যীশু, ইসা, ঈসা, যেশু এবং যেশুয়ার দর্শন এবং স্বপ্ন

সম্ভাষণ, মুসলিম দেশে বাসকারী আমার একজন বন্ধু আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আমি যাদের চিনি তাদের সাথে যীশুর দর্শন এবং স্বপ্ন বিষয়ে আমি অংশী হই কি না। শুরুতে আমার একটি স্বপ্ন ছিল ঈশ্বরের বিষয়ে যখন আমি শিশু ছিলাম এবং আমি সেই স্বপ্নকে মিথ্যা ভাবিনি কারণ তিঁনি একটি উজ্জ্বল আলো হয়ে আমার কাছে প্রতীয়মান হয়েছিলেন যেটা বাইবেলে উল্লিখিত ঈশ্বরের স্বর্গীয় জ্যোতির বর্ণনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যা ঐ সময়ে আমার কাছে অজানা ছিল। এটা আমার উপরে একটা গভীর ছাপ রেখে গিয়েছিল যা আমি আজও মনে করতে পারি এবং যদিও তিঁনি আমাকে কিছুই বলেননি তবু এটা তাঁর উপস্থিতির অত্যুজ্জ্বলতা ছিল যা আমাকে জানিয়েছিল যে তিঁনি আরাধনার যোগ্য এবং যার ফলে তাঁর কাছে আমি অবনত হই।

এছাড়াও আমার কিছু ইহুদি বন্ধু আছে যাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে যীশুকে নিয়ে। একজন ভদ্রমহিলা আমার ভালো বন্ধু ছিলেন এবং তিনি খ্রীস্টধর্মের খুব বিরোধী কারণ তার বিবেচনায় সব ধর্মই যুক্তিসিদ্ধ এবং বৈধ। তিনি কখনোই আমার কথা গভীরভাবে নেননি এবং এমনকি একসময় তিনি মন্তব্য করেছিলেন যে তার বাবা খ্রীষ্টানদের সাথে ভালো তর্ক করতেন এবং কথোপকথন সেখানেই ছিল শেষ। যাইহোক, মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তে তিনি হাসপাতালে ছিলেন এবং দাবী করেছিলেন যে তিনি যীশুর কাছ থেকে বিভিন্ন দৈবানুগ্রহ পেয়েছিলেন। এখন, যীশুর সাথে ঘনিষ্ঠ সাক্ষাৎ একজন ইহুদির জন্য স্বীকার করা একটি চমকপ্রদ এবং অলৌকিক ঘটনা এবং আমি বিশ্বাস করি যেটা তার উপলব্ধিকে গভীরভাবে পরিবর্তন করেছিল যীশু সম্পর্কে যে তিঁনিই মসীহ।

আরেকটি ঘটনা হচ্ছে একজন দক্ষিণ আফ্রিকান ইহুদির যিনি একটি চার্চে আমার একজন অন্যতম পালক ছিলেন যেখানে আমি অংশগ্রহণ করতাম। তিনিও মসীহ হিসেবে যীশুর ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন অথচ জেরুজালেমে ভ্রমণের সময় তার বিভিন্ন প্রখর দর্শন ছিল তাঁর ব্যাপারে। তিনি তার অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি বই লিখেছেন যার নাম “জেরুজালেমে আমার লড়াই” (My Jerusalem Encounter)। পরিশেষে, কিছু আকর্ষণীয় এবং বিস্ময়কর ঘটনা বা আত্মসাক্ষ্য এসেছে আমার কিছু মুসলিম বন্ধুদের কাছ থেকে যারা যীশুকে শুধু নবী হিসেবে পবিত্র জ্ঞান করেনা বরং যীশুকে ঈশ্বর হিসেবে মেনে নিয়ে তাদের বিশ্বাস স্থাপন করেছে।

প্রথমবারের মতো কারো সাথে আমি এরকম কথা বলেছিলাম যখন আমি মধ্যপ্রাচ্যের একজন লোককে আন্তর্জাতিক গীর্জা সম্মেলনে প্রত্যক্ষ করেছিলাম, পরে যার সাথে আমার এক মুদি দোকানে ধাক্কা লাগে। আমি এই ইরানি লোকটির সম্মুখীন হয়েছিলাম কিভাবে তিনি বিশ্বাসী হলেন এবং তিনি বলেছিলেন যীশুকে নিয়ে তার দর্শন ও স্বপ্ন আছে।  আরেকজন লোককে আমি চিনি যে কিনা একজন ফিলিস্তিনি বন্ধু যার সাথে আমার ইসরায়েলে দেখা হয়েছিল, তিনি বলেছিলেন, যদিও তিনি মুসলিম ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছেন, যাইহোক তিনি যীশুর বিশ্বাসী হয়েছেন। পরে তার বিশ্বাসের জন্য তাকে কারাগারে বন্দী করা হয়েছিল এবং সেই সময় তার সামনে যীশুর আবির্ভাব হল এবং পুরো কারাগার আলোকিত হলো।

আমি আরও যাদের সাথে দেখা করেছি তাদের মধ্যে পাকিস্তানের একজন মহিলা আছেন যিনি বলেছিলেন যে কিশোরী মেয়ে হিসাবে যীশু স্বপ্নে তাঁর কাছে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং তাকে জল পান করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং সেই মুহূর্তে আমি উনাকে ব্যাখ্যা করেছিলাম বাইবেলের পাঠ্য অনুসারে যে যীশু জীবিত জল স্বরূপ যিনি জীবন দেন।

ইরানী আর একজন মহিলা আমাকে ইমেইল প্রেরণ করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে ফজরের নামাজ শেষ করে তিনি যখন বিছানায় ফিরে গেলেন তখন কেবল জাগ্রত হওয়ার জন্য সবুজ আলো ঘরের মধ্যে একজন মানুষের কণ্ঠে তাকে বলেছিল,  “উঠে দাঁড়াও!  দেখো, আমি মসীহ।” জবাবে তিনি দাবি করেছিলেন এতই ভয় পেয়েছিলেন যে বিছানা থেকে উঠতে পারেননি এবং চাদরের নিচে ছিলেন কারন তিনি হিজাব পরিহিত ছিলেন না।

সমাপ্তিতে আমি এই সমস্ত গল্পের কিছু বিবরণ ভুলে গিয়েছি এবং আমি যদি এগুলো ঘটার সময় সংরক্ষণ করতে পারতাম! তবে তবুও আমি এই ঘটনাগুলোর সম্পর্কে আরও বেশি করে শুনছি যা বাস্তব এবং জীবনের এমন এক বিন্দুতে পরিবর্তিত হয়েছে যে এই পুরুষ এবং মহিলারা তাদের পরিবার এবং সমাজ দ্বারা একঘরে হতে ইচ্ছুক ছিলেন যা তাদের কারও জন্য মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারত।

মানুষ বিনা কারনে তাদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করেন না, এবং আমি বিশ্বাস করি যে এই দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে একটির জন্য এতই শক্তিশালী এবং গতিশীল প্রভাব ফেলতে পেরেছিল যা তাদের জাতিগত বিশ্বাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব, মূসা এবং মুহম্মদ দ্বারা আসেনি, এটা তাদের জন্য একটা আহবান ছিল, ব্যক্তি এবং কাজের নিরিখে যীশুকে পুনরায় ভাবতে, যা ভাবতে তাদের শেখানো হয়েছে এবং তাঁকে যেভাবে বিশ্বাস করতে তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, সেটাকে চ্যালেঞ্জ করে।

সম্ভবত আপনি এই প্রতিবেদনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন, তবে আমি কেবল অনুরোধ করব আপনি ঈশ্বর বা যীশুকে বলুন, ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে আপনার কাছে পরিচিত করতে যেন আপনি তাঁকে প্রভু ও ত্রাণকর্তা হিসাবে বিশ্বাস করতে ও ভরসা করতে পারেন।

শেষ অবধি, আমি ৭০০ ক্লাবে কয়েকটি ভিডিও দেখেছি যা বিশ্বাসে আগত কয়েকজন মুসলিমদের সম্পর্কে আলোকপাত করেছে।

ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়-Bengali

হিন্দু সম্পদ

ইসলাম এবং যীশু

Visions and Dreams of Jesus, Isa, Esa, Yeshu, Yeshua

Leave a Reply