যীশু কি ঈশ্বর, যোহন ১৪:১৮

এটি একটি প্রতিবেদন যে আমি যোহন ১৪:১৮ তে যীশুর অবস্থানের বিষয়ে একটি ইমেইল দিয়েছিলাম।

 

আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই নির্দিষ্ট বিষয়ে আপনাকে উত্তর দিতে যাচ্ছিলাম যতক্ষণ না পর্যন্ত আমি একটি প্রবন্ধ খুঁজে পাই যেটা একই মূলনীতিকে আচ্ছাদন করে যা আমি ব্যবহার করেছি।

www.gotquestions.org/Father-greater-I.html

carm.org/john-1428-father-greater-i

ঠিক এর পূর্বে ৯-১১ বাক্যে পিতার সাথে যীশু তাঁর ঐক্যের সম্পর্কস্থাপন করে বলেছেন, “যে আমাকে দেখেছে সে পিতাকে দেখেছে।” এটা এমন একটা কিছু যা একজন ধর্মভীরু ব্যক্তি কখনোই ঈশ্বরের সাথে তুলনায় নিজের সম্পর্কে বলবে না, এমনকি একজন ভাববাদী বা একজন দেবদূত কখনো এভাবে কথা বলবে না। সত্যি বলতে একমাত্র ঈশ্বরপুত্র এমন বাগবাহুল্য ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও যদি আপনি ইব্রীয় বই পড়েন, বিশেষ করে প্রথম ৩টি অধ্যায়, আপনি এমন ভাষা দেখবেন যা দেবদূতগণ যীশুর উপাসনায় অর্পণ করছেন তাদের কাছে তাঁর স্বর্গীয় প্রকৃতি সর্বোৎকৃষ্ট ও শ্রেয় করতে এবং এমনকি ইব্রীয় ১:৮-১০ এ পিতা যীশুকে ঈশ্বর এবং প্রভু বলেন এবং একইভাবে ইব্রীয় ১:৩, যেখানে এটা বলা হয়েছে যে যীশু পিতার একজন যথাযথ প্রতিরূপ।

যাইহোক, আপনি যদি আগ্রহী হন, আমি আমার ব্লগে নিচের তালিকা অনুযায়ী অন্যান্য প্রবন্ধ লিখেছি এই সম্পর্কে।

যীশু কি ঐশ্বরিক?-Bengali

jesusandjews.com/wordpress/2009/10/16/the-divinity-of-jesus/ 

পরিশেষে, চেরি বাছাইয়ের মত বাইবেলের কিছু প্রসঙ্গের বাইরে বাছাই করা বাক্যসমূহ নিতে পারে, যেমন যোহন ১৪:২৮, অথচ সমগ্র ধর্মশাস্ত্রকে বিবেচনা করতে এটা শ্রেষ্ঠ যখন যীশুর দেবত্ব একটি ঘটনার পরিস্থিতির জন্য তৈরী হয় বা অস্বীকৃত হয়। এছাড়াও, একজন ব্যক্তির ঈশ্বরের সমগ্র উপদেশের প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিৎ এটা অনুধাবন করতে যে, সকল সত্যই ঈশ্বরের, উৎসের প্রয়োজন নেই, এমনকি যেটা বাইবেলে উল্লিখিত বিষয়ের অতিরিক্ত বিষয়কে যেমন দর্শন এবং বিজ্ঞানকে অন্তর্ভুক্ত করে।

তদুপরি কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে বাইবেল বোঝা কঠিন কিন্তু বিকৃত করা সহজ, ২ পিটার ৩:১৬, এবং তাই যিহোবার সাক্ষী ও ইসলামের মতো ধর্মের পক্ষে এই সুযোগটি থাকে যে তারা কথিত বিভেদগুলোকে পুঁজি করতে পারে নিজেদের জন্য অনুসারী অর্জনে এবং এই বিচ্ছিন্ন শাস্ত্রীয় রেফারেন্সগুলি ব্যবহার করে অর্থোডক্স খ্রিস্টান ধর্মকে খণ্ডন করার সুযোগ পায়।

যেখানে বাইবেলের স্বীকারোক্তিতে বিশ্বাস করা হয় যে ঈশ্বর প্রকৃতি তিনটি ঐশ্বরিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত; পিতা ঈশ্বর, পুত্র ঈশ্বর, এবং পবিত্র আত্মা ঈশ্বর, যা কিনা এক ঈশ্বরের নিখুঁত একত্বে একত্রে সংযুক্ত। এই সরল সংজ্ঞাটি ঈশ্বরের প্রকৃতির ব্যাপারে বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গী দেয় না এবং সর্বোপরি এটা ত্রয়ী এবং তিন ব্যক্তির মধ্যে ঈশ্বরের একত্বের একটা টুকরো।

অবশেষে আরেকটি চ্যালেঞ্জিং বিষয় বুঝতে হবে যে খ্রিস্টের অবতারতত্ত্ব, যা কিনা যীশুকে মানুষ এবং ঐশ্বরিক এই দুই প্রকৃতিতে চিত্রিত করে। এটা শুধুমাত্র একটি/অথবা সমীকরণ নয় বরং উত্তর হলো দুটো/উভয়ই। রহস্যময় বটে কিন্তু বিপরীতমুখী নয়।

এটি এমন আশ্চর্যজনক বিষয় যার দ্বারা আপনার মনকে এক ধরনের অনন্য এবং অপরিবর্তনীয় ঘটনা হিসাবে ঘিরে রাখা কঠিন, তবে এটি একটি প্রয়োজন, মুক্তির আলোতে, এমন এক জিনিস হিসাবে যা কেবলমাত্র ঈশ্বর স্বয়ং, দেহরূপে আমাদের পক্ষে আমাদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত এবং সুপারিশ করার ক্ষেত্রে পিতা ঈশ্বরের সামনে বিশ্বস্ত মহাযাজক হিসাবে নিখুঁত প্রতিনিধিত্ব করতে পারতেন, ইব্রীয় ২:১৪-১৮, ফিলিপীয় ২:৫-১১, ইব্রীয় ৭:২৪-২৬

আমার বন্ধু আমি আশা করি আপনি আমার বিশ্বাসকে দুর্বল করার জন্য বা আপনার অবিশ্বাসকে জোরদার করার জন্য এই শাস্ত্রটিকে অকাট্য দলিল হিসাবে দেখবেন না। আপনি যদি বাইবেলের খ্রিস্টকে গ্রহণ করার জন্য সত্যই উন্মুক্ত এবং আন্তরিক হন তবে আমি আপনার উদ্বেগ, সন্দেহ এবং প্রশ্নগুলোর সমাধান করতে পারলে আরও বেশি খুশি হব।

আমার আকাঙ্ক্ষা হল আপনি এই প্রতিক্রিয়াটি কমপক্ষে যীশু খ্রীষ্টকে প্রভু ও ত্রাণকর্তা হিসাবে গ্রহণের নিমিত্তে আপনার অবস্থানের বিষয় পুনর্বিবেচনা করার পক্ষে যথেষ্ট জোর হিসাবে খুঁজে পাবেন,  আমেন।

ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়-Bengali

হিন্দু সম্পদ

যিশু এবং ইসলাম

Is Jesus God John 14:28

Leave a Reply