ইসলাম যেকোনো ধরনের পৌত্তলিকতার প্রভাব থেকে স্বাধীনতা দাবি করে যদিও এখনও সেখানে পৌত্তলিকতার প্রতীক ও অনুশীলন অবশেষ আছে পুরাকালীন অতীত থেকে এবং তা কি ইসলামের সামাজিক কাঠামোর সাথে একীভূত হয়েছে?
আমি পূর্বেই কা’বা সম্পর্কে আলোচনা করেছি এবং এখন আমি ইসলামিক প্রতিনিধিত্বের আরেকটি দৃশ্য উপস্থাপন করছি যেটা অর্ধচন্দ্রাকার চাঁদ এবং নক্ষত্রের সাথে সম্পর্কিত।
এইসব প্রতীকগুলো বিভিন্ন ইসলামিক দেশের সাথে সংযুক্ত যারা তাদের জাতীয় পতাকার উপরে এই পরিচয়চিহ্ন গ্রহণ করেছে এবং যেমন এটা তাদের মিনার ও মসজিদের উপরেও প্রদর্শিত হয়।
এই প্রতীকীবাদ ইসলামের আবির্ভাবের চেয়েও পুরনো এবং অমর দেহের পূজা যেমন আরবি দেবতা ‘হুবাল’ বা ‘চন্দ্র দেবতা’র সাথে সম্ভবত সম্পর্কযুক্ত যা কি না কা’বার সাথে সম্পৃক্ত।
এইসব চিত্র বিদেশি সংস্কৃতি বা আরব গোত্র থেকে উদ্ভূত হতে পারে কিন্তু তা সত্ত্বেও এটা খুব সম্ভাব্য পৌত্তলিক বিগ্রহ অর্থে অনুপ্রাণিত।
পৌত্তলিক সাংস্কৃতিক মূল্য থেকে ইসলাম পৃথক এটা দাবি করা প্রশ্নবিদ্ধ মনে হয়। অন্যের বিষয় থেকে ধার করার অনুশীলন যেন ‘এক ঈশ্বর’ এর অভিমতের সাথে বিদ্রুপাত্মক।
এই একই ঘটনা অন্যান্য অনেক ইসলামিক এলাকায় বিদ্যমান যেমন যেখানে স্থানীয় বিশ্বাস এবং লোকাচারবিদ্যা প্রায়ই মুহাম্মাদের উপদেশের সাথে সমন্বয় প্রচেষ্টার সংযুক্তি করে যা কিনা একটি মিশ্রণের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের প্রতি বিশ্বাসের শুদ্ধতা প্রতিষ্ঠিত হয়।
ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়-Bengali