ে আলাদা যা বিভিন্ন পরস্পরবিরোধী উপজাতীয় ঐতিহ্যকে সমন্বিত পাঠ্য হিসাবে একটি সমন্বয় অন্তর্ভুক্ত করে।

সুতরাং বাইবেল শুধুমাত্র পৌরাণিক কাহিনীর মিশ্রণ ও মিলনের দ্বারা এলোমেলো ভাবকে একত্র করতে আসেনি যেমন যা আপনি কিছু প্রাচীন পৌত্তলিক সংস্কৃতিতে খুঁজে পেতে পারেন যা সৃষ্টি ও মহাপ্লাবন বর্ণনার ঘটনাকে বহু ঈশ্বরবাদী দেবতাদের কাজ হিসেবে আরোপ করে। এটা নিজেকে শুধু তথ্যের অপব্যবহার হিসেবে কাজে লাগায় তা নয় বরং লেখকদের একটি বদ্ধমূল ধারণা আছে এর সঠিকতার জন্য। শুধু ডক্টর লূকের প্রচারিত নিয়মের বর্ণনা পড়বেন যিনি স্পষ্টতার অভিপ্রায়ে লেখেন যেমন বর্ণিত হয়েছে লূক ১:১-৪ তার প্রচারিত নিয়ম বর্ণনার প্রারম্ভিক বক্তব্যে যেটা প্রস্তুত হিসেবে বর্ণিত হয়েছে একটি সুশৃঙ্খল এবং যথাযথ ছন্দে।

যদিও বাইবেল অতিপ্রাকৃত উপাদান ধারণ করতে পারে, এটা লেখা হয়েছে ঐতিহাসিক কাহিনীর পরিপ্রেক্ষিতে যা হচ্ছে অন্যান্য পৌরাণিক সাহিত্যের থেকে অনন্য ও আলাদা। যদি ঈশ্বর যিঁনি দাবী করেন যে বাইবেল তাঁর তখন তাঁর সর্বশক্তিমত্তা, সর্বজ্ঞতা এবং সর্বত্র বিদ্যমানতা পরিষ্কারভাবে উপাত্তের পরিসরের মধ্যে পরিবর্তনশীল যা বাইবেলে উল্লিখিত বর্ণনা সমর্থন করে।

সেখানে আরও কিছু  অভিযোগ উত্থাপিত হয় প্রচারিত নিয়ম বর্ণনার বিরুদ্ধে যা অন্তর্ভুক্তি ও বর্জনের অসামঞ্জস্য দ্বারা দেখা যেতে পারে। বাইবেল অনুপ্রেরণা শিক্ষা দেয় একটি ঐশ্বরিক ও মানবীয় উপাদান উভয়ের সংগমস্থল সহকারে যা ইসলামের সাথে অসদৃশ যেটা শিক্ষা দেয় যে কুরআন একটি স্বর্গীয় অনুলিপি হিসাবে উৎপত্তি হয়েছে যা আদেশ দ্বারা জ্ঞাপন করে একজন শ্রুতিলেখক স্বরূপ।

প্রচারিত নিয়মের লেখকরা স্বতন্ত্র ছিলেন যারা একই ঘটনার উপর ভিত্তি করে তাদের পরিচালিত উপলব্ধি লিখেছিলেন যেন এটা তাদের পৃথক ব্যক্তিত্ব এবং অভিজ্ঞতার সাথে সম্পর্কযুক্ত যা অনেকটা একজন দর্শককে একটি খেলার ঘটনায় সেই খেলা সম্পর্কে তাদের প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করার সাক্ষাৎকার। সকলে একই জিনিস বলবে না তাদের প্রকৃত তথ্যের জ্ঞাপনে বিভিন্ন সুবিধার কারণে এবং যদিও সেখানে প্রতিপাদন হচ্ছে যেমন আপনি দেখবেন সারসংক্ষেপিত প্রচার নিয়মে এখনো ব্যক্তি স্বাতন্ত্র‍্যের জন্য বিশেষ অধিকার আছে। অবশ্যই, এটা শুধু গ্রহণযোগ্য যতক্ষণ পর্যন্ত না এটা প্রকৃতিতে পরস্পরবিরোধী হয়।

যদি গীর্জা কোন অনুভূত অসঙ্গতি সরাতে চায় যেমন অনুমিত অসঙ্গতিগুলো পরিহার করতে সাহায্য করে, তাহলে এখন থেকে এটা করতে তাদের কাছে অফুরন্ত সময় আছে কিন্তু এর কারণে খানিকটা বিতর্কিত ধর্মশাস্ত্রগুলো এর মৌলিকত্ব প্রমাণে সাহায্য করতে থাকে। যদি আমরা বাইবেলে উল্লিখিত সাহিত্যকে প্রশ্ন করি, তখন আমরা অবশ্যই একইভাবে প্রাচীন যুগের ঐতিহাসিক সাহিত্যে সেইসাথে অন্যান্য সাহিত্যে প্রশ্ন করি এমনকি সমসাময়িক উৎসগুলো থেকেও প্রশ্ন করি। আমরা ধর্মকে শুধুমাত্র সারি বা শ্রেণীভুক্ত করতে পারি না কুসংস্কার, বানানো গল্প এবং পুরাকথার উপাধির অধীনে কেননা এটা ধর্মীয় মতাদর্শ সংক্রান্ত।

আমাদের অবশ্যই আরও খুঁটিয়ে দেখা উচিৎ যে প্রমিত পাঠ্যপুস্তক উপাদান হিসেবে কি বিবেচিত হয় যেমন বিজ্ঞানসংক্রান্ত (দার্শনিক) দেশে কি পাওয়া যায় যা তাদের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির তত্ত্ব এবং অনুমানের উপরে চূড়ান্ত সাক্ষ্য প্রতিষ্ঠা করে।

এখনো পর্যন্ত আমরা ধর্মীয়ভাবে এই বইগুলোকে পবিত্র হিসাবে আলোচনা করছি কোন আপত্তি ছাড়া কল্পবিজ্ঞানের ধারণা গ্রহণের দ্বারা এইসব বিষয়ের যেমন ম্যাক্রোবিবর্তন যেটা কখনো প্রমাণিত হয়নি।

ধর্ম আরোপিত হয়েছে জনসাধারণের প্রস্বাপন হিসেবে কিন্তু বিজ্ঞান এবং দর্শনের সায়ানাইড সম্পর্কে কি, অথচ বিজ্ঞানের পরমকারণমূলক ও মহাজাগতিক যুক্তি এর সমাধানে হোঁচট খেয়েছে এবং সময়ে সময়ে তাদের বিশ্বাস রক্ষার উদ্দেশ্যে তাদের অবস্থান পরিবর্তিত হয় যা একটা অব্যাহত প্রবাহের অবস্থায় থাকে। নিকট পর্যবেক্ষণে যদি অবিশ্বাসীরা তাদের দলিলের কবাট টেনে বিদায় করতে পারে, তারা আবিষ্কার করতে পারবে সৃষ্টিকর্তা অণুবীক্ষণযন্ত্র ও দূরবীনের লেন্সের মধ্যে দিয়ে তাদের দিকে অনিমেষনেত্রে চেয়ে আছে।

বাইবেল অভিপ্রেত ছিল মানবীয় একাডেমিয়ার পাঠ্যের প্রতি সম্পূরক হিসেবে এবং জীবনের কর্মবিধির সাথে তা বিরুদ্ধ নয় যেহেতু এটা জ্ঞানের গ্রন্থাগারের ভেতরে প্রতীয়মান হয়। যাইহোক, কেউ কেউ একটি বিশেষ অধ্যায় সৃষ্টি করতে চায় যা একে পৃথক করে অবশিষ্ট গ্রন্থাগারের বইয়ের সংগ্রহ থেকে গুণারোপের দ্বারা এর চিন্তার অস্পষ্টতা বা ভিন্ন প্রকারের প্রাচীন সভ্যতার গোষ্ঠীসমূহের যারা অজ্ঞ ও ত্রুটিপূর্ণ ছিল তাদের পূর্ব বৈজ্ঞানিক বিশ্বাস ছিল।

পরিশেষে, এই পোস্টটি সকল আপত্তিমূলক প্রশ্নের উত্তর দেয়না, কিন্তু এটা এই বিষয়ে দেখায় যে বাইবেল প্রাচীন সাহিত্যের একটি নির্ভরযোগ্য উৎস। তথাপি কি বিষয় এই কাজের অংশকে অনন্য করেছে সেই বিষয়টা যেটার নিজস্ব স্বর্গীয় সত্তার উৎপত্তি আছে।

আমি বিশ্বাস করি এটা সৃষ্টির কিছু জিনিসকে দাবী করে যেটা বিশেষ দৈববাণী বলে বিবেচিত যেমন ভবিষ্যদ্বাণীর পূর্ণতা বা বৈজ্ঞানিক বিষয় যা এসব প্রাচীন সভ্যতার কাছে অজানা ছিল।

একজন ব্যক্তি সমালোচনা করতে পারেন যে বাইবেলে উল্লিখিত দৈববাণী একটি তীরের মতো যা নিক্ষিপ্ত হয় লক্ষ্য হিসাবে বাইবেল অনুবর্তিতার সাথে যেটা আমরা সুবিধামত পূর্ণতা অর্জনে চালিত হই।

তথাপি এখানে কিছু বিষয় আছে যেটা আমরা পর্যাপ্তরূপে খণ্ডন করতে পারিনা মাধ্যমিক বা বাইবেলে অনুল্লিখিত উৎসের ঐতিহাসিক প্রকৃতির কারণে যেটা হচ্ছে বাইবেলে উল্লিখিত উৎসের সংস্কারমুক্ত।

এই উৎসগুলোর মধ্যে থেকে একটি আমাদের কাছে এসেছে ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের মাধ্যমে যা প্রতিপন্ন করতে সাহায্য করে এবং বাইবেলে উল্লিখিত পাঠ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রদান করে। ধর্মশাস্ত্রগুলো নিজেরা স্বয়ং কিছু ইচ্ছা তৈরী করেছে পরিত্রাণ গ্রহণের প্রতি এবং আমরা একে দেখি কিছু ইহুদীর প্রতিক্রিয়া হিসেবে যারা যীশুকে মসীহ হিসাবে বিশ্বাস এনেছে শুধুমাত্র তানাখ বা পুরাতন পুস্তক ধর্মশাস্ত্র পড়ে। অধিকাংশ ইহুদীর ক্ষেত্রে নতুন পুস্তক একটি নিকৃষ্ট মাধ্যমিক পাঠ্য কিন্তু যখন তারা একটি শ্রেণীবিন্যাস দেখে ঐতিহাসিক ক্রুশারোহন এবং নতুন পুস্তক নথির মধ্যে তখন মাঝেমধ্যে দৈববাণীর দীপ্তি যীশুর সাথে যোগাযোগে তাদের হৃদয়কে প্রদীপ্ত করে যেমন  পুরাতন পুস্তকের সর্বশ্রেষ্ঠ মসীহ মূর্তির পূর্ণতায়।

ইহুদী সম্প্রদায় যীশুর প্রতি সহানুভূতিশীল নয় যদিও আমরা একই সর্বজনীন ঈশ্বর এবং একটি পবিত্র বইয়ে বিশ্বাসের অংশ। সেটার একটি অধ্যায় হচ্ছে কিছু ধর্মপরায়ন ইহুদী ইশাইয়া ৫৩ এড়িয়ে যায় এর ভবিষ্যদ্বাণীপূর্ণ তাৎপর্যের কারণে যেহেতু তা যীশুর সাথে সম্পর্কিত। অনেক সময়, যখন অজ্ঞান ইহুদীরা প্রথমবারের মতো ধর্মশাস্ত্রের এই অংশ শোনে কেউ কেউ তাৎক্ষণিকভাবে যীশুর সাথে এই রচনাংশকে জুড়ে দেয় এবং তাদের প্রারম্ভিক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে যে আমরা নতুন পুস্তকে বিশ্বাস করি না এটা অনুধাবন ছাড়া যে তারা তাদের ইহুদী ধর্মশাস্ত্র থেকে এইমাত্র একটি রচনাংশ শুনল। আরেকটি ভাববাণী, যেটা পাওয়া যায় *Psalms ২২, যা বর্ণনা করে যীশুর ক্রুশবিদ্ধকরণের দৃশ্য যেটা বর্ণনা করে এই ধরণের মৃত্যুদণ্ড যা ইতিহাসে এই ক্ষেত্রে অবিদ্যমান ছিল এবং যতক্ষণ না পর্যন্ত পরবর্তীতে পার্সিয়ানদের দ্বারা অভিব্যক্ত হয় যা চূড়ান্তভাবে রোমানগণ কর্তৃক গৃহীত হয়।

আবার, এটি ঐ ধর্মশাস্ত্রগুলো থেকে আরেকটি যা কিছু ইহুদী প্রথমবারের মতো শুনে তাৎক্ষণিকভাবে যীশু এবং তাঁর মৃত্যুর ভেতরে একটি সামঞ্জস্য হিসাবে দেখে। প্রকৃতপক্ষে, এটি একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মশাস্ত্র যেটাতে আমার ইহুদী স্ত্রী নিজে থেকে যীশুর প্রতি বিশ্বাস এনেছে।

ভবিষ্যদ্বাণীপূর্ণ সাক্ষ্যের বিবেচনায় আমি একজোড়া ঘটনার উল্লেখ করতে চাই যা বাইবেলের উৎসের বাইরে অনন্য হিসেবে স্বীকৃত হতে পারে এবং অনস্বীকার্যভাবে একটি ধর্মীয় পাঠ্যের প্রভাব ছাড়া অখণ্ডনীয় যা একাই আমাদের বলে কি ঘটেছে যা প্রকৃত ঘটনার পরে কিছু যুক্ত করার সম্ভাব্যতা অন্তর্ভুক্ত করে।

শুরুতে আমরা জানি যে পুরাতন পুস্তক হচ্ছে নতুন পুস্তকের চেয়েও পুরনো এবং সেপ্টুয়াজিন্ট এবং ডেড সী স্ক্রলের তারিখ স্থিরিকৃত হওয়ার কারণে এ নিয়ে কোন বিতর্ক নেই এবং এই কারণে এই পাঠ্য খ্রীস্টধর্মের আবিষ্কারের পূর্বে নয়। ইহুদী সম্প্রদায় এই নতুন চুক্তি যুগের আবির্ভাবের বহু আগে এই পাঠ্যের অভিজ্ঞতা লাভ করেছিল এবং ইহুদীরা এমনকি এটার ব্যাপারে চিন্তা করেনি যে এটা বাইবেলে বর্ণিত বিষয়ের সংযোজিত অংশ।

তথাপি ধার্মিক ইহুদীগণ কিছু প্রকৃত সমস্যা খুঁজে পায় এই পুরাতন পুস্তক ধর্মশাস্ত্রে এবং অধিকন্তু তারা তা পড়া এড়িয়ে চলেন বা তা নিজের বলে দাবী করেন বা তা বুঝতে এত কঠিন যে বিশেষত যখন এটা পাঠ্যের ভাববাণী হিসেবে যীশুর নিরীক্ষণের সম্ভাব্যতা আসে।

একটি বিষয় আমি বিস্তৃতভাবে আলোচনা করেছি অন্য একটি ব্লগে যা হচ্ছে দানিয়েলের সত্তর সপ্তাহ যেটা বর্ণনা করে একটি স্থির তারিখের ঐতিহাসিক সময়সূচি যা তৈরী করা বা পরিবর্তন করা যায় না যেটা বিশেষভাবে নির্দেশ করে সেই সময়ের দেবালয় ধ্বংসের দ্বারা যীশুর পদানুবর্তী হওয়া।

jesusandjews.com/wordpress/2009/06/19/jesus-the-messiah/

এছাড়াও, আরেকটি সাক্ষ্য এবং এই আধুনিক যুগে অন্যতম প্রধান অলৌকিক ঘটনা হচ্ছে ইসরায়েল রাষ্ট্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং একটি সম্পূর্ণ আত্তীকরণ ও ধ্বংসের সকল মতভেদের বিরুদ্ধে ইহুদী ব্যক্তিদের চলমান বিস্তার যেটা জেনেসিস ১৩:১৪,১৫ এর ভবিষ্যদ্বাণীপূর্ণ গুরুত্বকে নিশ্চিত করতে সাহায্য করছে যা আব্রাহামকে একটি প্রাচীন প্রতিজ্ঞা হিসেবে দেওয়া হয়েছিল তার বংশধরদের বিষয়ে যেন তারা চিরতরে ইসরায়েলের ভূমিতে নিবাসী হয়। এই ভাববাণী প্রায় ২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে দেওয়া হয়েছিল এবং এটা এখনো ২০২১ খ্রীস্টাব্দের জন্য প্রযোজ্য এবং তার পরেও।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের এই ঐতিহাসিক পুনর্জন্ম ছিল একটি স্বর্গীয় অলৌকিক ঘটনা যা সাক্ষ্য দেয় বহিষ্কার ও অভিবাসীর বিরোধী শক্তির ভেতরে ইসরায়েলের রক্ষা যার ফলে তদন্ত, ধর্মযুদ্ধ, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা এবং এমনকি নাৎসি হত্যাকাণ্ড প্রসূত এবং তথাপি তারা এখনো টিকে আছে এবং তাদের পৌত্তলিক ও জাতীয় পরিচিতি ধরে রেখেছে স্বতন্ত্র মানুষ হিসেবে এবং যার ফলে পুরোপুরিভাবে একীভূত নয় পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যান্য মানবগোষ্ঠীর সাথে যারা তাদের স্বদেশ হারিয়েছে। ইহুদীরা হয়তো অস্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুত কিন্তু কেবল প্রত্যাবর্তন করতে পারে। ঈশ্বর তাদের প্রদর্শন করতে স্থাপন করেছেন যেন পৃথিবী তাঁর প্রতিজ্ঞার মহিমা এবং মহত্ত্ব দেখতে পায় যা কোন অনুশোচনা ছাড়া হয়।

এই ছাড়াও শুধুমাত্র অলৌকিক ঘটনা শুনে যা ইহুদী লোকদের মধ্যে ঘটেছিল যেহেতু তারা তাদের মাতৃভূমি ধরে রাখতে লড়াই করেছিল তা তোমাকে একজন বিশ্বাসী করতে যথেষ্ট। দেখতে গেলে আরব দেশগুলোর সন্নিহিত হানাদার সৈন্যবাহিনী থেকে তাদের রক্ষার জন্য ঈশ্বরের হাত ছিল যখন তারা সংখ্যায় অধিক এবং সম্পূর্ণরূপে সশস্ত্র ছিল যা কি না বাইবেলের বাইরে একটি কাহিনী যেটা অনেকটা দাউদ এবং গোলিয়াথের কাহিনীর মতো। পৃথিবীতে অনেক মহান সভ্যতা এসেছে এবং গিয়েছে কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য ব্যর্থ হবে না। এই বিষয়ের পুনরাবৃত্তি দেখতে একটি সহায়ক নির্মিত চলচ্চিত্র হচ্ছে “Against all the Odds”।

বিজ্ঞান প্রসঙ্গে অনেকে চিন্তা করেছে যে আধুনিক বৈজ্ঞানিক যুগের অগ্রগতির সাথে বাইবেল বেমানান এবং তথাপি আমরা জানি যে অনেক বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক তাদেএ নিজ নিজ শৃঙ্খলাতে কাজ করছেন যেটার ন্যূনতমরূপে একটি আধ্যাত্মিক দর্শন আছে সেইসাথে তাদের একটি অংশ জুডিও-খ্রিস্টিয় বিশ্বাসের প্রতি সংলগ্ন। এখানে একটি লিংক আছে যাতে এইসব ব্যক্তিদের একটি আংশিক তালিকা দেওয়া হয়েছে।

www.christiananswers.net/q-eden/edn-scientists.html

উপসংহারে, বাইবেলের পাঠ্য বা বাইবেলের ঈশ্বর সম্পর্কিত যে প্রশ্নটি করেন তা কখনোই প্রমাণিত হতে পারে না, কিন্তু এটা আপনার ক্ষুধা যথেষ্ট বাড়ানো মানে মানুষের বাস্তবতার ক্ষুধার যন্ত্রণা মেটানো সন্তুষ্ট করার নিমিত্তে ঈশ্বরের বাক্যের খাবার ভর্তি থালা অনুসন্ধান করতে সাহায্য করবে। আমাদের সমস্যা হল আমাদের এমন একটি তৃণশয্যা রয়েছে যা স্রষ্টার কাছে রুচি পাওয়ার দিকে চূড়ান্ত নয়।  তবুও বাইবেল আমাদের বলে স্বাদ গ্রহণ করুন এবং দেখুন যে প্রভু ভালো।

ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়-Bengali

হিন্দু সম্পদ

যিশু এবং ইসলাম

Is The Bible Reliable

 

 

 

AMG’s Encyclopedia of Bible Facts, AMG Publishers, Chattanooga, Tennessee

Reprinted by permission. “Josh McDowell A Ready Defense, Josh McDowell and Bill Wilson, Copyright 1993, Thomas Nelson Inc. Nashville, Tennessee. All rights reserved.”

Leave a Reply