Archive for the ‘Islam’ Category

ঈশ্বর এক

Saturday, May 8th, 2021

ঈশ্বরের ধারণা নিয়ে আলোচনা বা সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করার সময় আমরা বুঝতে পারি যে তিঁনি একটি জটিল সত্ত্বা যা স্বাভাবিক মনের সক্ষমতায় তাঁর ব্যক্তিত্ব সম্পূর্ণরূপে হৃদয়ঙ্গম করাকে অতিক্রম করে। ঈশ্বর আমাদেরকে গভীরভাবে জানেন যে হউক সে আমাদের মাথার চুলের সংখ্যা বা আমাদের চিন্তাধারার নির্ণায়ক। তিঁনি জানেন কখন আমরা শুতে যাই এবং কখন আমরা জেগে উঠি। এমন কোন জায়গা নেই যে আমরা তাঁর উপস্থিতি থেকে পালাতে বা লুকিয়ে রাখতে পারি কারণ তিঁনিই ঈশ্বর।

আমরা শুধু মৃত্তিকা এবং তিঁনি কুমোর  যা আমাদের আকৃতি এবং গঠন দান করেছে এবং এখনও কি আমরা সাহসী অনুমান করতে পারি যে আমাদের ধর্মীয় মাইক্রোস্কোপের লেন্সের অধীনে ঈশ্বর তাঁকে স্থাপন করা যেতে পারে? আমরা এমনকি তাঁর সৃষ্টির জটিলতাটি সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারছি না, যিঁনি এটি তৈরি করেছেন তাঁর বিষয়ে বোঝা তো বলাই বাহুল্য। এটা একটু অহংকারী বা একগুয়ে শোনায় না যে একজন ব্যক্তি ঈশ্বরকে পুরোপুরি জানে যেরকম তিঁনি তাদের জানেন?

আমরা কিভাবে ঈশ্বরকে সজ্ঞায়িত করতে পারি যেখানে ধর্মতত্ত্ববিদরা প্রায়ই ঈশ্বরকে আরো ভালোভাবে জানতে সাহায্য করার ক্ষেত্রে ব্যখ্যার শর্তাবলী এবং পদ্ধতিগুলো নিমিত্তে একরোখা অবস্থানে থাকেন। কোন মানুষ কখনোই ঈশ্বরকে দেখেনি এবং মোশিকে ঈশ্বর যা দিয়েছেন তা তাঁর গুপ্ত বিষয়ের একটি সামান্য প্রতিচ্ছবি।

বাইবেল সৃষ্টিকর্তাকে বর্ণনা করার জন্য বিবৃতি দেয় যে, তাঁর চিন্তাভাবনা আমাদের চিন্তাভাবনা নয় এবং আমাদের উপায়গুলোও তাঁর উপায় নয়। (এটি আমাদের নৈতিক বৈষম্যের উত্তম বর্ণনা দিতে পারে)

এমনকি বাইবেলে যা তাঁর প্রকাশ ধারণ করে, তাঁর সত্তার পূর্ণ প্রকাশ প্রকাশিত হয় না, যেন আমাদের কাছে তা বর্ণিত হলে আমরা তা যেকোনভাবে বুঝতে পারতাম। আমরা কেবল রহস্যোদ্দীপক সাহিত্য পড়া থেকে এটির জন্য অনুভূতি পাই যা বর্ণনার বাইরে আমাদের বিস্মিত ও বিভ্রান্ত করে তোলে।

আমরা ঈশ্বরকে পার্থিব মন্দিরের বাক্সে আবদ্ধ করতে চাই। এমনকি স্বর্গও তাকে ধারণ করতে পারে না। আমরা সীমাবদ্ধ প্রাণী, কিন্তু তিঁনি তাঁর ব্যক্তি ও চরিত্রে অসীম। আমরা জানতে শিখছি অন্যদিকে তিঁনি সর্বজ্ঞ বা সবজান্তা।

ঈশ্বরের কাছ থেকে আমরা কী উপলব্ধি করতে পারি যা মানুষের ভাষা এবং অভিব্যক্তির দুর্বলতা থেকে আসে।  আমরা ঈশ্বরের যে প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছি তা অস্বচ্ছ লেন্সের মাধ্যমে দেখার অস্পষ্টতার সাথে তুলনা করা যায়।

কেবল আমরা ঈশ্বরের সম্বন্ধে তা জানি যা তিঁনি জানাতে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ। আমরা ঈশ্বরকে জানতে পারি তবে সেই অনুপ্রেরণার অধীনে যা তিঁনি নিজেকে পরিচিত বা প্রকাশ করতে বেছে নেন। তিঁনি পরিচালক এবং তাই সংযমের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে আমরা নিজেদেরকে একজন অনুমানকারী হিসাবে আবিষ্কার করি যা বিশ্বাসের একটি বিপজ্জনক অবস্থান।

এমনকি মানব ক্ষমতার পরিপূর্ণ বোধের ফলে যা পুনরুত্থানের পরবর্তী চুক্তি প্রক্রিয়া থেকে আসে আমরা এখনও আমাদের মানব অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রের মধ্যে একটি ক্ষুদ্র দৃষ্টিভঙ্গি রেখে চলেছি।  যদিও আমরা নতুনভাবে জন্মগ্রহণ করার সময় আমাদের মন এবং অন্তরে নবায়নের মাধ্যমে পরিবর্তিত হয়েছি আমরা এখনও আমাদের জ্ঞানের মধ্যে সীমাবদ্ধ ভবিষ্যতের আলোকিতকরণের প্রত্যাশায় যা কেবল যখন আমরা এই জগতের সীমাবদ্ধতায় পরবর্তিকালের জন্য প্রস্থান করি।

এমনকি আমরা তাদের মধ্যেও সীমাবদ্ধতা দেখতে পাই যারা ঈশ্বরকে তাঁর কথার উচ্চারণের ভবিষ্যদ্বাণীমূলক উপহারের মাধ্যমে বিশেষভাবে জানার ঐশ্বরিক সুযোগ পেয়েছিলেন এবং তারা রহস্যের বিষয়ে আরও পূর্ণরূপে জানতে চেয়েছিল যে অধিকন্তু তারা কথা বলেছিল এবং এমনকি স্বর্গদূতেরাও, যাদের কাছে আমরাও নিকৃষ্ট এবং এর থেকে কিছুটা কম তৈরি করা হয়েছে, সেগুলি সম্পর্কে তারা আলোকপাত করতে আগ্রহী এমন বিষয়ে পুরো আলোকসজ্জা ছাড়াই ছেড়ে যায়।

আমরা দেখতে পাচ্ছি যে লোকেরা ঈশ্বরের অস্তিত্বের সাথে সম্পর্কিত হিসাবে ধারণাগুলো নিয়ে ক্রমাগত লড়াই করেছে এবং এই ধারণাগুলো মাঝে মধ্যে এতই উঁচু হয় যে ঈশ্বরের মতবাদকে ঈশ্বরের প্রতিমা দান করার জন্য ধর্মতত্ত্ববিদদের স্কুলগুলো লড়াই করেছে যা তাঁকে একটা রূপ দেয়। ঈশ্বরের ধারণাগত চিত্রগুলিকে ব্যাখ্যা করতে আমরা নৃতাত্ত্বিক, থিওফ্যানি, অবতার, শেকিনা এবং ত্রিত্ব ইত্যাদির মতো শব্দ ব্যবহার করি।

তবুও আমরা আমাদের বোঝার সীমার মধ্যে অস্তিত্বের সংজ্ঞার জন্য ঈশ্বরকে নিচে নামিয়ে তাঁকে আমাদের স্তরে নামানোর চেষ্টা করছি বা এমন একটি বিষয় রয়েছে যে আমাদের তাঁর ব্যক্তিত্বের অস্পষ্টতা সম্পর্কিত রহস্যময় প্রয়োগগুলোর দিকে না তাকিয়ে ঈশ্বরের অস্তিত্বের বাস্তবতা মেনে নিতে হবে।

আমাদের বেশিরভাগ মানবিক অভিজ্ঞতা আমাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সাথে সম্পর্কিত আরও জটিল আচরণগুলোতে প্রসারিত পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের প্রাথমিক প্রবৃত্তি কিনা যা মানুষের উপলব্ধির প্রণালীর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

সমসাময়িক মানুষকে বাইবেলের সংস্কৃতির সাথে তুলনা হিসাবে মানব সংস্থা বোঝার চেষ্টা করার পরেও আমরা এই সীমাবদ্ধতাগুলো দেখতে পাই।  উদাহরণস্বরূপ এমন কাউকে নিন যিনি আধুনিক হিব্রু ভাষা জানেন তবে তার সমস্ত প্রাচীন অর্থ এবং সংজ্ঞা সহ বাইবেলের হিব্রু বোঝার দক্ষতার অভাব রয়েছে।  এমনকি যদি কোন ব্যক্তি এই বাইবেলের ধারণাগুলো সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তবে সেগুলো এখনও আধুনিক মানসিকতার সাথে পড়ে রয়েছে।

আমি আমার মুসলিম বন্ধুদের সাথে মশীহের পুত্রত্ব সম্পর্কে আলাপচারিতা থেকে যে সংস্কৃতিগুলোর অভিজ্ঞতা পেয়েছি তার মধ্যে একটি পার্থক্য দেখতে পাচ্ছি তাদের কাছে যার অর্থ যৌন অভিজ্ঞতার শারীরিক আচরণকে সমাপ্ত করা।  পুত্রত্বের বাইবেলের ধারণাটি কেবল জন্মদানের প্রবর্তনীয় কাজেই সীমাবদ্ধ নয় বরং এটি শারীরিক উপাদান থেকে পৃথক একটি নিবিড় ব্যক্তিগত সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে ধৈর্যশীলতার একটি সম্পর্কের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ার জন্য এর প্রয়োগকে প্রসারিত করে।

মানুষ হিসাবে সময় এবং স্থানের সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রের উপর ভিত্তি করে যদি আমরা একে অপরের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে অসুবিধা হয়, তবে আমরা কতটা দূরে সরে আছি সেই “এক” এর ব্যপারে বুঝতে যিঁনি সময় এবং স্থান সৃষ্টি করেছেন।

সম্ভবত এটা জানা যথেষ্ট যে তিনি উপস্থিত আছেন এবং যারা তাঁকে দৃঢ়তার সাথে অনুসন্ধান করেন তাদের জন্য তিঁনি পুরস্কার।

তবুও আমি বুঝতে পারি যে এটি একটি অতি সরল দৃষ্টিভঙ্গি এবং তাই ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রকৃতি বোঝার জন্য এই দুর্দান্ত অসুবিধা এবং দ্বিধায় পৌঁছানোর পক্ষে যথেষ্ট নয়।

ঈশ্বরের ধারণার জন্য কেবল একটি সাধারণ প্রকাশের চেয়ে বেশি প্রয়োজন অন্যথায় আমাদের উপাসনা ভুল পথে পরিচালিত বা ভুলভাবে প্রয়োগ হয়ে যেতে পারে। এটির জন্য একটি বিশেষ উদ্ঘাটন প্রয়োজন তবে কেবল সেই প্রয়োগ যা ঈশ্বর শাস্ত্রে প্রকাশ করেছেন মানব ধরণীয় উদঘাটন বা উদ্ভাবনের পছন্দগুলো থেকে কল্পনা এবং অনুমানের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিকৃত করা যায়। অন্য কথায়, এমন একটি বিষয় রয়েছে যেখানে ঈশ্বর আমাদের তত্ত্বগত বিশ্বাসের জন্য একটি সীমানা প্রস্তর স্থাপন করেছেন এবং আমাদের সমস্যা হল আমরা এর সীমাবদ্ধতা প্রসারিত করে এটি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমি বিশ্বাস করি যে আমরা রাব্বিনিক সাহিত্যের পরিপূরক রচনার পাশাপাশি অন্যান্য ধর্ম বা ধর্মের যারা তাদের জ্ঞানের চক্রান্ত বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে যার ফলে জ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি বিশেষ জ্ঞান রয়েছে বলে বৃদ্ধি পেয়েছে।

আমি বিশ্বাস করি না যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব পুরোপুরি উপলব্ধি করতে ও বুঝতে অক্ষমতা আমাদের সাথে তাঁর সম্পর্ককে সীমাবদ্ধ করে।  তিনি অনন্ত ও অমর যে আমাদের “আব্বা” এর অন্তরঙ্গ বিবরণের অভাব আছে কিনা তবু তিনি এখনও আমাদের ঈশ্বর।  এমনকি যদি আমি ঈশ্বরের সত্ত্বা পুরোপুরি বুঝতে পারি তবে কি কিছু পরিবর্তন হবে?  এটি কি ঠিক বলা যায় যে কিছু জিনিস বুদ্ধিমানভাবে আত্মঘাতী না বলে এটি একটি রহস্য হিসাবেই বোঝানো হয়েছিল?  মানুষ হিসাবে আমাদের আমাদের অস্তিত্বের অভিজ্ঞতার সীমায় ঠেলে দেওয়ার সহজাত এই অনুভূতি রয়েছে এবং আমরা আবারও জ্ঞানের প্রবাদকৃত নিষিদ্ধ ফলকে খাওয়ার মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের মতো জ্ঞানী হওয়ার বাগানের দৃশ্যে ফিরে যেতে দেখি যা সেবন করলে আমাদের ময়লার চেয়ে ঘন অবস্থায় নিয়ে যায়।

ঈশ্বর আমাদের মধ্যে পূর্বাচ্ছন্ন তাঁর সঠিক সম্পর্কিত ক্ষেত্রে বনাম আমাদের মনের মধ্যে তাঁর একটি অর্জনযোগ্য চিত্র হিসাবে আছেন।

আমাদের কেবল বাইবেলের প্রতিকৃতির মাধ্যমে ঈশ্বরের এক ব্যঙ্গচিত্র রয়েছে যাতে কোন কিছু যোগ করা বা সরিয়ে নেওয়া হলে এটি সর্বোত্তমভাবে নিন্দাজনক এবং সবচেয়ে খারাপভাবে নিন্দনীয়।  আমাদের বলার পক্ষে পর্যাপ্ত হওয়া উচিত যে ঈশ্বরের ব্যক্তিত্ব এক রহস্যের সাথে সজ্জিত।

আমি দুঃখিত যে আমি আমার পরিচিতিতে এত দীর্ঘ সময় নিয়েছি, কিন্তু আমি ভেবেছিলাম এটি আমাদের পরবর্তী আলোচনার পর্যায়ে রূপান্তরিত করতে সহায়ক হবে যা ঈশ্বরের ত্রিগুণ অস্তিত্ব।

প্রথমে আমি বলতে চাই যে একজন খ্রিস্টান হিসাবে আমি একমত যে ঈশ্বর এক এবং এটি নিউ টেস্টামেন্টের লেখাগুলোর পাশাপাশি খ্রিস্টান ধর্ম দ্বারা সমর্থিত।

আমি দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৪ পদে পাওয়া শেমার স্বীকৃতি স্বীকার করি যা ঈশ্বরকে একক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে।

ঈশ্বরের একত্ব বিবেচনা করার সময় আমরা প্রায়শই সংখ্যাসূচক মান বা পরম ঐক্যের সাথে সম্পর্কিত হিসাবে বিবেচনা করি।  শেমায় ব্যবহৃত শব্দটি “এছাদ” যার অর্থ কেবল একটি এবং এই শব্দটি “ইয়চিদ” শব্দের বিপরীতে একটি যৌগিক ঐক্য বোঝাতে ব্যবহৃত হতে পারে যা পরম ঐক্যের কথা উল্লেখ করার সময় ব্যবহৃত হয়।  শাস্ত্রের কোথাও

ঈশ্বরের “ইয়াচিদ” থাকার উল্লেখ নেই।

“এচিদ” শব্দটি আদিপুস্তক ২:২৪ পদে ব্যবহৃত হয়েছে যখন স্বামী ও স্ত্রীকে এক (মাংস) হিসাবে একসাথে যোগদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, ২ শমূয়েল ৭:২৩ ইস্রায়েলকে এক (এচিদ) জাতি হিসাবে আখ্যায়িত করে। যা বোঝা গেল তা হল শব্দটির ব্যবহারের অর্থ ঈশ্বরের অপরিহার্য প্রকৃতি সম্পর্কে দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি নয়, বরং তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে তিনিই ঈশ্বর। এটি এমনকি নতুন ইহুদি প্রকাশক সোসাইটি সংস্করণ দ্বারা সমর্থিত যা শেমাকে এইভাবে অনুবাদ করে এবং মধ্যযুগীয় ভাষ্যকার আব্রাহাম ইবনে এজরা এবং রাশবামও এটি সমর্থন করে।  অন্য কথায়, আমরা ঈশ্বরের মধ্যেই একচ্ছত্রতা খুঁজে পাই যার মধ্যে ইস্রায়েল কোনও অন্যান্য দেবতাদের উপাসনা করত না যিশাইয় ৪৫:৫ পদে “আমি প্রভু এবং অন্য কোন দেবতা নেই;  আমি ব্যতিত আর কোন ঈশ্বর নেই।”

“ইলোহিম” ঈশ্বরের হিব্রু নামটি একটি পুংলিঙ্গ বহুবচন বিশেষ্য যা ঈশ্বরের শক্তি নির্দিষ্ট করে। এটি ঈশ্বরের অস্তিত্বের মূল অংশটি সংজ্ঞায়িত করার জন্য বিভ্রান্ত হওয়ার দরকার নেই, বরং এটি ঈশ্বরের সত্তার বহুত্ববাদকে বোঝায় যা প্রাচীন সেমেটিক ভাষা ও সংস্কৃতির অধ্যয়নের উপর ভিত্তি করে কাউকে মহান গুরুত্ব ও তাৎপর্যপূর্ণ বর্ণনা করে।

বাইবেলের পদগুলোতে রয়েছে যেখানে ঈশ্বর বলছেন, “আমরা আমাদের প্রতিমূর্তিতে, আমাদের সাদৃশ্যে মনুষ্য নির্মাণ করি,” “আইস আমরা নিচে গিয়া সেই স্থানে তাহাদের ভাষা ভেদ জন্মাই”, “মানুষ আমাদের মতই ভাল এবং মন্দ বিষয়ে সজ্ঞান হয়ে উঠেছে।” এই বিশেষ্যগুলির বহুবচনীয় ব্যবহার সম্ভবত হিব্রু চিন্তার আরেকটি অভিব্যক্তি, কারণ এই বিশেষ্যগুলি একবচন ক্রিয়ার সাথে অনুসরণ করা হয়। একমাত্র চমৎকারতা যা আমি ঈশ্বরের প্রকৃতির বিষয়ে পুরো দৃশ্যটি দেখি, কেবল একটি রাজকীয় বহুবচন ফর্মের চেয়ে বেশি, বাইবেলে বাকি অংশে অন্য কয়েকটি রেফারেন্স ব্যতীত, এই ধরণের শব্দবাহুল্য করে না এবং তানখ জুড়ে ঈশ্বরের নামটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে উল্লেখ করা হয়।

ঈশ্বরের ত্রিত্বকে এক হিসাবে উল্লেখ করার সময়, এটি কোনও ব্যক্তিসত্তা বজায় রাখার সময় সম্পূর্ণ ঐক্যের সাথে হয়।  বাইবেলের পাঠ্য অনুসারে এই শব্দটি কোনভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ফ্যাশন বা সংক্ষিপ্ত এবং সংজ্ঞায়িত উপায়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।  প্রকৃতপক্ষে এটি ঈশ্বরের দৃষ্টিভঙ্গির মতো অন্যান্য ইহুদি রেফারেন্সগুলোর মতো অনেকটা যেমন একটি রহস্য, যেমন “দশ সেফেরোট”, “শেকিনা”, এবং আরামাইক টার্গামসের ধারণা যা ঐশী “মেমরা” বা শব্দ সম্পর্কে কথা বলে। ঈশ্বরের সত্তার মহিমা সম্পর্কে আপনাকে অবাক করার মতো যদি এটি পর্যাপ্ত না হয় তবে কেবলমাত্র তাঁর সর্ব্বত্বের বিষয়ে চিন্তা করুন যে তিনি একবারে পুরো মহাবিশ্বকে পূর্ণ করেন।

একটি “ত্রিত্ববাদ” বা “ত্রিত্ববাদ” সম্পর্কিত ধারণাবাদী শব্দটি কেবল একটি উপায় যেমন অন্যান্য শর্তাবলী করার চেষ্টা করেছে ঈশ্বরকে সংজ্ঞায়িত করতে সহায়তা করার মতো।  আমাদের এটি মনে রাখতে হবে যে প্রথম শতাব্দীর ইহুদীরা নিউ টেস্টামেন্টের বেশিরভাগ ধর্মগ্রন্থ রচনা করেছিল এবং ঈশ্বর ধারণা সম্পর্কে তাদের অবস্থান এবং স্বীকৃতি ঈশ্বরের একত্ববাদী দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।  “ত্রিত্ববাদ” শব্দটি প্রায় ১৫০ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে তৈরি করা হয়নি, যখন এটি টার্টুলিয়ান মূলত প্রতিক্রিয়াশীল হিসাবে বা বিশ্বাসের একটি ক্ষমা প্রার্থনা হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন।

আমি পূর্ববর্তী ব্লগে “মশীহের ঈশ্বরত্ব” সম্পর্কে লিখেছি যেখানে নতুন নিয়মের কোনও বিষয় তৈরির ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই, তবুও এটি টানাহাতে একটি অস্পষ্ট ধারণা যা রাজা মশীহের অনন্য ও উচ্চমানবোধকে নিয়ে এসেছিল যিনি আনবেন  তাঁর মহিমান্বিত রাজত্বের মধ্য দিয়ে একটি পুনরুদ্ধার ঘোষণা করবেন।

এই মশীহের চিত্রের সবচেয়ে দুর্দান্ত ছবিগুলির মধ্যে একটি ভাববাদী দানিয়েল ৭:১৩-১৪ পদে দেওয়া হয়েছে যেখানে মানুষের ছেলের সাথে তুলনা করা একজন স্বর্গের মেঘ নিয়ে আসছেন এবং প্রাচীন দিনের কাছে পৌঁছেছেন।  মজার বিষয়টি হল এই মেসিয়ানিক ব্যক্তিত্বকে তাঁর শাসন ও রাজত্বের ব্যানারে সমস্ত জাতির সাথে প্রতি ভাষার সমস্ত লোকের উপাসনা দেওয়া হয়েছিল।  আমরা ইতিমধ্যে মশীহ যেশুয়া বা যীশুতে দেখতে পাচ্ছি যিনি এই ভবিষ্যদ্বাণীক দর্শনের পরিপূরক হিসাবে ঈশ্বরের সাথে ইহুদি ও অইহুদী উভয়ের পুনর্মিলন করেছেন।

সমস্ত মানব ইতিহাসে আর কোনও মেসিয়ানিক ব্যক্তির যীশু মসিহের মতো প্রভাব ও ফল দেখা যায় নি বা যেশুয়াকে বাদ দিয়ে অন্য কোনও শক্তিশালী প্রার্থীর কাছ থেকে মসীহ উপাধির ক্ষেত্রে কোন প্রতিযোগিতা নেই।

উপাসনা কেবল ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে দেওয়া উচিত এবং তাই উপাসনার সহযোগিতার মাধ্যমে এবং তাঁর উজ্জ্বল অবস্থার মাধ্যমে স্বর্গের মেঘের উপরে আসার মাধ্যমে এটি কেবল একটি স্বর্গদূতীয় ব্যাপার নয়।

যিশাইয় ৯:৬-৭ পদে যা অন্য মেসিয়ানিক শাস্ত্রের সাথে সম্পর্কিত হয়েছে যে একটি পুত্র হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছিল এবং তাকে “চিরন্তন পিতা” এবং “পরাক্রমশালী ঈশ্বর” এর মতো উচ্চতর নাম দেওয়া হয়েছে।  এই বর্ণনাটি কোনও সাধারণ মানুষকে বর্ণনার সীমা অতিক্রম করে।

আপনি ভাবতে পারেন যে সম্ভবত এটি প্রশংসনীয়, তবে আপনি এখনও পবিত্র আত্মা বা ঈশ্বরের আত্মার ঈশ্বরত্ব সম্পর্কে অবাক হয়ে যাচ্ছেন যা অনেক সময় ঈশ্বরের সমার্থক বলে অভিহিত হয়?  কেন বাইবেল আত্মা হিসাবে ঈশ্বরের একটি সংজ্ঞা আবশ্যক এবং এই অভিব্যক্তি ঈশ্বরের নিজের ব্যক্তিত্বের জন্য স্বতন্ত্রতাজ্ঞাপক?

আমরা দেখি যে আদিপুস্তকে ঈশ্বরের আত্মা জলের উপর দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। গীত ১০৪:৩০ পদে এটি ঈশ্বরের তাঁর সৃষ্টিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য পৃথিবীতে একটি নবীকরণের মাধ্যমে তাঁর আত্মাকে প্রেরণ করার কথা বলেছে যেমন আমরা আদিপুস্তকের বিবরণীতে দেখি।

আমরা রহস্যজনকভাবে দেখতে পাই কীভাবে ঈশ্বরের আত্মা প্রেরণ করা হয় এবং কীভাবে তাঁর গৌরব সৃজনশীলতার গতিশীল ফ্যাশনে মানুষের কাছে জমা হয়েছিল।  এই মানুষেরা ছিলেন কারিগর, ভাববাদী, রাজা এবং যাজক যারা ইস্রায়েলের ইতিহাস জুড়েই আত্মার সক্ষমতার ভিত্তিতে ঈশ্বরের শক্তি প্রদর্শন করেছিলেন। ভাববাদী জোয়েল ২:২৮ পদে বলেছেন যে কেবলমাত্র নির্বাচিত কয়েকজনকেই আত্মা প্রেরণ করা হবে না বা অভিষেক দেওয়া হবে না, বরং সমস্ত দেহের উপর এক মহাপ্লাবন ঘটবে।

যখন আপনি এই জাতীয় ঐশ্বরিক সংস্থার যান্ত্রিকতা সম্পর্কে চিন্তা করেন বা কাজ করেন এটি কেবল মানুষের বোধগম্যতার বাইরে চলে যায়।  কীভাবে ঈশ্বর মানুষের উপর তাঁর ঐশ্বরিক সত্ত্বা প্রবর্তন করতে পারেন?  এটি একটি রহস্য এবং ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রকৃতি বোঝার চেষ্টা করা বলাই বাহুল্য।

পরিশেষে এটা ঈশ্বরের সত্তা সম্পর্কিত প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেয় না বা তাঁর বিস্ময়কর এবং রহস্যময় ব্যক্তির প্রতি প্রতিটি দিকটি ব্যাখ্যা করে না এবং তবুও খ্রিস্টান এবং ইহুদিদের বোঝার সাথে ঈশ্বরের অস্তিত্বের ক্ষেত্রে তাদের ব্যবহারিক প্রয়োগের ক্ষেত্রে পৃথকীকরণ রয়েছে এবং তানাখ বর্ণিত ধর্মগ্রন্থের এক সত্য ঈশ্বরের প্রতি অবিশ্বাস্য বিশ্বাস।

আমরা তাঁর গাণিতিক ধারণাটিকে যতই গণিতের নির্ভুলতার সাথে সমান করার চেষ্টা করি না কেন আমরা এখনও একটি ধারণামূলক মতবাদ তৈরি করতে অসীম অক্ষমতা রেখে গেছি যা তাঁকে আমাদের পার্থিব অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রের মধ্যে পর্যাপ্তভাবে আবদ্ধ করে রেখেছে।

অবশেষে, ঈশ্বর রহস্যজনকভাবে ব্যক্তির মাধ্যমে থাকার বাস্তবিক জটিলতা প্রকাশ করেছেন যাঁরা “প্রাচীন দিনের”, “মানুষের পুত্র,” এবং “আত্মা” উপাধি বহন করে।

 

ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়-Bengali

হিন্দু সম্পদ

যিশু এবং ইসলাম

G-d is one

 

 

* ‘ঈশ্বরের পুত্র’ উপাধি এবং পদ সম্পর্কে বিশেষ দ্রষ্টব্য হিসাবে, এটি মথি ২৮: ১৬-২০ পদে, যোহন ৫:১৬-২৭ পদে এবং ইব্রীয় ১ এ  খ্রিস্ট হিসাবে যীশুর ঈশ্বরত্বের উল্লেখ হিসাবে এর সবচেয়ে অনন্য এবং সর্বোচ্চ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যীশু কি ঐশ্বরিক?

যীশু কি ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিলেন?

Sunday, April 25th, 2021

যদিও কুরআন খ্রিস্টের নির্যাতনমূলক মৃত্যুদণ্ডকে অস্বীকার করেছে তবে তা যীশুর সময়ের ধর্মনিরপেক্ষ ও ধর্মীয় সমসাময়িক দ্বারা নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বর্তমান ঘটনাগুলোর এই সাংবাদিকরা মূলত খ্রিস্টান ছিলেন না বা তারা কারণ বা দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন এবং কিছু ক্ষেত্রে তারা যীশু এবং তার অনুগামীদের ব্যক্তিত্ব ও কাজের বিরোধি বা প্রতিকূল ছিলেন।

বাইবেলের বাইরে ক্রুশবিদ্ধকরণের উপরে প্রথম উল্লেখ হল প্রথম শতাব্দীর রোমান ঐতিহাসিক কর্নেলিয়াস ট্যাসিটাস যিনি আনালস চতুর্দশ, ৪৪ এ নথিভুক্ত করেছিলেন যে খ্রিস্টের মৃত্যুর আদেশ পন্টিয়াস পীলাত করেছিলেন যিনি জুডিয়ার অধ্যক্ষ ছিলেন।

আরেকজন প্রথম শতাব্দীর ঐতিহাসিক হলেন ফ্ল্যাভিয়াস জোসেফাস যিনি খ্রিস্টকে ক্রুশের কাছে নিন্দিত বলে উল্লেখ করেছিলেন যা পুরানো প্রত্যাখ্যান অষ্টাদশ ৩৩ এ লিপিবদ্ধ রয়েছে।

এরপরে সামোসেটের লুসিয়ান রয়েছেন যিনি ছিলেন একজন গ্রীক ব্যঙ্গাত্মক যিনি খ্রিস্টের ক্রুশবিদ্ধকরণের বিষয়ে “পেরেজ্রিনের মৃত্যু, ১১-১৩” এ উল্লেখ করেছিলেন।

অবশেষে ব্যাবিলনীয় তালমুদ যা যীশুকে যাদুকর হিসাবে নেতিবাচকভাবে চিত্রিত করেছিল, ইঙ্গিত দেয় যে যীশুকে “ফাঁসি” দেওয়া হয়েছিল যা ক্রুশবিদ্ধকরণের সমার্থক এবং সানহেড্রিন ৪৩ক ট্র্যাক্টে পাওয়া যায়।

অবশেষে ব্যাবিলনীয় তালমুদ, যীশুকে যাদুকর হিসাবে নেতিবাচকভাবে চিত্রিত করেছিল, ইঙ্গিত দেয় যে যীশুকে “ফাঁসি” দেওয়া হয়েছিল যা ক্রুশবিদ্ধার সমার্থক এবং সানহেড্রিন ৪৩ এ ট্র্যাক্টে পাওয়া যায়।

তাহলে কুরআন যা ঘটনাটির আটশ বছর পরে সংকলিত হয়েছিল তা কি বিষয়ের সত্যকে ধারণ করে বা বিশ্বাসযোগ্য ইতিহাসবিদ ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের নিরপেক্ষ দাবীগুলোর আসল ঘটনা বলে?

মশীহের মৃত্যুর সাথে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে ইসলামী চিন্তাভাবনা যে সমস্যা করেছে তা হল ক্রুশ নামক বিষয় বাস্তবায়িত করার নিমিত্তে দুষ্ট মানুষের জন্য উৎসর্গ করা একটি ধার্মিক জীবনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কিত প্রশ্ন।

তবুও এই আইন পাপের জন্য মুক্তিপণ বা অর্থ প্রদান হিসাবে কাজ করেছিল যার উদ্দেশ্য লেবীয় পুস্তক ১৭:১১ পদে প্রথম চুক্তির আইনের অধীনে তার ভিত্তি স্থাপনের চিরন্তন তাৎপর্য ছিল যা বলে ১১কারণ জীবের প্রাণ রক্তের মধ্যে নিহিত এবং আমি তোমাদের প্রায়শ্চিত্তের জন্য তা বেদীর উপরে সিঞ্চন করার নির্দেশ দিয়েছি। রক্তের মধ্যে প্রাণ থাকার জন্যই তা প্রায়শ্চিত্ত করতে পারে।

মোশির চুক্তির অধীনে কোরবানি ঈশ্বরের সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দোষী পক্ষের পক্ষ থেকে প্রদত্ত বিনিময় হিসাবে নিরীহ শিকারের মৃত্যুর সাথে যুক্ত হওয়ার উপাসনা হিসাবে উপাসকের পক্ষে প্রদত্ত একধরণের প্রতিস্থাপূর্ণ প্রায়শ্চিত্ত হিসাবে দেওয়া হয়েছিল।  এটি একটি আদিম অনুশীলন বলে মনে হতে পারে তবে এটি একটি চূড়ান্ত ত্যাগের চিত্রিত এবং পূর্বসূরিত যা একদিন চিরতরে এবং সকলের জন্য দেয়া হবে।

ভাববাদী যিশাইয় ৫৩ অধ্যায়ে পরিপূর্ণতা হিসাবে এই বলিদান সমাবস্থার মসীহের কথা বলেন।

১আমরা যাহা শুনিয়াছি, তাহা কে বিশ্বাস করিয়াছে?

সদাপ্রভুর বাহু কাহার কাছে প্রকাশিত হইয়াছে?

২কারণ তিনি তাঁহার সম্মুখে চারার ন্যায়,

এবং শুষ্ক ভূমিতে উৎপন্ন মূলের ন্যায় উঠিলেন;

তাঁহার এমন রূপ কি শোভা নাই যে, তাঁহার প্রতি দৃষ্টিপাত করি,

এবং এমন আকৃতি নাই যে, তাঁহাকে ভালবাসি। 

৩তিনি অবজ্ঞাত ও মনুষ্যদের ত্যাজ্য,

ব্যথার পাত্র ও যাতনা  পরিচিত হইলেন;

লোকে যাহা হইতে মুখ আচ্ছাদন করে,

তাহার ন্যায় তিনি অবজ্ঞাত হইলেন,

আর আমরা তাঁহাকে মান্য করি নাই।

৪সত্য, আমাদের যাতনা সকল তিনিই তুলিয়া লইয়াছেন,

আমাদের ব্যথা সকল তিনি বহন করিয়াছেন;

তবু আমরা মনে করিলাম,

তিনি আহত, ঈশ্বরকর্তৃক প্রহারিত ও দুঃখার্ত।

৫কিন্তু তিনি আমাদের অধর্মের নিমিত্ত বিদ্ধ,

আমাদের অপরাধের নিমিত্ত চূর্ণ হইলেন;

আমাদের শান্তিজনক শাস্তি তাঁহার উপরে বর্তিল,

এবং তাঁহার ক্ষত সকল দ্বারা আমাদের আরোগ্য হইল।

৬আমরা সকলে মেষগণের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছি,

প্রত্যেকে আপন আপন পথের দিকে ফিরিয়াছি;

আর সদাপ্রভু আমাদের সকলের অপরাধ তাঁহার উপরে বর্তাইয়াছেন।

৭তিনি উপদ্রুত হইলেন,

তবু দুঃখভোগ স্বীকার করিলেন,

তিনি মুখ খুলিলেন না;

মেষশাবক যেমন হত হইবার জন্য নীত হয়,

মেষী যেমন লোমচ্ছেদকদের সম্মুখে নীরব হয়,

সেইরূপ তিনি মুখ খুলিলেন না।

৮তিনি উপদ্রব ও বিচার দ্বারা অপনীত হইলেন;

তৎকালীয়দের মধ্যে কে ইহা আলোচনা করিল যে,

তিনি জীবিতদের দেশ হইতে উচ্ছিন্ন হইলেন?

আমার জাতির অধর্ম প্রযুক্তই তাঁহার উপরে আঘাত পড়িল।

৯আর লোকে দুষ্টগণের সহিত তাঁহার কবর নিরূপণ করিল, 

এবং মৃত্যুতে তিনি ধনবানের সঙ্গী হইলেন,

যদিও  তিনি দৌরাত্ম্য করেন নাই,

আর তাঁহার মুখে ছল ছিল না।

১০তথাপি তাঁহাকে চূর্ণ করিতে সদাপ্রভুরই মনোরথ ছিল;

তিনি তাঁহাকে যাতনাগ্রস্ত করিলেন,

তাঁহার প্রাণ যখন দোষার্থক বলি উৎসর্গ করিবে,

তখন তিনি আপন বংশ দেখিবেন, দীর্ঘায়ু হইবেন,

এবং তাঁহার হস্তে সদাপ্রভুর মনোরথ সিদ্ধ হইবে;

১১তিনি আপন প্রাণের শ্রমফল দেখিবেন, তৃপ্ত হইবেন;

আমার ধার্মিক দাস আপনার  জ্ঞান দিয়া অনেককে ধার্মিক করিবেন,

এবং তিনিই তাহাদের অপরাধ সকল বহন করিবেন।

১২এই জন্য আমি মহানদের মধ্যে তাঁহাকে অংশ দিব,

তিনি পরাক্রমীদের সহিত লুট বিভাগ করিবেন,

কারণ তিনি মৃত্যুর জন্য আপন প্রাণ ঢালিয়া দিলেন,

তিনি অধর্মীদের সহিত গণিত হইলেন;

আর তিনিই অনেকের পাপভার তুলিয়া লইয়াছেন,

এবং অধর্মীদের জন্য অনুরোধ করিতেছেন।

যীশুর ক্রুশবিদ্ধকরণ গীতরচকের দ্বারা অধ্যায় ২২ এ চিত্রিত করা হয় এবং এটা সুসমাচার বর্ণনার সাথে মারাত্মকভাবে মিলে যায়।

১ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার,

তুমি কেন আমাকে পরিত্যাগ করিয়াছ?

আমার রক্ষা হইতে ও আমার আর্তনাদের উক্তি হইতে কেন দূরে থাক?

২হে আমার ঈশ্বর, আমি দিবসে আহ্বান করি,

কিন্তু তুমি উত্তর দেও না;

রাত্রিতেও [ডাকি], আমার বিরাম হয় না।

৩কিন্তু তুমিই পবিত্র,

ইস্রায়েলের প্রশংসাকলাপ তোমার সিংহাসন।

৪আমাদের পিতৃপুরুষেরা তোমাতেই বিশ্বাস করিতেন;

তাঁহারা বিশ্বাস করিতেন, আর তুমি তাঁহাদিগকে উদ্ধার করিতে।

৫তাঁহারা তোমার নিকটে ক্রন্দন করিয়া রক্ষা পাইতেন,

তোমাতে বিশ্বাস করিয়া লজ্জিত হইতেন না।

৬কিন্তু আমি কীট, মানব নহি,

মনুষ্যদের নিন্দাস্পদ, লোকদের অবজ্ঞাত।

৭যাহারা আমাকে দেখে, সকলে আমাকে ঠাট্টা করে,

তাহারা ওষ্ঠ বাহির করিয়া মাথা নাড়িয়া বলে,

৮সদাপ্রভুর উপরে নির্ভর কর;

তিনি উহাকে উদ্ধার করুন;

উহাকে রক্ষা করুন, কেননা তিনি উহাতে প্রীত।

৯তুমিই ত জঠর হইতে আমাকে উদ্ধার করিলে;

যখন আমার মাতার স্তন পান করি,

তখন তুমি আমার বিশ্বাস জন্মাইলে।

১০গর্ভ হইতে আমি তোমার হস্তে নিক্ষিপ্ত;

আমার মাতৃজঠর হইতে তুমিই আমার ঈশ্বর।

১১আমা হইতে দূরে থাকিও না,

সঙ্কট আসন্ন, সাহায্যকারী কেহ নাই।

১২অনেক বৃষ আমাকে বেষ্টন করিয়াছে,

বাশনের বলবান বলদেরা আমাকে ঘেরিয়াছে।

১৩তাহারা আমার প্রতি মুখ খুলিয়া হা করে,

বিদারক সিংহ যেন গর্জন করিতেছে।

১৪আমি জলের ন্যায় সেচিত হইতেছি,

আমার সমুদয় অস্থি সন্ধিচ্যুত হইয়াছে,

আমার হৃদয় মোমের ন্যায় হইয়াছে,

তাহা অন্ত্রের মধ্যে গলিত হইয়াছে।

১৫আমার বল খোলার ন্যায় শুষ্ক হইতেছে,

আমার জিহ্বা তালুতে লাগিয়া যাইতেছে,

তুমি আমাকে মৃত্যুর ধূলিতে রাখিয়াছ।

১৬কেননা কুকুরেরা আমাকে ঘেরিয়াছে,

দুরাচারদের মণ্ডলী আমাকে বেষ্টন করিয়াছে;

তাহারা আমার হস্তপদ বিদ্ধ করিয়াছে।

১৭আমি আপন অস্থি সকল গণনা করিতে পারি;

উহারা আমার প্রতি দৃষ্টিপাত করে, চাহিয়া থাকে।

১৮তাহারা আপনাদের মধ্যে আমার বস্ত্র বিভাগ করে,

আমার পরিচ্ছদের জন্য গুলিবাঁট করে।

১৯কিন্তু হে সদাপ্রভু, তুমি দূরে থাকিও না;

হে আমার সহায়, আমার সাহায্য করিতে সত্বর হও।

২০উদ্ধার কর আমার প্রাণ খড়্‌গ হইতে,

আমার একমাত্র [আত্মা] কুকুরের হস্ত হইতে।

২১নিস্তার কর আমাকে সিংহের মুখ হইতে,

আর গবয়ের শৃঙ্গ হইতে- তুমি আমাকে উত্তর দিয়াছ।

২২আমি আমার ভ্রাতৃগণের কাছে তোমার নাম প্রচার করিব;

সমাজের মধ্যে তোমার প্রশংসা করিব।

২৩সদাপ্রভুর ভয়কারিগণ! তাঁহার প্রশংসা কর;

যাকোবের সমস্ত বংশ! তাঁহাকে সমাদর কর;

তাঁহাকে ভয় কর, ইস্রায়েলের সমস্ত বংশ!

২৪কেননা তিনি দুঃখীর দুঃখ উপেক্ষা বা ঘৃণা করেন নাই;

তিনি তাহা হইতে আপন মুখও লুকান নাই;

বরং সে তাঁহার কাছে কাঁদিলে তিনি শুনিলেন।

২৫মহাসমাজে তোমা হইতে আমার প্রশংসা জন্মে,

যাহারা তাঁহাকে ভয় করে,

তাহাদের সাক্ষাতে আমি আপন মানত সকল পূর্ণ করিব।

২৬নম্রগণ ভোজন করিয়া তৃপ্ত হইবে,

সদাপ্রভুর অন্বেষীরা তাঁহার প্রশংসা করিবে;

তোমাদের অন্তঃকরণ নিত্যজীবী হউক।

২৭পৃথিবীর প্রান্তস্থিত সকলে স্মরণ করিয়া সদাপ্রভুর প্রতি ফিরিবে;

জাতিগণের সমস্ত গোষ্ঠী তোমার সম্মুখে প্রণিপাত করিবে।

২৮কেননা রাজত্ব সদাপ্রভুরই;

তিনিই জাতিগণের উপরে শাসনকর্তা।

২৯পৃথিবীস্থ সকল পুষ্ট লোক ভোজন করিয়া প্রণিপাত করিবে;

যাহারা ধূলিতে নামিতে উদ্যত,

তাহারা সকলে তাঁহার সাক্ষাতে জানু পাতিবে,

যে নিজ প্রাণ বাঁচাইতে অসমর্থ, সেও পাতিবে।

৩০এক বংশ তাঁহার সেবা করিবে,

প্রভুর সম্বন্ধে ইহা ভাবী বংশকে বলা যাইবে।

৩১তাহারা আসিবে, তাঁহার ধর্মশীলতা জ্ঞাত করিবে,

অনুজাত লোকদিগকে কহিবে, তিনি কার্যসাধন করিয়াছেন।

উপসংহারে আমি খ্রিস্টান ব্যাখ্যার প্রতি কঠোর সহানুভূতিশীল যে কোনও পক্ষপাতদুষ্টতা হ্রাস করতে আমার প্রমাণ পাঠ্য স্থাপনের জন্য এই পুরাতন নিয়মের উদ্ধৃতিগুলি ব্যবহার করতে সিদ্ধান্ত নিলাম।

 আশ্চর্যজনকভাবে অনেক ইহুদি যারা প্রথমে যিশুকে প্রত্যাখ্যান করেছিল তারা কেবল তানাখের মধ্যে পাওয়া এই পবিত্র বাক্যগুলো পড়ে তাঁর উপরে বিশ্বাস স্থাপন করেছিল।  আমার স্ত্রী সেই সমস্ত আত্মসাক্ষ্যের মধ্যে একজন যা তিনি একসময় মসীহ হিসাবে যীশুর ব্যক্তিত্ব ও তাঁর কাজকে দৃঢ়তার সাথে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তবে নিকট পর্যবেক্ষণের পরে ঈশ্বর তাকে এই ধর্মগ্রন্থের অনুচ্ছেদ এবং যীশুর সাথে সম্পর্কের বিষয়ে সত্য সম্পর্কে নিশ্চিত করেছিলেন।

খ্রিস্টের রক্ষা কাজের প্রভাব দ্বারা রুপান্তরিত ও পরিবর্তিত লক্ষ লক্ষ জীবনের আত্মসাক্ষ্য দিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় কেউ এই মুক্তির ঘটানার ঐতিহাসিকতার তাৎপর্য বেছে নিয়েছে বা বিশ্বাস করতে চায় না তা নির্বিশেষে সত্য যাচাইযোগ্য।

আপনার কাছে আমার চ্যালেঞ্জ হল আপনি নিজের অপরাধবোধ নিয়ে কী করেন? ঈশ্বরের বিরুদ্ধে আপনি যে অপরাধ করেছেন সে সম্পর্কে কে আপনাকে উপস্থাপন করে? নরকের সমস্যাবলী এড়িয়ে গিয়ে আপনি কি স্বর্গীয় বাড়ি উপার্জনের জন্য যথেষ্ট কাজ করেছেন?

যীশু মানব পাপের দুশ্চিন্তা কমিয়ে দিয়ে বলেছেন, হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোক সকল, আমার নিকটে আইস, আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব। আমার জোয়ালি আপন স্কন্ধে তুলিয়া লও, এবং আমার নিকটে শিক্ষা কর, কেননা আমি মৃদুশীল ও নম্রচিত্ত; তাহাতে তোমরা আপন আপন প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাইবে। কারণ আমার জোয়ালি সহজ ও আমার ভার লঘু।

 

ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়-Bengali

হিন্দু সম্পদ

যিশু এবং ইসলাম

Was Jesus Crucified?

যীশু খ্রিস্টের ঈশ্বরত্ব

Sunday, April 18th, 2021

পূর্ববর্তী একটি ব্লগে আমি যীশু খ্রিস্টের ঈশ্বরত্বকে কঠোরভাবে ওল্ড টেস্টামেন্টের দৃষ্টিকোণ থেকে আলোকপাত করেছি।

jesusandjews.com/wordpress/2009/07/04/the-divinity-of-the-messiah/

এবং এখন নতুন টেস্টামেন্টের প্রকাশিত বিষয় যোগ করার মাধ্যমে যীশু খ্রিস্টের ব্যক্তি ও কাজের বিষয়ে গভীরভাবে উপলব্ধি করা যায়।

যীশুর অবতারের ধারণাটি স্বর্গীয় এবং মানবিক উভয় অঙ্গের ক্ষেত্রে একটি কঠিন ধারণা যা একজনের মনকে মুড়িয়ে ফেলতে পারে  ঈশ্বরের প্রকৃত প্রকৃতি এবং অস্তিত্ব সম্পূর্ণভাবে বুঝতে চেষ্টা করা একটি জটিল বিষয় হিসাবে সরল যুক্তির চিন্তাশীলতার গণ্ডি অতিক্রম করে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে মতবাদ এবং গীর্জাধর্ম দিতে পারি কিন্তু আমরা কি স্বতন্ত্রভাবে একটি অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে ঈশ্বরকে রেখে এবং তাঁকে সজ্ঞায়িত করতে পারি আমাদের সীমাবদ্ধ শব্দভাণ্ডার দিয়ে যেখানে তাঁর অত্যুৎকৃষ্ট মহিমাকে স্বর্গের উপরে স্থান দেয়া হয়েছে, বলা আছে গীতসংহিতা ৮:১।

ঈশ্বরকে বিবেচনা করার সময়, “কারণ” এর দর্শন কখনও কখনও আমাদেরকে অযৌক্তিকভাবে ভুল দিকে ঠেলে দিতে পারে। সর্বোপরি আমাদের প্রচুর বুদ্ধিজীবী রয়েছে যারা ঈশ্বরের অস্তিত্বহীনতাকে যুক্তিযুক্ত করেছেন।

যাইহোক, জীবনে শাস্ত্রসহ প্রচুর জিনিস আছে যা আমাদের সম্পূর্ণরূপে অনুমান করা বা বোঝার জন্য সক্ষম হওয়ার ক্ষমতাকে ব্যর্থ করতে পারে।

বস্তুত ঈশ্বর বলেন ইসাইয়া ৫৫:৮-৯

৮ প্রভু বলেন, “তোমাদের চিন্তা আর আমার চিন্তা এক নয়। তোমাদের রাস্তা আমার রাস্তার মত নয়।

৯ পৃথিবীর থেকে স্বর্গ অনেক উঁচুতে। ঠিক সে রকমই তোমাদের থেকে আমার পথও অনেক উঁচু এবং চিন্তাও অনেক উঁচুতে বিচরণ করে।” প্রভু নিজে নিজেই একথা বলেন।

আপনি ভাবতে পারেন যে এই শাস্ত্রটি পাপী মানবতার জন্য প্রযোজ্য হতে পারে এবং তবুও এই জ্ঞান এমনকি ইযোবের ধার্মিকতাকেও এড়িয়ে গিয়েছিল। ইযোব ১১:৭-৯

৭ “ইয়োব, তুমি কি মনে কর য়ে তুমি প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বরকে বুঝেছ? তুমি কি মনে কর তুমি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের সীমা আবিষ্কার করে ফেলেছ?

৮ স্বর্গে যা কিছু আছে সে বিষয়ে তুমি কিছুই করতে পারো না। মৃত্যুর স্থান সম্পর্কেও তুমি কিছুই জানো না।

৯ ঈশ্বর পৃথিবীর থেকে বৃহত্‌ এবং সমুদ্রের থেকেও বড়।

এমনকি নিউ টেস্টামেন্টের দ্বারা আত্মার সীমাবদ্ধতার সাথে একমত হয়ে অনন্তকাল ধরে সাধুদের নেতৃত্ব দিয়েছেন যেমন ১ করিন্থীয় ১৩:১২ তে বর্ণিত হয়েছে।

১২ এখন আমরা আয়নায় আবছা দেখছি; কিন্তু সেই সময় সরাসরি পরিষ্কার দেখব। এখন আমার জ্ঞান সীমিত, কিন্তু তখন আমি সম্পূর্ণভাবে জানতে পারব, ঠিক য়েমন ঈশ্বর এখন আমাকে সম্পূর্ণভাবে জানেন।

আমরা যখন মশীহের ব্যক্তির বিষয়ে পুরানো চুক্তির ধর্মগ্রন্থগুলিতে তদন্ত করেছিলাম তখন এই গৌরবময় শব্দ প্রয়োগ হয়েছিল এবং যিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং যিনি একজন “ঈশ্বর” না হয়ে “পরাক্রমশালী ঈশ্বর” উপাধি লাভ করেছিলেন, ইসাইয়া ৯:৬-৭।

আমরা দানিয়েল ৭:১৩-১৫ এ তাঁর আর এক ঝলক দেখতে পাচ্ছি, যেমন একজন “মানবপুত্র” যিনি স্বর্গীয় মেঘ থেকে আগত যাঁকে সমস্ত লোক ও জাতির মধ্যে নিজের উপাসনা করে তাঁর জন্য গৌরব ও সার্বভৌম ক্ষমতা প্রাপ্তির চিরস্থায়ী আধিপত্য দেওয়া হয়েছিল।  যীশু এই ধর্মগ্রন্থটি উল্লেখ করেছেন যখন তিনি মার্ক ১৪:৬২ তাঁর সময়ের ধর্মীয় নেতাদের কাছে নিজেকে বর্ণনা করেছেন।

এই ওল্ড টেস্টামেন্টের রেফারেন্সগুলো কেবল একজন দেবদূত সত্ত্বা বা “ঈশ্বর” নয় একজন মানুষ হিসাবে বর্ণনাকেও ছাড়িয়ে কারন এই চরিত্রটি উপাসনা এবং গৌরব পাওয়ার অধিকারী এটা একান্ত এমন একটি গুন যা ঈশ্বর স্বয়ং পাবার অধিকারী ছিলেন যাত্রাপুস্তক ৩৪:১৪।

যীশু পৃথিবীতে একজন মানুষ হিসাবে তাঁর অস্থায়ী এবং শারীরিক প্রবেশের সময় খোলাখুলি নিজেকে ঈশ্বর বা এমনকি মশীহ হিসাবে প্রকাশ করেন না এবং এমন মুহুর্তও রয়েছে যেখানে তিনি অধরা এবং অস্পষ্ট অবস্থায় ছিলেন যেখানে ধর্মীয় নেতারা অবশেষে তাঁকে চাপ দিতে হয়েছিল  মশীহ হিসাবে তাঁর পরিচয় প্রকাশ্যে ঘোষণা করার জন্য যা তিনি অবশেষে মথি ২৬:৬৩,৬৪ এ স্বীকার করেছেন।  এমনকি যখন তাঁর বিখ্যাত বিশ্বাসের স্বীকৃতি নিয়ে পিতর এটা বুঝতে পেরেছিলেন তখন যীশু তাকে বলেছিলেন যে মথি ১৬:১৬-২০ এটিকে কারও কাছে প্রকাশ করবে না।

ঈশ্বর কেবল নিজেকে “দেখান এবং বলুন” ধরণের উপস্থাপন করেন না।  যীশুর প্রকাশের পদ্ধতি সত্য প্রকাশকারী, পবিত্র আত্মা দ্বারা প্রকাশিত হবে, যিনি তাঁর পরিচয় প্রকাশ করবেন।  যীশু সুসমাচারগুলোর পুরো সময় জুড়ে ক্রমাগত বলেছিলেন যে ঈশ্বরের আত্মা যা বলছেন শোনার জন্য যার কান রয়েছে তিনি যেন শুনতে পান এবং তিনি রুপকভাবে সেই চোখের কথাও বলেছিলেন যা আত্মার দ্বারা দেখতে বা বুঝতে সক্ষম হওয়া যায়, মথি ১৩:৯-১৭।

তাঁর প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল তাঁর লোকদের তাদের পাপ থেকে বাঁচানো এবং তাঁর শত্রুদের সামনে তাঁর পরিচয় অনুসারে খোলামেলাভাবে নিজেকে ঘোষণা করার মাধ্যমে শুকরের সামনে মুক্তো ছোঁড়ার পরিবর্তে বরং পিতার ইচ্ছা পালন করার পথ সম্পূর্ণ করা।

সুতরাং, যদি কেবল মশীহের ধারণাটি তাঁর সমসাময়িক এবং শিষ্যদের মধ্যেও পুরোপুরি উপলব্ধি করা শক্ত হয়ে থাকে তবে তাঁর ঈশ্বরিকতা বোঝা কতই না কঠিন।

প্রেরিত পৌল, যিনি শিক্ষিত ফরিয়সী ইহুদি ছিলেন, তিনি ঈশ্বরের পরিকল্পনাকে ঐশ্বরিক রহস্য হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন যা খ্রিস্টে প্রকাশিত হয়েছে, ইফিষীয় ৩:১-১৩।

খ্রিস্টের চরিত্রের রহস্যের দিকে তাকানোর সময় কিছু বর্ণনামূলক শব্দ রয়েছে যা প্রথম নজরে এমন শব্দ হিসাবে দেখা যায় যা যীশুর উপরে একজন সৃষ্টিশীল প্রাণী হিসাবে প্রযোজ্য কিন্তু নিকট পর্যবেক্ষণের পরে, তারা তাঁর স্বতন্ত্র ব্যক্তিকে মুক্তির ভূমিকাতে বর্ণনা করে।

উদাহরণস্বরূপ, যোহন যীশুকে বর্ণনা করার জন্য যে শব্দটি ব্যবহার করেছেন তা হল “একমাত্র পুত্র” বা “মনোজেনস” যা একটি গ্রীক শব্দ যা যীশুকে এক অনন্য অর্থে বর্ণনা করার ক্ষেত্রে বা তাঁর একমাত্র শব্দ হিসাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে।  যদি কোনও ব্যক্তি একটি উৎপাদনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি বলতে চাইতেন তবে তার পরিবর্তে “জেনাও” শব্দটি ব্যবহার করা হত যার অর্থ সুনির্দিষ্টভাবে বোঝা, বা জন্মদান করা বা জন্ম দেওয়া।

কারণ আমাদের সেপ্টুয়াজিন্ট রয়েছে, যা হিব্রু শাস্ত্রের গ্রীক অনুবাদ, আমরা প্রাচীন হবারিক চিন্তাধারা এবং ব্যবহারের এই শর্তগুলির কিছুটা সম্পর্কযুক্ত করতে পারি। এই “মনোজেনেস” শব্দটির সমতুল্য হিব্রু “ইয়াচিদ” যা শব্দটির অনন্য অর্থে একমাত্র সন্তানকে বোঝাতে পারে। এছাড়াও এই ইয়াচিদ শব্দটি  গ্রিক কাজ “অগপেটো” এর সাথেও ব্যবহার করা হয়েছিল, যা একটি অনন্য সম্পর্কের মধ্যে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক যেমন “প্রিয়তম” ধারণাকে যোগাযোগ করে যা আমাকে সেই ভাষণের কথা মনে করিয়ে দেয় যেখান পিতা যীশুকে সম্বোধন করে এই সকল আদরীয় শব্দগুলো বলেছেন যা উল্লেখ আছে মথি ৩:১৭, ১৭:৫ তাঁর প্রিয়তম পুত্র হিসাবে।

আর একটি শব্দ ব্যবহৃত হয় যা হল “প্রথমজাত” বা “প্রোটোটোকোস” যা আক্ষরিক প্রথমজাতকে বোঝাতে পারে, তবে এটি গীতসংহিতা ৮৯:২৭-এ ইস্রায়েলের রাজার মতো সম্পর্কের সাথেও পরিচিতি লাভের জন্য বোঝানো হয়েছিল।  এই শব্দটি নতুন টেস্টামেন্টেও ব্যবহৃত হয়েছে যেমন কলসীয় ১:১৮ তে পাওয়া যায় যেখানে এটি যীশুকে মৃতদের মধ্য থেকে প্রথমজাত বলে উল্লেখ করেছে যা তাঁর সৃষ্ট হওয়ার সাথে কিছুই করার ছিল না।

অন্য শব্দটি “পুত্র” যা ঈশ্বরের সাথে তাঁর বিশেষ সম্পর্কের কথা বলে।  আমি ইতিমধ্যে এই ধারণাটিতে একটি ব্লগ লিখেছি যা এর ব্যবহারের আরও স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা দেয়।

jesusandjews.com/wordpress/2009/04/09/jesus-is-gods-son/

আবার এই শব্দটি দ্বারা যীশুকে কেবল একজন মানুষ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না বা যে পিতা মরিয়মের সাথে যৌন সম্পর্কের জন্য শারীরিক যোগাযোগ ঘটিয়েছেন যাতে মশীহ মানুষের দেহে জন্মগ্রহণ করতে পারে। যীশু খ্রিস্টের পুত্রপদ “যুক্তি” সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিক্রিয়া হিসাবে এই ধারণাগুলো মুসলমানদের দ্বারা ধারণ করা হয়েছিল।

পুত্র শব্দটি ফেরেশতাগণ, ইসরায়েল, রাজা ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়েছিল, যখন এই শব্দটি যুক্ত করার সাথে সাথে এটি শিরোনাম বা নির্দিষ্ট লক্ষ্যকেও বোঝাতে পারে তাই যেহেতু যীশু অনন্য মশীহের ভূমিকা পূর্ণ করেছিলেন তাকে চূড়ান্তভাবে “ঈশ্বরের পুত্র” হিসাবে বিবেচনা করা হবে।

সর্বোচ্চ শব্দে এই শব্দটির ব্যবহার এমনকি যীশুর সময়ের ধর্মীয় নেতারা বুঝতে পেরেছিলেন ঈশ্বর তাঁর পিতা বা “আমার পিতা” হওয়ায় তাঁকে ঈশ্বরের সমতুল্য করে তোলার নির্দিষ্ট উল্লেখ হিসাবে যোহন ৫:১৬-২৭।

যদিও আমরা এই সমস্ত পদগুলো যীশুর পার্থিব অস্তিত্বের সাময়িক রাজ্যের সাথে মানুষের সময় ও স্থান দখল করার সাথে সম্পর্কযুক্ত করি তবে এটি তাঁকে অনন্তকালীন অতীতে তাঁর অস্তিত্বের অবস্থায় সৃষ্ট হিসাবে প্রমাণ করতে কিছুই করে না।  তাঁর মানবতার বিষয়ে তাঁর বিশেষভাবে একটি অনন্য ভূমিকা, উপাধি এবং মিশন ছিল যা “শেষ আদম” প্রতিনিধিত্বকারী হিসাবে তিনি একটি নতুন চুক্তি চালু করেছিলেন পুরাতন নিয়ম ভেঙে যা আমাদের মানব প্রতিনিধি এবং মহাযাজক হিসাবে ঈশ্বরের সাথে পুনর্মিলন করবে।

যীশু একজন মানুষ হলেও তিনি একইভাবে ঐশ্বরিক ছিলেন অন্যথায় তিনি পাপকে বিজয় করতে পারতেন না এবং সমস্ত ধার্মিকতা পুরোপুরি পূর্ণ করতে পারতেন না, ইব্রীয় ৪:১৫।

সমস্ত শাস্ত্রপদ নৈতিক সিদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে মানুষের অক্ষমতার বিষয়ে এই দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ার পরেও দায়ূদ যিনি ঈশ্বরের নিজের হৃদয়ের পরে একজন লোক ছিলেন, তিনি গীতসংহিতা ১৪:৩ পদে বলেছিলেন যে ভাল কেউই নেই, এমনকি একজনও নেই। সোলায়মান সর্বকালের জ্ঞানবান ব্যক্তি যিনি উপদেশক লিখেছেন বলে মনে করা হয় তিনি ৭ অধ্যায়ে ২০ পদে বলেছেন যে পৃথিবীতে এমন কোন ধার্মিক ব্যক্তি নেই যিনি সঠিক কাজ করেন এবং কখনও পাপ করেন না যা রোমীয় ৩:২৩ এর সাক্ষ্যের সাথে মিলে যায়  যে সমস্ত লোক পাপ করেছে এবং ঈশ্বরের গৌরব বিহীন হয়েছে।

এটি ২ করিন্থীয় ৫:২১ থেকে উপসংহারে যুক্তিসঙ্গত যে ঈশ্বর তাঁকে তৈরি করেছেন যার কোন পাপ নেই আর যিনি আমাদের পক্ষে পাপী হয়েছেন, যাতে তাঁর মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের নিমিত্তে ধার্মিক হতে পারি।  যীশু তাঁর ঈশ্বরত্বের একমাত্র ব্যক্তি যিনি তাঁর পুরুষত্বের মধ্যে এই নিখুঁত প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন।

এটি এক দীর্ঘ পরিচিতির মতো, তবে আমি এই পরবর্তী অংশে যা প্রতিষ্ঠা করতে চাই তা হল যীশু আধ্যাত্মিক মাইকেল নন যা যিহোবার সাক্ষীরা দাবি করেন যে তিনি “অন্তর্দৃষ্টি, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৩৯৪”।  এই দেবদূতসত্তা হিসাবে তাঁকে সংজ্ঞায়িত করার জন্য বাইবেলে একটি প্রসঙ্গও উল্লেখ নেই।

এই বিষয়ে আমার গবেষণা করার সময় আমি “ঈশ্বরের দূত” এবং ঐশ্বরিক উপস্থিতির মধ্যে কিছুটা পারস্পরিক সম্পর্ক খুঁজে পেলাম কিন্তু যীশুকে আধ্যাত্মিক মাইকেল হিসাবে চিহ্নিত করার মতো নিকটে এটি আসে নি।

ইব্রীয়ের প্রথম অধ্যায়টি যীশুর সাথে আশ্চর্য স্বর্গদূতদের সাথে পৃথক করে বলেছেন যে তিনি দেবদূতদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ পদ ৪। ৬ পদে বলা হয়েছে যে দেবদূতেরাও যীশুর উপাসনা করত এবং ১৯৭০ সাল পর্যন্ত নতুন বিশ্ব অনুবাদ একই পাঠ ব্যবহার করত কিন্তু এটা এখন সম্মান প্রদর্শনে পরিবর্তিত হয়েছে মান ব্যবস্থাকে প্রতিফলিত করার জন্য। ঈশ্বর এমনকি পুত্রের সাথে ঈশ্বরের উপাধি প্রতিদান এবং ভাগ করে নেন পদ ৮ ও পদ ৩ এ ইঙ্গিত করে যে যীশু হলেন পিতার সত্তার সঠিক প্রতিনিধিত্ব।

খ্রিস্টের প্রকৃতি এবং চরিত্র অন্বেষণ করার সময় মথি ১২:৮ এ যীশুকে ঐশ্বরিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে এমন বেশ কয়েকটি প্রাথমিক নজীর রয়েছে যেখানে যীশু নিজেকে “বিশ্রামবারের প্রভু” হিসাবে উল্লেখ করেছেন। যোহন ২০:২৮ এ থমাস যীশুকে আমার প্রভু এবং আমার ঈশ্বর বলে উল্লেখ করেছেন।  যোহন ১০:৩৩ যীশু নিজেকে পিতার সাথে এক হিসাবে উল্লেখ করেছেন যেখানে ইহুদিরা বুঝতে পেরেছিল যে তিনি ঈশ্বর বলে দাবি করছেন। যোহন ১ ঘোষণা করে যে যীশু “শব্দটি” হল ঈশ্বর। যীশু পিতার সাথে এমন এক নিবিড় পরিচয় দেখিয়েছেন যে তিনি বলেছেন যে আপনি যদি আমাকে দেখেন তবে আপনি পিতাকে দেখেন উল্লেখ আছে যোহন ১৪:৮-১১। তীত ২:১৩ যীশু আমাদের মহান ঈশ্বর ও পরিত্রাতা হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে, ২ পিতর 1: 1 ঈশ্বর এবং পরিত্রাতা যীশু খ্রিস্ট, 1 যোহন 5:২0 যীশু খ্রিস্ট সত্য ঈশ্বর এবং অনন্ত জীবন। কলসীয় 1:15 যীশু অদৃশ্য ঈশ্বরের ইমেজ এবং প্রেরিত 10:36 যীশু সবাইকে প্রভু খ্রিস্টাব্দে যীশু আমাদের মহান ঈশ্বর ও পরিত্রাতা হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে, ২ পিতর ১:১ ঈশ্বর এবং পরিত্রাতা যীশু খ্রিস্ট, ১ যোহন ৫:২০ যীশু খ্রিস্ট সত্য ঈশ্বর এবং অনন্ত জীবন। কলসীয় ১:১৫ যীশু অদৃশ্য ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি এবং প্রেরিত ১০:৩৬ যীশু সবার প্রভু।

যীশু মসিহের চরিত্রের গৌণ বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা তাঁকে ঈশ্বর হিসাবে স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করেছিল এবং এই প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি ছিল উপাসনার উপাদান যা তিনি বিনা তিরস্কারে পেয়েছিলেন।  যোহন ৯:৩৮ এ সে অন্ধ লোক ছিল।  মথি ২:১,২ তে ম্যাজাই যীশুর উপাসনা করতে এসেছিলেন। ইব্রীয় ১:৬ এ যীশুকে উপাসনা করছেন স্বর্গদূতেরা। মথি ৮:২ এ এটি কুষ্ঠরোগী এবং মথি ৯:১৮ এ এটি একটি নির্দিষ্ট শাসক ছিল। মথি ১৪:৩৩ এ শিষ্যরা তাঁর উপাসনা করেছিলেন যখন তিনি ঝড়কে শান্ত করেছিলেন এবং খালি সমাধিতে মহিলারা মথি ২৮:৯ পদে পুনরুত্থিত যীশুর উপাসনা করেছিলেন এবং অবশেষে মথি ২৮:১ এ শিষ্যরা পুনরুত্থানের পরে তাঁর উপাসনা করেছিলেন।

যীশুর উপাসনা যারা পুরুষ ও ফেরেশতাগণের মতো উপাসনা করতে অস্বীকার করেছিল তাদের বিপরীতে।

আমরা এটা পিতরের মধ্যে দেখি, যিনি একজন নিছক মানুষ প্রেরিত ১০:২৫,২৬ পদে উপাসনা করতে অস্বীকার করেন এবং এমনকি প্রেরিত পৌল ও বার্ণবা প্রেরিত ১৪:১১-১৫ পদে উপাসনা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

এছাড়াও, দেবদূতদের উপাসনা করা হয়েছিল, যেমন আমরা দেখি যে, যোহন প্রকাশিত বাক্য ২২:৮,৯ পদে তাঁর দেবদূত প্রদর্শকের উপাসনা করার চেষ্টা করেছিলেন।

যাত্রাপুস্তক ৩৪:১৪ সদাপ্রভু যে কোনও উপাস্যকে উপাসনা করতে ঘোষণা করেন, কারণ সদাপ্রভুর জন্য যার নাম ঈর্ষান্বিত হয়, তিনিই ঈর্ষান্বিত ঈশ্বর।

এছাড়াও যিশাইয় ৪৩:৮ ঈশ্বর ঘোষণা করেছেন যে, তিনি তাঁর মহিমা অন্যকে প্রদান করবেন এবং এখনেও দানিয়েল ৭:১৪ এবং ইব্রীয় ১৩:২১ এ যীশুকে গৌরব প্রদান করা হয়েছে৷

দেবতা আরেকটি দিক হলো, পাপ ক্ষমা করার ক্ষমতা হলো, যা আমরা দেখি যাত্রা পুস্তক ৩৪:৬ যে ঈশ্বর বিদ্রোহ ও পাপ ক্ষমা করেন এবং মথি ৯:২-৬ এ যীশু পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পাপের ক্ষমা করেছিলেন, যা ইহুদীরা নিন্দার মত বুঝেছিলেন কারন তারা জানতেন শুধু ঈশ্বরের পাপ ক্ষমা করতে পারতেন।

এখন ঈশ্বরভিত্তিক আরেকটি উপাদান প্রাক্তন অস্তিত্বতা এবং তিনি উপাসনা ও গৌরব পেয়েছিলেন, তাহলে আমরা কীভাবে ঈশ্বরকে ছাড়া অন্য কিছু হিসাবে তাকে শ্রেণীবদ্ধ করতে পারি। যীশুতে অনেক ক্ষেত্রে তাঁর প্রাক্তন অস্তিত্বেতার কথা বলেছিলেন যোহন ১:১,২; ৩:১৩,৩১,৩২; ৮:৫৮; ১৬:২৮; ১৭:৫।

আমরা পুরো বাইবেল জুড়ে দেখি যে, ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করা হয়েছিল এবং প্রেরিত ৭:৫৯ এ প্রথম শহীদ স্টিফেন যীশুর কাছে তাঁর আত্মা পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করেন।

সর্বশেষে ঈশ্বর একমাত্র যার তৈরি করার ক্ষমতা আছে এবং আদিপুস্তক ১:১ আমরা দেখি ঈশ্বরকে তৈরি করতে এবং যোহন ১:১০ এ আমরা দেখি যে জগৎ যীশুর মাধ্যমে তৈরি হয়েছিল। কলসীয় ১:১৬ যীশুর দ্বারা এবং যীশু জন্য সব কিছু তৈরি করা হয়।

এছাড়াও, ঈশ্বর ও যীশু উভয়কেই উল্লেখ করা উপাধি রয়েছে যার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা আমি সরবরাহ করবো।

বিচারক- আদিপুস্তক ১৮:২৫ পদে ঈশ্বর সমস্ত পৃথিবীর বিচারক এবং যোহন ৫:২২ পদের মধ্যে যীশুর কাছে বিচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ২ করিন্থীয় ৫:১০ পদে এটি খ্রীস্টের রায় আসনের কথা বলে।

রাজা- গীতসংহিতা ৯৫:৩ পদে প্রভু সমস্ত দেবতাদের উপরে এক মহান রাজা এবং যীশু রাজাদের রাজা এবং প্রভুদের প্রভু হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে প্রকাশিত বাক্য ১৭:১৪ পদে।

প্রথম এবং শেষ- ঈশ্বরকে নির্দেশ করে যিশাইয় ৪৮:১২ পদে এবং প্রকাশিত বাক্য ১:১৭ পদে হল যীশু।

আলো- সদাপ্রভু আমার আলো এবং পরিত্রাণ উল্লেখ আছে গীতসংহিতায় ২৭:১ পদে এবং আরও যোহন ১:৯ পদে যীশু হলেন সত্যিকারের আলো যা প্রত্যেক মানুষকে আলোকিত করে। যোহন ৮:১২ পদে যীশু স্বীকার করেছেন যে তিনি বিশ্বের আলো।

শৈল – ২ শমূয়েল ২২:৩২ পদ বলে, আমাদের ঈশ্বর ছাড়া কে শৈল এবং রোমীয় ৯:৩৩ পদে খ্রীস্ট সেই শিলা যার কারনে মানুষ পতিত হয়।

মুক্তিদাতা – গীতসংহিতা ১৩০:৭ পদে প্রভু নিজে ইস্রায়েলের সমস্ত পাপ থেকে তাদের মুক্তিদাতা এবং মথি ১:২১ পদে যীশুকে এমন একজন হিসাবে চিত্রিত করা হয় যিনি ইস্রায়েলকে তাদের পাপ থেকে মুক্ত করেন।

পরিত্রাতা- যিশাইয় ৪৩:১১ পদে সদাপ্রভু একমাত্র পরিত্রাতা এবং লূক ২:১১ পদে যীশুই সেই পরিত্রাতা।

স্বামী- যিশাইয় ৫৪:৫ পদ বলে, প্রভু সর্বশক্তিমান যিনি আমাদের স্বামী কিন্তু ২ করিন্থীয় ১১:২ পদে যীশু আমাদের স্বামী।

মেষপালক- গীতসংহিতা ২৩:১ পদে প্রভু আমার মেষপালক এবং যোহন ১০:১১ পদে যীশু বলেছিলেন যে আমি ভাল মেষপালক।

জীবনের দাতা- দ্বিতীয় বিবরণ ৩২:৩৯ পদে ঈশ্বর জীবন দেন এবং যোহন ১:৪ পদে যীশুই জীবন।

শাশ্বত- হবক্কূক ৩:৬ পদে ঈশ্বরের পথকে শাশ্বত হিসাবে চিত্রিত করা হয় এবং এখনো ম্যাসিয়ানিক ভাববাদীতে যীশু শাশ্বত থেকে উদ্ভুত উল্লেখ আছে যিশাইয় ৯:৬ পদে চিরকালের পিতা এবং মীখায় ৫:২ পদে(মথি ২:৬) যীশু প্রাচীন সময় থেকে এসেছেন বা চিরস্থায়ী।

অপরিবর্তনীয় বা অপরিবর্তনযোগ্য- মালাখি ৩:৬ পদে ঈশ্বর পরিবর্তন হন না এবং ইব্রীয় ১৩:৮ যীশু গতকাল, আজকে এবং চিরকালের মতো একই রকম।

পিতা এবং যীশুর মধ্যে প্রতিযোগিতার চেয়ে ধারাবাহিকতা এবং প্রতিদান প্রদর্শন করা উচিত।  শাস্ত্র অনুসারে তারা যোহন ১০:৩০ পদে তাদের একাত্মতার চিত্রিত শব্দের বিশেষ অর্থে “এক”।

ঈশ্বরের প্রকৃতি বর্ণনা করার সময় এটি এটা বা ওইটা নয় কিন্তু বরং উভয়ই।

আমি স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের কথা ভাবি যেখানে আদিপুস্তক ২:২৪ পদে বলা হয়েছে যে দুজনেই একই মাংস হয়ে যায়। দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৪ পদে যেমন বলা হয়েছে ঈশ্বরের সাথে এটি তুলনীয়, যেখানে ঈশ্বরের অস্তিত্বকে এক(ইচাদ) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে যা একটি যৌগিক ঐক্য যা পরম ঐক্য(ইয়াচিড) নয় যা একের সংখ্যাসূচক মানকে ধারণ করে।

এই শাস্ত্রপদের উচিত পিতা এবং যীশুর মধ্যে প্রতিযোগিতার চেয়ে ধারাবাহিকতা এবং প্রতিদান প্রদর্শন করা উচিত।  শাস্ত্র অনুসারে তারা জন 10:30 এ তাদের একাত্মতার চিত্রিত শব্দের বিশেষ অর্থে “এক”।

স্বামী এবং স্ত্রী একই পদার্থ এবং তারা একতার সম্পর্কের ক্ষেত্রে সংহতি ভাগ করে, তবে একে অপরের প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়াশীলতার ক্ষেত্রে আলাদা ভূমিকা এবং কর্তৃত্ব রয়েছে এবং তবুও এই উদাহরণটির খাঁটিতায় ঈশ্বরত্বের এক অভিনব ইঙ্গিত রয়েছে যা একটি অবিচ্ছেদ্য নিখুঁত সংযুক্তির প্রতিনিধিত্ব করে।

jesusandjews.com/wordpress/2009/07/30/god-is-one/

এই ব্লগটি খ্রিস্টের দেবত্বের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দেয় না তবে শাস্ত্রের অভ্যন্তরীণ প্রমাণের ভিত্তিতে কোনও অংশকেই সমর্থনও করে না।

যেহেতু কোনও কিছু বোঝা মুশকিল তাই এটি অবিশ্বাস্য হয়ে যায় না বা এটি অবিশ্বাস্য হিসাবে অস্তিত্বহীনতার প্রয়োজন হয় না।

যীশু মশীহকে একজন দেবদূত বা নিছক মানুষ বা সৃষ্টি বলে দাবি করে তাঁর ব্যক্তির বাইবেলের বিবরণ অসম্মানিত করা হচ্ছে অতএব আমাদেরকে বাইবেলের অবস্থান থেকে দূরে নিয়ে যাওয়া হয়।

যোহন ৮:২৪ পদে যীশু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে আপনি যদি বিশ্বাস না করেন যে তিনিই তিনি যা বলে দাবি করেছেন তবে আপনি অবশ্যই আপনার পাপের মধ্যে মারা যাবেন।

খ্রিস্টকে ধ্বংস করতে এবং তাঁর স্বর্গীয় সিংহাসন থেকে তাঁকে টেনে নামানোর জন্য তাঁকে কেবল একজন মানুষ, দেবদূত বা দেবতা হিসাবে তৈরি করে তাঁর ব্যক্তি এবং নামের কারণে গৌরবকে অপমান করা হয়।

আপনি খ্রীষ্টকে উপরে তুলে ধরার পক্ষে যুক্তি দিতে পারেন ঈশ্বরের অবতীর্ণ করা, কিন্তু শাস্ত্রে যোহন ৫:২৩ পদ বলে যে আপনি যদি পুত্রকে সম্মান না করেন তবে আপনি পিতাকে সম্মান করেন না।

খ্রিস্টের উপাস্য দেবত্বের পক্ষে আমার যুক্তিতে আমি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কাটিয়ে উঠতে কেবল কয়েকটি অস্পষ্ট বা দূরবর্তী শ্লোকই দিইনি, তবে বিভিন্ন বাইবেলের লেখকের মধ্যে উভয় চুক্তির সাক্ষ্য থেকে আমি ভারসাম্যপূর্ণ ঐক্য দেখানোর চেষ্টা করেছি।

উপসংহারে আমি মনে করি আপনি প্রমাণ থেকে দেখতে পাচ্ছেন যে ঈশ্বরের চেয়ে যীশুকে নিচু করা কেবল তাঁর ব্যক্তিত্ব নিয়ে আরো সমস্যা সৃষ্টি করে যা তাঁকে ততটা রহস্যময় করে তোলে যতটা অন্যথায় আমরা “যুক্তিযুক্ত” করতে পারি না।

 

 

ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়-Bengali

হিন্দু সম্পদ

যিশু এবং ইসলাম

The Divinity of Jesus

যীশু সর্বশেষ ভাববাদী

Friday, April 2nd, 2021

সম্প্রতি আমার এক মুসলিম বন্ধু আমাকে জানিয়েছিলেন যে মুহাম্মদই সর্বশেষ ও চূড়ান্ত নবী ছিলেন।  এটি একটি বিশ্বাস হিব্রু শাস্ত্রের মধ্য দিয়ে এসেছে এবং দ্বিতীয় বিবরণ ১৮:১৫ এ পাওয়া যাবে।

এই ধর্মগ্রন্থটিতে কখনই ইসলামের প্রতিষ্ঠাতে এর পরিপূর্ণতা খুঁজে পাওয়া যায়নি, যা ইব্রীয়দের কাছে একটি বিদেশী ধর্ম এবং মিথ্যা দেবতা বা প্রতিমার প্রতিনিধিত্ব করবে, যাদের কাছে এই ভবিষ্যদ্বাণীটি ভুলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিল।

মূসা এই শব্দটি ইব্রীয়দের সাথে বিশেষভাবে বলেছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত ইব্রীয়রা সহকর্মী ইব্রীয়ের প্রতি এটি প্রয়োগ করেছিলেন।  সমস্ত তওরাত ইস্রায়েলের চুক্তিযুক্ত লোকদের দ্বারা এবং প্রেরিত ৩:২২ পদে প্রচারক পিতর অনুসারে এবং প্রেরিত ৭:৩৭ পদে স্টিফেনের বাণী চূড়ান্তভাবে যীশুতে সিদ্ধ হয়েছিল।

মোশি ইস্রায়েলের লোকদের বলেছিলেন যে ঈশ্বর আমার ভাইদের মধ্য থেকে আমার মতো একজন ভাববাদীকে উত্থাপন করবেন।  এই পাঠটির ব্যাখ্যা করার সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল “ভাই” শব্দটি যা হিব্রু ঐতিহ্যের লোকদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয়েছিল।

যদিও ইব্রীয় ও আরব বংশোদ্ভূতদের মধ্যে কিছু পৈতৃক সম্পর্ক রয়েছে তবে শাস্ত্রটি গ্রন্থ বা ইস্রায়েলের লোকদের জন্য স্পষ্টভাবে প্রযোজ্য।

অবশেষে এই শাস্ত্রপদটি খ্রিস্টানদের দ্বারা বিতাড়িত বা ভুল উপস্থাপিত করা হয় না শাস্ত্রীয় পাঠ্যের সাথে তামাশার ক্ষেত্রে যদিও সমস্ত তওরাত ইহুদিবাদের কেন্দ্রস্থল, যা যীশু খ্রিস্টকে শিরোনাম বা ভাববাদীর অবস্থা দানে সহানুভূতি দেখায় না।

আপনিও যিশুকে “মহান ভাববাদী” হিসাবে অস্বীকার করার ক্ষেত্রে মূলধারার ইহুদিবাদী সিদ্ধান্তের সাথে একমত হতে পারেন, তবুও এই লেখাটি যেভাবে স্বাধীনভাবে ইসলাম গ্রহণ করেছে তাতে তারা রাজি হবে না।

অবশেষে, আপনি ইস্রায়েলের ভবিষ্যদ্বাণীমূলক মন্ত্রিত্ব অধ্যয়ন করার সময় আপনি প্রায়ই ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া হিসাবে প্রত্যাখ্যান দেখতে পাবেন। যিশুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সর্বশ্রেষ্ঠ মশীহ শাস্ত্রের একটি হলেন নবী যিশাইয়। যিশাইয় ৫৩ এ এটি যীশুকে একজন দুঃখকষ্ট সেবক হিসাবে বলেছে যিনি ঈশ্বরের দ্বারা গৃহীত এবং মানুষের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত এবং তুচ্ছ হয়েছিলেন।

আমি প্রার্থনা করি যে আপনি যিশুকে সর্বশেষ ও চূড়ান্ত কর্তৃত্ব হিসাবে তাঁর যথাযথ অবস্থান অস্বীকার করবেন না যেখানে শাস্ত্র চূড়ান্ত পরিপূর্ণতা এবং উদ্দেশ্য খুঁজে পেয়েছে।

ভবিষ্যদ্বাণীমূলক কন্ঠস্বর “উত্তরাধিকারী” কে পৃথক করেছিল, যার ফলস্বরূপ যারা যীশুর ব্যক্তিত্ব এবং কার্যের মধ্যে একটি চূড়ান্ততা প্রতিষ্ঠায় এর বার্তা এবং পরিপূর্ণতা “শ্রবণ” করবে ইব্রীয় ১: ১-২ এ।

যাদের শোনার কান আছে তারা ঈশ্বরের আত্মা যা বলছেন তা শুনতে পাবে।  আপনি কি ঈশ্বরের ভবিষ্যদ্বাণীমূলক কণ্ঠ শুনছেন?

 

ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়-Bengali

হিন্দু সম্পদ

যিশু এবং ইসলাম

Jesus the Last Prophet

আল্লাহর নাম পবিত্র নয়

Saturday, March 20th, 2021

ইসলামে ঈশ্বরের স্বকীয় নাম হচ্ছে আল্লাহ। বিশটি বিভিন্ন শিক্ষামূলকের এই নামের নিজস্ব গুপ্তরহস্য তৈরীতে একটি সম্ভাবনা আছে। নামটির ইসলাম-পূর্ব সময়ে অস্তিত্ব ছিল যেটা পৌত্তলিক দেবতাদের জন্য ব্যবহৃত হত যা আরবের লোকদের দ্বারা পূজনীয় হত। সুতরাং আল্লাহ নাম ব্যবহারের প্রথা মুহাম্মাদ কর্তৃক ঈশ্বরের উদঘাটনের পূর্ব থেকেই বিদ্যমান ছিল।

 

ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়-Bengali

হিন্দু সম্পদ

যিশু এবং ইসলাম

Allah’s Name is not Sacred

আল্লাহ কি এক?

Saturday, March 20th, 2021

একা একমাত্র হয়ে আল্লাহর মুখাকৃতি আরব প্রভাব থেকে উৎপত্তি হয়েছিল না তাদের পূর্বপুরুষদের মুশরিক হওয়ার কারণে।

আমি এটাকে অদ্ভুত হিসাবে আবিষ্কার করি যে আরব সংস্কৃতি একটি বিদেশি সংস্কৃতির একেশ্বরবাদী দর্শনের সাথে খাপ খাইয়েছিল যা কি না ইহুদি এবং খ্রিস্টান উভয়ের বিশ্বাস এবং প্রভাবের উপর ভিত্তি করে ছিল।

ইসলামের জন্য ভিত্তি একটি বিদেশি বিশ্বাসের আত্মসচেতন, দৃঢ় বিশ্বাস এবং প্রচার যা হচ্ছে এর শিকড়। কেন সকল সার্বভৌম এবং সর্বশ্রেষ্ঠ ঈশ্বর যিনি মহাবিশ্বের অধিপতি, সত্যের সাথে তাকে সৃষ্টি করেছেন যে অবশেষে এর বার্তা (মুসলিম) বহনের দাবী করে যদি না এটা সত্যি শুধুমাত্র আরেকটি পথভ্রষ্টতা, মিথ্যা এবং দুর্নীতির উৎস হত? কে তাদের থেকে সত্য নিয়ে নিয়েছিল? কে এখানে প্রভাব বিস্তার করেছিল? এটা কি সম্ভব ধর্মের প্রকৃতি উদঘাটন এবং বাছাই করা যা ইসলামের ব্যক্তিগত বিশ্বদর্শনের সাথে সংগতিপূর্ণ হয় একটি অনন্য পরিচয়ের অধিকারী হওয়ার জন্য? অনেক বিশ্বাসী গোষ্ঠী আছে যারা অনুরূপভাবে নতুন দৈববাণীর ব্যাপারে চিন্তা করে। শুধু যীহভা সাক্ষ্য এবং মোরমোনস সম্পর্কে পড়ুন যাদের ইসলামের প্রতি একটি অভিন্ন অভিজ্ঞতা আছে। যোসেফ স্মিথ মুহাম্মাদের মত সত্য অনুধাবন করতে চেষ্টা করেছিলেন এবং তিনি অনুরূপভাবে একজন স্বর্গদূতের মাধ্যমে একটি ব্যক্তিগত দৈববাণী পেয়েছিলেন। অবশ্যই, যোসেফ স্মিথের দেবদূতসংক্রান্ত দর্শন এর নিজস্ব অনন্য বার্তা এবং তরজমা আছে যা অনেকটা দেবদূতসংক্রান্ত দর্শনের থেকে আলাদা যেমন মুহাম্মাদ পর্যন্ত দিয়েছেন। সুতরাং, কে সঠিক? বিখ্যাত যোসেফ স্মিথ যিনি বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বিশ্বাসী গোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম দ্রুততম এবং বৃহত্তম বা ইসলামের পছন্দ যেটা দ্রুততম ক্রমবর্ধমান ধর্ম যেখানে ১ বিলিয়নেরও অধিক অনুসারী আছে।

প্রেরিত পৌল এই ঘটনার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন যে, ইসলামের জন্মের আগে বা জোসেফ স্মিথ তার মায়ের চোখে এক পলক ছিল এবং তিনি গালাতীয় ১: ৮ পদে উল্লেখ করেছেন যে স্বর্গ থেকে কোন স্বর্গদূতও যদি আমরা আপনাকে প্রচার করেছিলাম তা ছাড়া অন্য কোনও সুসমাচার প্রচার করতে পারে  তাকে চিরন্তন নিন্দা করা হবে।

 

ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়-Bengali

হিন্দু সম্পদ

যিশু এবং ইসলাম

Is Allah One?

ইসলাম এবং শান্তি

Saturday, March 6th, 2021

অনেক সময় আমি আমার মুসলিম বন্ধুদের বলতে শুনেছি যে ইসলাম একটি উদার বা শান্তিপূর্ণ ধর্ম এবং শুধুমাত্র কিছু চরমপন্থীদের জন্য ইসলামের বদনাম হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত, ইসলামের নামে বিগত চৌদ্দ শতাব্দী ধরে ২৭০ মিলিয়নের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং ৯১১ থেকে বিশ্বব্যাপী ২০০০০ এর কাছাকাছি সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। এতদনুসারে, সহিংসতা ইসলামের মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে কিছু ধারণার চারদিকে ঘোরে যেমন জিহাদ এবং অদৃষ্টবাদী শহিদের মৃত্যু যা শক্তভাবে উৎসাহিত ও ধারণা করে যে সহিংসতা, ঘৃণা এবং আক্রমণ হচ্ছে ইসলামি বিশ্বাস সংজ্ঞায়নে একটি বৈধ অভিব্যক্তি। তখন এবং এখন উভয় সময়েই ইসলাম শক্তি ও বলপ্রয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতিকে ধৃত করে ভয় এবং হুমকির মাধ্যমে বন্দি করেছে যেন অধিকৃত দেশ বা অঞ্চলের উপরে বিজিত ভাবের মানসিকতা বজায় রাখতে পারে।

অতএব, কুরআন আল্লাহর প্রতি এমন অবিচলতার জন্য ইসলামের ইতিহাসের এসব নিয়মাদি নির্বাহ করে এবং আমি তাদের সমালোচনা করছি না যেহেতু এর ভিত্তি তাদের আনুগত্যের অকৃত্রিম উপস্থাপন যা হচ্ছে এর শিক্ষার প্রতি বিশ্বস্ত, অন্যান্য উদাস বা পরিমিতরূপে শান্তিপূর্ণ মুসলিমদের প্রতি না, যেহেতু তারা ইসলামের সত্যিকারের অনুশীলনকারী যা কি না নিম্নলিখিত সূরাসমূহে প্রকাশিত হয়েছে: কুরআন ৯:২৯, ৯:৭৩, ৯:১২৩।

মূলত ইসলামী ধর্মতত্ত্ব অনুযায়ী, এটা আরও যুক্তি দেখায় যে যদি আল্লাহ দৈবভাবে এসব সন্ত্রাসী হামলা ঘটতে সম্মতি দেন তাহলে এটা অবশ্যই তাঁর ইচ্ছা, তাই না? অতএব, অবিশ্বাসীদের প্রতিহত করতে যুদ্ধ করা হয়ত আল্লাহর নিঁখুত পরিকল্পনার প্রতি প্রত্যাখ্যান এবং অস্বীকার করা হতে পারে।

যদিও আমি এইসব কর্মকাণ্ডের নিন্দা করি এটা ভাবা কঠিন নয় যে তারা কুরআনকে প্রতিপালনে এমন আচরণ করছে। সুতরাং আমি মনে করি আপনার নিজেকে প্রশ্ন করা যুক্তিসঙ্গত, যদি আপনি নিজেকে একজন মুসলিম দাবী করেন, যা এই রচনাংশের দ্বারা গ্রহণ করেননি, সম্ভবত আপনি যদি একজন সত্যিকার বা খাঁটি বিশ্বাসী না হন যেহেতু কুরআনে খুঁজে পাওয়া কিছু রচনাংশ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এছাড়াও, বেছে বেছে নির্দিষ্ট কিছু সূরা ব্যবহার করা যেগুলো আপনার ধর্মীয় মতাদর্শের সাথে মানানসই, যা হচ্ছে সারাংশ, সেটা ইসলামের বিশ্বাসকে পুনরায় সংজ্ঞায়িত এবং এমনকি প্রশ্ন করতে পারে যেমন আপনার নিজস্ব ধর্মীয় বিশ্বদৃষ্টির উন্নতির প্রতি স্বধর্মত্যাগের একটি রূপ, কুরআন ৩৩:৩৬। এতদতিরিক্ত, এটা দৃঢ়তাসহকারে বলা যে ইসলাম একটি শান্তিপূর্ণ ধর্ম এবং চুপ থেকে এই সন্ত্রাসবাদকে বাধা না দেওয়া সম্মতি ও অনুমতির একটি রূপ হয়ে ওঠে এসব নীচ কার্যকলাপের প্রতি সম্বন্ধীকরণের মাধ্যমে মানবতার উপর এই অপরাধের প্রতি একজন দুষ্কর্মের সহযোগী হিসেবে। যদি আপনি দৃঢ়ভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বাস করেন, তাহলে আপনি কি এই কার্যকলাপকে বাধা দিতে ইচ্ছুক এমনকি বিপদের মুখেও? দুর্ভাগ্যবশত, যদিও অধিকাংশ মুসলিম শান্তিবাদে বিশ্বাসী, ইসলামের নেতৃত্বের মূল উপাদান হল ইসলামী সংস্কৃতির প্রভাব বহন করা, যেমন অধিকাংশ মুসলিম তাদের নিজস্ব গতিবিধির সপক্ষে এবং যেকোনো প্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বদর্শনের বিরুদ্ধে অনুবর্তী হয়। উপরন্তু, যুগব্যাপী এই সমস্যার নিকটবর্তী চেষ্টা হল একটি গণতান্ত্রিক এবং কূটনৈতিক উপায়ে ইসলামকে সংশোধন করা যা হচ্ছে উদ্দেশ্য সাধনের পশ্চিমা পদ্ধতি যেটা কি না চিরাচরিত ইসলামী পন্থা নয়। আপনি হয়ত প্রথমে আপত্তি করতে পারেন এটা দেখিয়ে যে কুরআন অন্যান্যদের প্রতি নিরপেক্ষভাবে আচরণ করে যেমন আছে কুরআন ২:২৫৬, ১০৯। অথচ এটা শুধু কারণ যে উন্নয়নের প্রাথমিক পর্যায়ে কুরআন নিজেকে পুরোপুরিভাবে সমর্থন করার অবস্থায় ছিল না কিন্তু যখন এটা শক্তি অর্জন করতে শুরু করল তখন এই সূরাগুলোকে উচ্ছেদ করা হল যেমন অন্যান্য রচনাংশের বৈপরীত্য দেখার দ্বারা যেগুলো আমি পূর্বে উল্লেখ করেছি যা সংক্রমিত হয় আরও বেশি আক্রমণাত্মক ব্যবহারের রূপে প্রতিপত্তি অর্জনের প্রতি, যদি প্রয়োজন হয়, তখন সহিংসতার তরবারির মাধ্যমে।

ইসলামী কর্তৃত্ব ও প্রভাবের প্রতি এই অগ্রগতি আরেকটি চক্রান্ত মতবাদের মত মনে হতে পারে কিন্তু ঐতিহাসিকভাবে এটা ঘটেছে এবং আজ পর্যন্ত চলছে যেন এটি একটি গোপনীয় আলোচ্যসূচির সাথে শুরু হয় এবং কার্যক্রম উন্নয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের মাধ্যমে অবশেষে একটি দৃঢ় প্রতিষ্ঠার প্রতি পরিচালিত হয়, এ ছাড়াও, ইসলামী আইনের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি সমাজের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চূড়ান্তরূপে সংস্কৃতিকে দমন এবং ধ্বংস করে, অবিশ্বাসীরা সহ। এটা প্রায়ই খ্রিস্টান এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর মধ্যে উপদ্রব এবং নিপীড়ন সংঘটিত করে। আমি ‘শহীদদের কণ্ঠ’ www.persecution.com নামে একটি জোটকে সমর্থন করি যেটা একটি খ্রীস্টীয় সংগঠন যা সেইসব মানুষকে সাহায্য ও সহযোগিতা করে যারা শহীদী মৃত্যুর শিকার। প্রতি বছর প্রায় ৩০০০০০ খ্রিস্টান যারা এই সংজ্ঞার আওতায় আসে যেটা কোথাও কোথাও চাকরি এবং সম্পত্তি হারিয়ে কারাবাস এবং এমনকি মৃত্যুতে পরিবর্তিত হতে পারে। যেটা আমাকে আমার পরবর্তী বিষয়ে চালিত করে যেমন মুসলিমরা প্রায়ই চপলমতি যেমন এমন কিছু কোরানিক উদ্ধৃতির প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে যেমন, “ধর্মপালনে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই” এবং তথাপি কর্তৃত্ববান ইসলামী সম্প্রদায়গুলোর বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় তারা অবিশ্বাসীদের নিপীড়ন করে জোরপূর্বক জিহাদের মাধ্যমে তাদের ধর্মান্তরিত করতে প্রচেষ্টা চালানো হয়, ধর্মনিন্দা বিধির অপব্যবহার, এবং জিহাদের পুরস্কার যেন তারা তাদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে বিচ্ছিন্ন ও একঘরে করে রাখে যা সমর্থিত হয় ইবনে কাথিরের বিবৃতি দ্বারা ৯:২৯ বিষয়ের উপর। সর্বোপরি যারা কখনো এমন মুসলিম মানবিক গোষ্ঠীর কথা শুনেছে যা অবিশ্বাসীদের সাহায্য এবং সহযোগিতা করে যেন তারা তাদের নিজেদের লোক এবং সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানত চিন্তানিমগ্ন, অন্যদের বিশ্বাসের প্রতি সাহায্য করার বাস্তবতায় না যেমন তাদের সম্পর্কে আরও একটি  উচ্চতর দৃষ্টিভঙ্গি আছে, কুরআন ৩:১১০, ৯৮:৬। যাইহোক, খ্রীষ্টধর্ম অন্য সবার মানবিক অধিকারের প্রতি কিছু চমৎকার পদক্ষেপ নিয়েছে যেমন কিছু প্রতিষ্ঠান যেমন হাসপাতাল এবং অনাথাশ্রম স্থাপন এবং প্রতিষ্ঠা করা এমনকি সেইসাথে সম্প্রতি সিরিয়ার মুসলিমদের সহায়তা করছে যারা কি না ইরাকে আশ্রয়প্রার্থী এবং তাদের সাথী মুসলিমদের দ্বারা অবহেলিত।

যাইহোক, একটি সমাজে ইসলামের অগ্রগতি শুরু হয় এভাবে যেমন এটি আশ্রয়দাতা জাতির উপরে পরাশ্রয়ী নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় অভিবাসন, অনিয়ন্ত্রিত সন্তান জন্মদান এবং টাকা জোগানের মাধ্যমে যেমন শত্রুকে স্থানচ্যুত করে অবিশ্বাসীকে হারানোর দ্বারা বশীভূত করে যা কি না সত্যের দ্বারা নয় বরং শক্তির দ্বারা। এই ইসলামীকরণের প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে ঘটতে পারে যেমন তাকিয়ার প্রারম্ভিক বন্ধুত্বপূর্ণ প্রহেলিকার দ্বারা শুরু হতে পারে একটি প্রক্রিয়া বা অছিলা হিসাবে শেষের দিকে, যা কুরআন ৩:২৮ খুঁজে পাওয়া যায়, ইসলামী সম্প্রদায়ের প্রকৃত উদ্দেশ্য গোপন করে এবং ইবনে কাথিরের ভাষ্য সমর্থন দ্বারা এবং বর্তমান সময়ে আমেরিকায় হয়তো দেখা যেতে পারে এবং এই বিষয় থেকে তাদের প্রভাব অগ্রসর হয় একটি যথার্থ প্রশস্ত সংজ্ঞার প্রতি যাকে আত্মরক্ষামূলক জিহাদ বলা হয় যেটাকে ইসলামী ভাষ্যকারগণ ইসলাম বা অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে সমালোচনাসহ আরোপ করে যেন একজন অ-মুসলিম ধর্মপ্রচারক যা কি না উত্তর আফ্রিকা ও ইউরোপে বেশি বর্ণনামূলক যেখানে তারা কিছুটা শাসন অর্জন করতে পেরেছে। পরিশেষে এটি চূড়ান্তভাবে একটি জিহাদি আক্রমণের প্রতি অকাট্য নিয়ন্ত্রণের সাথে নেতৃত্ব দেয় ক্রমানুসারে ইসলামের টিকে থাকা এবং প্রতিষ্ঠা লাভের প্রতি যা ইসলামী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে দেখা যায় যেটা শরিয়া আইন দ্বারা শাসিত।

হাস্যকরভাবে এমন হুমকি এমনকি এমন একটি ধাপের প্রতি সম্পন্ন করা হয় যেখানে ধর্মীয় কলহ চালিত হয় এর বিভিন্ন সম্প্রদায় বা অংশগুলোর মধ্যে যদিও তারা অনুমিতভাবে ভাই হিসেবে একটি সাধারণ পাঠ্যের অধীনে সংঘবদ্ধ। সুতরাং, বলপ্রয়োগের এই পুরো ধারণা কোনো লক্ষ্যে প্রতিপন্ন করে না এমনকি এটা “শুধুমাত্র যুদ্ধ মতবাদ”এর অর্থও প্রকাশ করে না যখন এটি কর্তৃত্বপূর্ণ শক্ততে পরিনত হয়। পরিশেষে, এমনকি এই শাসন এর নিজস্ব সদস্যদের মধ্যে প্রতিপালন করা হয় যেমন ধর্মত্যাগীদের মৃত্যুর হুমকি প্রদান, এইভাবে সেখানে ব্যক্তিগত অধিকারের সত্যিকার অর্থে কোনো যৌক্তিকতা নেই। স্বাধীনতা শুধুমাত্র একটি বিভ্রম যার দ্বারা ইসলামী আদর্শগুলো শাসনপ্রণালীতে রাজত্ব করছে যা কি না পরিবার, সরকার এবং কুরআন দ্বারা সমর্থিত। উপসংহারে, আমি বিষয়টি স্বীকার করছি যে যারা এইসব ইসলামী বিশ্বাসকে গম্ভীরভাবে গ্রহণ করেছে তাদের আক্রমণের দ্বারা কিছু সহ্যশীল ও সহিষ্ণু মুসলিম আছেন যারা মনঃক্ষুণ্ন এবং দুঃখিত হয়েছেন।

আমি আনন্দিত যে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে এমম কিছু ব্যক্তি আছেন যারা এইসব ইসলামী মতবাদ অনুশীলন বা বিশ্বাস করেন না সম্ভবত তাদের ভিতরে ইসলামের প্রতি প্রত্যাখ্যান নীরবে গভীর অবস্থায় আছে যাতে ভয়শূন্য হয়ে তারা এমন অনুশীলন প্রত্যাখ্যানের সম্মুখীন বা উচ্চারণ করতে সমর্থ হয় না শক্তিশালী শাখাপ্রশাখার কারণে। এমনকি অবচেতনভাবে কিছু আত্ম-প্রবঞ্চনা বোধহয় হতে পারে যা সত্যি বলতে তাদের কাছে গ্রহণীয় হবে না এবং নিরপেক্ষভাবে ইসলাম বেষ্টনকারী বিশ্বাসকে বিবেচনা করে। যাইহোক, তাদের হৃদয়ে বা বিবেকে এই মুসলিমরা তাদের ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা ও অঙ্গীকারকে অগ্রসরের প্রতি হত্যা সংঘটনের প্রতি নৈতিক প্রভাবকে স্বীকার করতে গোপনে বিন্যস্ত এবং সুগঠিত। আমি সেইসব মুসলিমদের বিশ্বাস করি যারা তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে অধিকতর নিয়ন্ত্রিত, কুরআনের শিক্ষা ব্যতিরেকে, তারা নিষ্ঠুর মানুষের সমসাময়িক অমঙ্গল দেখে একটি প্রতিক্রিয়াশীল পন্থায় জবাব দেয় উদাহরণ স্বরূপ হিটলার, স্টালিন, ইদি আমিন, পল পট ও হিরোহিতো এবং নৃশংসতার প্রতি হুমকি দেয় এবং এইসব মানুষের দ্বারা এমন ঘৃণ্য অপরাধ সংঘটনের দাম্ভিকতা যারা গণহত্যার অনুষ্ঠান সম্পাদন করেছিল তারা কোনোভাবেই পৃথক নয় যারা আল্লাহর নামে ধর্মীয় অপরাধ সংঘটন সমর্থন করে তাদের থেকে। তথাপি দুর্ভাগ্যবশত কিছু মুসলিম তাদের নিজেদের অবদান দেখে না বা মানব সম্প্রদায়ের ধ্বংসের দুর্ভাগ্যের জন্য তারা দায় গ্রহণ করে। এটা আমাকে যীশুর একটি কথা মনে করিয়ে দেয় যা হল ‘অন্যের চক্ষু হইতে কুটাগাছটা বাহির করিবার পূর্বে আগে আপনার চক্ষু হইতে কড়িকাঠটা বাহির করিয়া ফেল’। তারা তাদের নিজস্ব দর্শনের ব্যাঘাতের ফলে এতই অন্ধ যে আমরা পরিষ্কারভাবে সমস্যাটির বাস্তবিক প্রকৃতি দেখতে পারিনা যেটা হচ্ছে কপটভাবে একজনের নিজস্ব গতিবিধি। আমি বিশ্বাস করি যে মধ্যপন্থী মুসলিমরা প্রবৃত্তিগতভাবে জানে যে তারা একজন স্নেহময় স্রষ্টা দ্বারা নির্মিত যিঁনি প্রাণ বর্ধিত করতে আকাঙ্ক্ষা করেন এবং তিঁনি আমাদের তাঁর ভালবাসার মহৎ উদাহরণ দিয়েছেন আমাদের পার্থিব মায়ের প্রতিপালন এবং যত্নের মাধ্যমে। যদি ঈশ্বর এইসব সীমাবদ্ধ অস্তিত্ব একটি সীমিত ভালবাসার অনুভূতির সাথে সৃষ্টি করে থাকেন, তাহলে একজন অনন্ত ঈশ্বর বেশি কি ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারেন মানুষের প্রতি তাঁর অসীম ভালবাসার ক্ষমতা সম্পর্কে।

ঈশ্বর যীশুর মাধ্যমে পৃথিবীর প্রতি প্রচুর পরিমানে তাঁর ভালবাসা বর্ষণ করেন অনন্ত জীবনে ফলদায়ক হতে যীশুকে আমাদের পাপের ঋণের জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে প্রদান করেন। ঈশ্বর আমাদের ঘৃণার মাধ্যমে নয় বরং ভালবাসার মাধ্যমে বশীভূত করেছেন যেটা তাঁর অস্তিত্বের চূড়ান্ত সংজ্ঞা বা বিশেষণ। পরিশেষে, এই ব্লগ পড়ার জন্য আমি আপনাদের ধন্যবাদ দিই এবং আমি আপনাদের বলবো ইসলামের বিষয়ে একটি সৎ এবং চিন্তাশীল উদ্দীপক প্রচেষ্টা নিতে। সর্বোপরি, একটি অধিক উদার দর্শন নিতে ইতোমধ্যে আপনার বিশ্বাস প্রণালীকে অসংকোচে পুনর্বিবেচনা করুন এবং ঐতিহাসিক অবস্থান যা কি না মানুষের অধিকার এবং জীবনের শুদ্ধাচারের বিরুদ্ধে। আমি আবারও বলতে চাই যে আপনি সত্য সমর্থনের প্রতি যথেষ্ট সাহসী হতে পারেন যদিও এটা অভিপ্রেত আপনার বিদ্যমানতার প্রকৃত সারমর্ম অস্বীকার করে যার মধ্যে সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক মূল্যবোধ অন্তর্ভুক্ত যা আপনার উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তর্কাতীতভাবে, এখানে মানব অস্তিত্বের একটি উচ্চতর সংস্কৃতি আছে যাতে ঈশ্বর চূড়ান্তভাবে ধর্মকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। একটি ধর্ম যেটা ত্যাগসংক্রান্ত ভালবাসার একটি সম্পর্ক হিসাবে চূড়ান্তভাবে বর্ণনা করা যেতে পারে। এই ভালবাসা যীশুর সাথে শুরু হবে এবং তাঁর শিষ্যদের প্রেমপূর্ণ হাত এবং বাহুর মাধ্যমে প্রসারিত হবে যা পৃথিবীর সকল পীড়িত মানবতাকে সম্মুখে এনে তার প্রতি হাত বাড়াবে। এটি ভালবাসা যা সম্মানযোগ্য কারণ এটা স্বার্থপর নয় এবং এমনকি যখন এই ভালবাসা অন্যদের মাধ্যমে বিনিময় করা নয় তখন তারা অন্ততপক্ষে ভালবাসতে শুরু করবে যদিও এর অর্থ অন্যগাল ঘুরিয়ে তাদের শত্রুদের ক্ষমা করা এবং ভালবাসা। বন্ধুগণ, একটি উত্তম উপায় আছে এবং যীশু বলেছেন যে এটিই একমাত্র উপায়। এই রাস্তাটি যা জীবনের পথ প্রদর্শন করে, মৃত্যুর নয়। ভয়, ঘৃণা, রাগ এবং হত্যার পরিবর্তে ভালবাসা। কারণ ঈশ্বর জগতে এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার একমাত্র পুত্রকে দান করিলেন, যেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।

 

ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়-Bengali

হিন্দু সম্পদ

যিশু এবং ইসলাম

Islam and Peace

 

 

 

Permission granted by David Woods for excerpts taken from the article on “Jihad, Jizya, and Just War Theory” in the Christian Research Journal Vol.36/No.1/2013

Permission granted by David Woods for excerpts taken from the article on “ Muhammad and the Messiah” in the Christian Research Journal Vol.35/No.5/2012

মহিলাদের উপর ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি

Sunday, February 28th, 2021

ইসলামী সমাজে সম্ভবত মহিলাদের অধিকারের উপরে বিভিন্ন নিয়মাবলি আছে এখনো কুরআন এবং হাদিসের আত্মসাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে কিছু অবস্থায় মহিলাদের জীবনে অধীনস্থতা ও খর্বতা আছে।

ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি প্রধানত পিতৃশাসিত এবং এর ফলে কিছু ক্ষেত্রে মহিলাদের প্রতি অপ্রয়োজনীয় শোষণ এবং দুর্ব্যবহার দেখা যায়। কুরআনে ৪:৩৪ মহিলাদের প্রহারের প্রতি অধিকার দেওয়া হয়েছে। মানুষের সহজাত প্রবৃত্তির ভিত্তি স্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠ ভালবাসার সম্পর্ক তৈরীতে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করে যেটা বিশ্বাসের সহায়ক যা একজন সহধর্মীর প্রতি নিরাপত্তা ও যত্নের কেন্দ্রবিন্দু। তাহলে কিভাবে এই সংশোধনী কাজ প্রত্যাশিত ভালবাসার অভিব্যক্তির দিকে ধাবিত করতে পারে? যদি এই হয় অবস্থা তাহলে স্বামীকে কিভাবে সংশোধন করা হবে যখন তিনি ভুল করেন? এটা কি পারস্পরিক বিনিময়ের জন্য বিপরীত প্রতিক্রিয়া হতে পারে না যদিনা অবশ্যই তিনি কখনো ভুল না করেন বা শাস্তির প্রয়োজন হয় অথবা তার নৈতিক আধিপত্যের সংশোধন প্রয়োজন হয়।

সম্ভবত মহিলাদের মধ্যে হীনম্মন্যতার একটি নৈতিক ত্রুটি আছে যেটা হাদিসের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে কেন স্ত্রী লিঙ্গদের প্রতি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়েছে। সর্বোপরি হাদিস মহিলাদের সেই দৃষ্টিকোণে দেখায় যেটা আত্মিক ও নৈতিকভাবে চরিত্রহীন যেহেতু তাদের শয়তানের প্রতি ধাবিত হওয়ার প্রবণতা আছে। হাদিস বর্ণনা করে যে, নরকে যাদের অবস্থিতি আছে তাদের মধ্যে মহিলারা সংখ্যাগরিষ্ঠ যেখানে স্বর্গে শুধু কিছু সংখ্যালঘু অধিষ্ঠিত আছে। মুসলিম, খণ্ড ৪, হাদিস ৬৫৯৭, পৃষ্ঠা ১৪৩২ এবং মুসলিম, খণ্ড ৪, হাদিস ৬৬০০, পৃষ্ঠা ১৪৩২।

এছাড়াও, ইসলামী আদর্শ আনন্দবাদী মূল্যবোধের উপরে কেন্দ্র করে আছে যা পুরুষ লিঙ্গের অভিব্যক্তিকে বেষ্টন করে আবর্তিত হয়। একজন ঈশ্বরভীত মুসলিম পুরুষকে স্বর্গে একদিনে ১০০ জন বা তার বেশি সংখ্যক কুমারীর সাথে যৌনসহবাসের আনন্দ দেওয়া হয়েছে, সূরা ৫৫। সংখ্যালঘু মহিলারা যারা স্বর্গে যেতে পারবে তারাও কি একইভাবে পুরস্কৃত হবে? জীবনব্যাপী বিবাহের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ একজন স্ত্রী কিভাবে নিজেকে মর্যাদাপূর্ণ ভাববে যখন জানে যে একদিন তার স্বামী স্বর্গে অপরিচিত মহিলাদের দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে পরমানন্দ ও কামদ সুখ ভোগ করবে যেমন অনন্ত সুখের ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যদি স্বর্গে গমন করাই তার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য হয়ে থাকে, তাহলে আপনার কাছে তার স্ত্রীর হিসাবে সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য কি হবে? যদি সে অনন্তকালে শারীরিক সুখের দ্বারা আমোদিত হতে চায়, তাহলে আপনি নিশ্চিত থাকেন যে তার সাথে আপনার সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার উদ্দেশ্য উন্নতিতে এটা সাহায্য করে না। সম্ভবত যখন সে এই জীবনে আপনার সাথে সম্পূর্ণ ও পরিতৃপ্ত তখন স্বর্গে তাকে পাওয়ার চেষ্টার কোন অর্থ নেই আপনার কাছে যেহেতু তার চাহিদা এখন অন্যদের দ্বারা প্রতিপালন ও পূরণ হবে।

এছাড়াও, কুরআন এবং হাদিস স্ত্রীর জন্য কোন বিবেচনা ছাড়াই খানিকটা চাহিদার দৃষ্টিতে স্বামীর জন্য যৌন পরিতৃপ্তি বিষয়টি ধারণ করে কুরআন ২:২২৩, মিশকাত আল মাসাবিহ পৃষ্ঠা ৬৯১: তিরমিজি, বুখারী খণ্ড ৭, হাদিস ১২১ পৃষ্ঠা ৯৩।

এটা ছাড়াও বিবিধ এবং যৌন স্খলন আছে যা বিভিন্ন ইসলামী সংস্কৃতিতে খুঁজে পাওয়া যায় যেটা লিঙ্গাগ্রচর্মছেদন করার দ্বারা জননাঙ্গের অঙ্গহানির চর্চাকে অন্তর্ভুক্ত করে যেখানে মেয়েরা তাদের সতীত্ব রক্ষা করার উদ্দেশ্যে তাদের যৌন উদ্যমকে নিরোধক অর্থে ব্যবহার করে। কিছু বিতর্ক আছে যে মুহাম্মাদ এই সহিংস কাজকে বাধ্যতামূলক করেছেন কি না, তা সত্ত্বেও বিভিন্ন দেশে এটা এখনো পালন করা হয়। দ্বিতীয়ত কিছু মুসলিমের পতিতাবৃত্তি বা মুতা-এর বৈধ রূপ আছে যেটা অস্থায়ী বিবাহের মতো একটা হেঁয়ালি যা মুসলিম পুরুষদের মধ্যে আকস্মিক যৌন আবেগ সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে অনুমোদন করা হয়েছে।

আরও একটি বিষয় যা সম্ভবত আকারে সূক্ষ্ম হলেও কিছু সাংস্কৃতিক কর্মহীনতা তৈরি করতে পারে তা হল বহুবিবাহের চর্চা যা পরিবারতন্ত্রের মধ্যে সামাজিক সমস্যা তৈরি করতে পারে।

এই সংস্কৃতিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে মানবতার অবক্ষয়জনিত প্রভাব অনুধাবন করার জন্য বিশেষজ্ঞ সমাজবিজ্ঞানী বা নৃবিজ্ঞানী হতে হয় না।  যে কেউ প্রদত্ত সমাজের জন্য নৈতিক রীতিনীতি প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে তর্ক করতে পারে, তবুও আমরা সে মৌলিক চাহিদা সম্পর্কে কথা বলছি যা সর্বজনীনভাবে মানব অস্তিত্বকে সংজ্ঞায়িত করে।

সম্ভবত আপনি ইসলামের সাংস্কৃতিক জগতে জড়িয়ে আছেন যেখানে নিজে আটকা পড়েছেন বা নিজেকে বিচ্ছিন্ন মনে করছেন বা দুঃখের বিষয় যা যথেষ্ট হতে পারে আপনি অন্য কিছু জানেন না।  আপনি কি দেখেন না যে কিছু মহিলা ইসলামের অপরাধের কারণে সংবেদনশীল এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।  সম্ভবত আপনি যদি এই বাস্তবতার মুখোমুখি হতে রাজি না হন তবে সম্ভবত আপনি ইসলামী সংস্কৃতির সাথে একটি স্বনির্ভরতায় বিকশিত হয়েছেন। হতে পারে আপনাকে এমন বিন্দুতে দাঁড়াতে শেখানো হয়েছে যে আপনি এই বিষয়গুলি সম্পর্কে নির্বোধ যা আমাকে পরবর্তী আপত্তির দিকে নিয়ে আসে।

হাদিস অনুসারে মহিলাদের সীমিত বা হ্রাস বৌদ্ধিক ক্ষমতা রয়েছে।  এই দৃষ্টিকোণ থেকে আসা মহিলাদের অর্ধ-প্রতিভা হিসাবে দেখা হয় যারা রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ। লোকেরা যখন তাদের নিকৃষ্ট বলে বিশ্বাস করে পরিচালিত হয় তখন তাদের কৌশল এবং নিয়ন্ত্রণ করা আরও সহজ।  আপনি এমন একটি পুরুষ আধিপত্যবাদী ধর্মের কাছ থেকে যা পান তা সততার পরিবর্তে শারীরিক দক্ষতার নিয়ম করে।

বুখারী, খন্ড ৩, হাদিস ৪২৬, পৃষ্ঠা ৫০২

আমি জানি এই ব্লগটি কঠোর এবং নির্দেশিত মনে হচ্ছে এবং আশা করি আমি আমার সরাসরি পদ্ধতির মাধ্যমে নিজের মামলাটি বাড়াই নি। সমস্ত ন্যায্যতার সাথে বললে আমি ইসলামী সংস্কৃতির বিনয় উপলব্ধি করি, তবে শেষের জীবনযাত্রার একটি প্যাটার্ন নারীদের বন্দী করার উপায়কে ন্যায্যতা দেয় না যা তাদের মানবতা হ্রাস করে।

পুরুষগণ, আমি আপনাকে সমালোচনামূলক দৃষ্টিতে ইসলামের দাবির জন্য এবং মহিলাদের প্রতি তাদের ব্যবহার ও মনোভাবকে সমঝোতা করার জন্য চ্যালেঞ্জ করতে চাই। এমনকি যদি আপনি এই ধরনের অত্যাচার অনুশীলন না করেন তবে এটি এখনও ইসলামের অনুশীলনকারীদের দ্বারা সমর্থিত এবং দৃঢ়প্রত্যয়ী, যা পবিত্র গ্রন্থে বিবেচিত আছে যার মাধ্যমে এটির ন্যায্যতা দেয়। মনে রাখবেন এই মহিলারা আমাদের মা যারা আমাদের এই জীবনে নিয়ে এসেছিলেন এবং যখন আমরা অসহায় ছিলাম তখন আমাদের জন্য ত্যাগস্বীকার করেছিলেন। তারা সম্মান পাওয়ার যোগ্য যে, পুরুষ হিসাবে আমাদের ব্যক্তিগত যত্ন এবং উন্নয়নের নিমিত্তে ঈশ্বর তাদের স্ট্যুয়ার্ডের মতো উচ্চ ভুমিকা দিয়েছেন।

আমি আপনাকে জানতে চাই যে ইসলাম তাদের ঈশ্বরকে সৃষ্টি করেছে এবং আপনার ভক্তির প্রতি শ্রদ্ধা জানালেও আমি সত্যের দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানাই যেগুলি এমন একটি ধর্মের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যা ধ্বংসের পথে পুনরুজ্জীবিত হয়েছে৷

বাইবেলে ঈশ্বরের চরিত্রের মূল সংজ্ঞাটি হল প্রেম এবং ইসলাম এই ঈশ্বরের দৃষ্টিভঙ্গির বিরোধী হিসাবে দাঁড়িয়েছে। ঈশ্বর ন্যায়পরায়ণ তবে তিনি তেমনি করুণাময়, দয়ালু, নম্র, সহানুভূতিশীল, দীর্ঘকালীন এবং শান্ত, এগুলো এমন বৈশিষ্ট্য হতে পারে যা আপনি আল্লাহর ক্ষেত্রে দায়ী করেছেন তবু তাঁর শিষ্যদের মধ্যে এর প্রমাণ কোথায়?  যদিও তহবিলের একটি অল্প অংশ দরিদ্রদের অবদানের জন্য রাখে, তবুও আপনি সাধারণত ইসলামী মানবিক এজেন্সিগুলি দেখতে পাবেন না বিশেষত অন্যান্য সমাজের প্রতি যারা কাফের হওয়ার প্রকৃতি হিসাবে বিবেচিত।  ইসলাম ঐশ্বরিক অনুপ্রেরণার বিষয়ে নয়, বরং তাদের পার্থিব প্রভাবকে আরোপিত এবং চাপ প্রয়োগ করার জন্য শক্তি ও জবরদস্তি ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও হিংস্রতা পূর্ণ করেছে।  এটি আপনার সম্পর্কে চিন্তা করে না বরং এর আসল আগ্রহ বিশ্ব আধিপত্য।  আপনি নিজেকে একজন মধ্যপন্থী মুসলিম বলে দাবি করতে পারেন যা ইসলামী বিশ্বাস এবং অনুশীলনের সাথে তুলনা করে কিন্তু এটা নিজেই একটি বিপরীতালঙ্কার।  এটিই ইসলাম যা আপনার স্ব-সেবামূলক মতামত থেকে আলাদা হয়ে আচরণকে নির্ধারিত করে এবং নিয়ন্ত্রণ করে।  যদি আপনি দাবি করেন যে আপনি এই ধরণের ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করেন না তবে সম্ভবত আপনি নামমাত্র মুসলিম এবং অবচেতনভাবে আপনি আল্লাহর বশ্যতা প্রত্যাখ্যান করছেন।  সম্ভবত আপনি নিজের হৃদয়ের গভীর কোথাও জানেন যে কিছু একটা পথভ্রষ্ট এবং আমি বিশ্বাস করি এটি ঈশ্বরের আসল প্রেমের অভিজ্ঞতা লাভের একটি উন্মুক্ত দরজা হতে পারে।

যেহেতু ঈশ্বর বিশ্বকে এত ভালবাসতেন যে তিনি যীশুকে দিয়েছিলেন যেন যে কেউ তাঁর উপর বিশ্বাস এনেছে সে বিনষ্ট হবে না তবে অনন্ত জীবন পাবে।

এখন মহিলাগণ, আমি বিশ্বাস করি যে একটি নকল ধর্মের তুলনায় একজন প্রেমময় ঈশ্বর সম্পর্কে বিচার করে সত্যতা নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে আপনার ক্ষেত্রে মানসিক দক্ষতা এবং সক্ষমতা রয়েছে।

পরিশেষে আমি আবারও প্রার্থনা করি যে আমি আমার কথার দ্বারা আপনাদের এমন কোনভাবে লংঘন করিনি যাতে আপনাদের সম্মানহানি ঘটে। আমি এটা আপনাদের আক্রমণ বা কষ্ট দিতে করিনি যদিও আমার উপস্থাপনা সরাসরি তবু আমি ঘৃণার বশবর্তী হয়ে এটা প্রদর্শন করিনি। আপনাদের আত্মিক মঙ্গলের জন্য আমার আন্তরিক চিন্তা আছে এবং মাঝেমধ্যে যখন আপনারা একটি সমাজে স্থলবেষ্টিত হয়ে থাকেন তখন আপনাদের সাংস্কৃতিক মনোভাবের গণ্ডি অতিক্রম করার অযোগ্যতা দৃষ্টিগোচর হয়।

উপসংহারে আমি বলব আপনি ঈশ্বরের কাছে সুস্পষ্ট এবং সৎ হন। প্রথমত আমি জানি যে এটা ভীতিকর হতে পারে কারণ অনুগত মানুষেরা তাদের কারণে অনুনগত হতে চায় না, তথাপি ঈশ্বরকে প্রশ্ন করতে আপনাদের আমি আহবান জানাচ্ছি যেন আপনাদের প্রতি তাঁর ভালবাসা যীশুর ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে স্পষ্ট এবং বাস্তব উপায়ে প্রকাশ করতে পারেন।

 

ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়-Bengali

হিন্দু সম্পদ

যিশু এবং ইসলাম

Islamic view of Women

বাইবেল কি নির্ভরযোগ্য

Saturday, February 20th, 2021

বাইবেল কি নির্ভরযোগ্য?

এই পোস্টটি লেখার সময় আমি বাইবেলের অনন্যতার সাথে যোগসূত্র করতে চেয়েছিলাম, আমি বিশ্বাস করি যা বাক্যের সত্যতার উপর বিশ্বাস দেয় যা সম্পূর্ণভাবে নির্দেশ করে স্বর্গীয় লেখকবৃত্তির উপর।

এই বিষয়ে আরও পড়ার জন্য আমি একটি বই সুপারিশ করতে চাই যা আমি অনেকদিন আগে পড়েছিলাম। “A Ready Defence” গ্রন্থকার জস ম্যাকডোয়েল যিনি একজন নাস্তিক থেকে খ্রিষ্ট বিশ্বাসী হয়েছিলেন। তার অনুসন্ধান ছিল অনেকটা লি স্টোবেলের মতো যিনি তার “কেস” সিরিজ বইয়ের গ্রন্থকার হিসেবে সুপরিচিত।

যখন বাইবেলকে ঘনিষ্ঠভাবে পরীক্ষা করা হয় এটি একটি রত্নের মতো সৌন্দর্যখচিত যা একে অন্যান্য সাধারণ সাহিত্যিক রত্নের থেকে অনন্য করে তোলে। আমি জানি এটা একটা অভিন্ন দাবী যা অন্যান্য মানুষ তাদের ভিন্ন ভিন্ন বৈশ্বিক ধর্মীয় মতবাদকে সুবিধা দিতে গিয়ে করে থাকে কিন্তু চূড়ান্ত বিশ্লেষণে, অন্যান্য শাস্ত্রের সাথে বাইবেলের তুলনা করলে একটি নজীর হয় যেখানে বাইবেল তার নিজস্ব শ্রেণীতে অবস্থান করে।

প্রত্যেক দলই দাবী করতে চায় মৌলিকতা, অনন্যতা, শুদ্ধতা এবং কর্তৃত্ব যেন এটা কিছু প্রধান বা স্বর্গীয় উৎপত্তির সাথে সম্পর্কিত যা তাদের পবিত্র বাক্যের ক্ষেত্রে এবং যা আমি এতদিন দেখেছি তার উপর ভিত্তি করে বলতে পারি এইসব পুস্তকগুলো প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে হয় তাদের খামতি এবং বিদ্বেষপূর্ণ বিশ্বাসের ভিন্ন অবস্থানের উপর ভিত্তি করে দেখলে।

আবার আমি বুঝতে পারি এটা অভিন্ন সমালোচনা যা বাইবেলের বাক্যের বিরুদ্ধে আরোপ করা হয়েছে এবং সংশয়বাদীরা দ্রুতই সকল ধরনের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে কিন্তু কেউ কেউ সবসময় তাদের সমালোচনায় সুনির্দিষ্ট হতে পারেন না।

আরও আমি জানি বাইবেলের মাঝে কিছু সমস্যাকর বিষয় আছে যা বোঝা কষ্টকর কিন্তু তাই বলে এটা সাক্ষ্য হিসাবে যথেষ্ট নয় যে এর বিষয়বস্তুকে আবর্জনা বা অর্থহীন হিসাবে বলা যায়। এর মধ্যে কিছু মতানৈক্য ঘটেছে শাস্ত্রের বিশালতা এবং জটিলতার জন্য যা ১৫০০ বছরের লেখাকে সন্নিবেশিত করে সাথে সাথে ৪০ জন লেখক যারা লিখেছেন ৩ টি ভিন্ন মহাদেশে ৩ টি ভিন্ন ভাষায়৷ এটা বিভিন্ন সূক্ষ্মতার দিকে নিয়ে গিয়েছে যেখানে সময়ে সময়ে এটা পুরোপুরি অসম্ভব সম্পূর্ণ সংশোধন বা পুর্নমিলন করার ক্ষেত্রে কারণ ভাষা এবং ঐতিহ্যের বৈচিত্র‍্য বিদ্যমান।

বাইবেলের কিছু বিষয় আমাদের অভিজ্ঞতার ধারণার ক্ষেত্রে একটা দৃষ্টান্ত, বিশেষ করে এর অলৌকিক এবং রূপক বিষয়, কিন্তু এটা মোটেই বাইবেল কে অস্বীকার করে না বরং এটা আমাদের রহস্যে আবদ্ধ করে যা কিনা আমাদের আদর্শিক ইন্দ্রিয় উপলব্ধি হয় না৷ বাইবেলের বিষয়বস্তু বিবেচনা করলে অন্য কিছু বিষয় আছে যাতে সম্পূর্ণ মতামত ব্যাখ্যা এবং অন্তর্দৃষ্টি সংক্রান্ত ঘাটতি আছে যা লেখকরা আমাদের উত্তর দেননি বা দেবার প্রয়োজন বোধ করেননি। যখন আমরা শূন্যস্থান পূরণ করতে যাই এটা আমাদের প্রায়ই ভুল বোঝার দিকে নিয়ে যায় যা অনেকটা পুঁথিগত ধারণার সাথে আপাতদৃষ্টিতে দ্বন্দ্বাত্বক বা অপ্রয়োগতার সাথে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ যা মতানৈক্য শিক্ষা বা বিশ্বাসের দিকে ধাবিত করতে পারে।

 বাইবেল সবক্ষেত্রে পরিচালিত বা একত্রে বোঝার নিমিত্তে একটা সহজ সাহিত্যিক খন্ড নয় এবং এটা একটা পেঁয়াজের মতো যেখানে প্রত্যেকবার আপনি পড়ার সময় বোঝার অন্য একটি পর্দা খুঁজে পাবেন যা প্রথম প্রকাশে অবহেলিত ছিল। এখানে কোন কিছু পুরোপুরি বোঝা যায়নি এর মানে এই নয় যে এটা বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না৷ এমনকি বিজ্ঞানেরও এইসব সীমাবদ্ধতা আছে যেহেতু তারা এখনই মহাবিশ্বের গভীর রহস্যগুলো প্রমাণ করতে শুরু করেছে এবং মহাবিশ্ব আমাদের কাছে আসল এবং বিশ্বাসযোগ্য দুটোই।

আরও আমরা বাইবেলকে সম্পূর্ণ ম্যানুয়াল হিসাবে বিবেচনা করতে পারি না যেখানে প্রতিটি ক্ষুদ্র বিশদ ব্যাখ্যা করে এবং মনে হয় যে, সকল জটিলতা যা অনুসন্ধিৎসু মনকে আকর্ষিত করে সেইসব বিস্তৃত ব্যাখ্যা রোধ করতে এটা সর্বশক্তিমানের বিশেষ ক্ষমতা। বাইবেলের দৃষ্টিভঙ্গী থেকে সেখানে একটা মনোযোগ দেওয়া হয় প্রাসঙ্গিক বা কেন্দ্র বিন্দু এবং বিষয়ে বরং সবসময় “কেন” প্রশ্নসমূহের উত্তর দেবার চেয়ে। এটা এমন নয় যে আমরা সবকিছু অনুধাবন করতে বা বুঝতে পারব, যাইহোক এবং কিছু ক্ষেত্রে এটা এমন চেষ্টা করা হতে পারে যে সদ্যোজাত শিশুকে নিউক্লিয়ার সাইন্সের উপপাদ্য শিক্ষা দেওয়া। এটা আমাকে জবের কথা মনে করিয়ে দেয় যে ঈশ্বরের সমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল যা ফিরতিবারে ঈশ্বর জবকে উত্তর দিয়েছিলেন তাঁর সুবিশালতায় যা জবকে নির্বাক করে দিয়েছিল।

মানুষ হিসাবে আমরা এমনি পুরোপুরি বুঝতে পারি না মানুষের প্রাচীন প্রযুক্তি বা অর্জন যেমন পিরামিডের দেয়াল সম্পর্কে যা তাদের উপস্থিতির মধ্যে অনস্বীকার্যভাবে স্মারক এবং এখন আমরা কিভাবে অনন্ত এবং সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের জটিলতা বুঝতে পারব বলে আশা করি?

এবং বাইবেলের মধ্যে কিছু সমস্যাগুলো ইতিহাসের সেই নির্দিষ্ট বিন্দুতে সরাসরি প্রয়োগ হয় যা কিনা সেই সকল প্রজন্মের সমসাময়িক প্রাসঙ্গিকতার মধ্যে থেকে আরও তাৎপর্যপূর্ণভাবে তৈরি হতে পারত।

 সুতরাং আমাদের পুরোপুরি বিবেচনা করার সামর্থ্য কমে যেতে পারে এই সময় এবং স্থানের ক্ষেত্রে এবং একটা বিষয় যা বাইবেলের মতবাদের শূন্যস্থানকে সরু করতে সাহায্য করে তা হল প্রযুক্তিগত নৃতাত্ত্বিক অগ্রগতি এবং তাদের সাক্ষ্যের পুনরুদ্ধারের ফলে যা বাইবেলের বাক্য অস্বীকার করার পরিবর্তে সমর্থন করতে সাহায্য করে। এটা শুধু সময়ের ব্যাপার কোন কিছু পরিষ্কার হবার জন্য যখন আমরা পরবর্তী গাদা স্তুপ করি৷

নৃতত্ত্ববিদরা যেমন উন্মোচন করেছেন হিত্তিয় সভ্যতার আবাসস্থল যা একসময় অবাস্তব বলে মনে করা হত এবং তারা ঐতিহাসিক প্রমাণ পেয়েছেন বাইবেলের বিষয়বস্তুর একসময় যা কিনা পৌরাণিক গল্প হিসেবে সন্নিবেশিত করা হত।

 বিবেচনা করতে বা বুঝতে আমাদের সীমাবদ্ধতা বিকৃত হয়েছে বাক্যের অপবোধগম্যতার ফলে এবং ব্যাখ্যাকারকের পক্ষে ভ্রমতার দরুণ শাস্ত্রের ভুলবোঝার উদ্রেক হয় কিন্তু একটা বিষয় নিশ্চিত যে এই বিবৃতিগুলো মানুষের উপলব্ধিতে প্রয়োগ হয় কিন্তু সেটা পুস্তকের প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নয় অন্যান্য সুবিবেচনার পরিপ্রেক্ষিতে।

 যাইহোক সত্যিই আমার কাছে যথেষ্ট সময় নেই এই একটি পোস্টে এত সুবিশাল কাজ লিপিবদ্ধ করার যাতে এই বিষয়ের উপর অঢেল বৃত্তি উৎসর্গ করা হয়েছে। আশা করি এটা আপনার আগ্রহ কে প্ররোচিত করবে আরও সম্পূর্ণ দাবীগুলো গবেষণা করে কঠিন কিন্তু প্রবেশযোগ্য দরজা খোলার ব্যাপারে যেন আপনি বাইবেলের সত্য উদঘাটন করার ক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারেন।

 একটা বিষয় যে বাইবেলীয় সাহিত্য নিজে নিজে চলে যে সেখানে  অন্য যেকোন পুরানো সাহিত্যের থেকে অনেক পান্ডুলিপির সাক্ষ্য আছে। সেখানে কমপক্ষে ২৫০০০ পান্ডুলিপি আছে ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় যা নতুন পুস্তকের ক্ষেত্রে ১২৫ খ্রিস্টাব্দে এবং পুরাতন পুস্তকের ক্ষেত্রে ২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ফিরে যেতে হয়। এই বিশাল আকারের পান্ডুলিপি সাহায্য করে যখন সত্যতা পুনর্গঠন করা হয় সম্ভাব্য গোলযোগ বিশ্লেষণ করে স্ক্রাইবাল ওঠানামার কারণে এবং পন্ডিত এবং ভাষাবিদের এইসব পুনর্গঠন প্রচেষ্টা অনেকাংশেই শুদ্ধ বাক্যে পরিণত হয়েছে।

 এইগুলোর মধ্যে অনেক রূপ যেগুলো পাওয়া যায় তা নগণ্য যেমন ভুল বানান এবং তাই তারা বাক্যের সততার ক্ষেত্রে ফলাফলহীন।

দূর্ভাগ্যবশত আমাদের কাছে মৌলিক বা স্বহস্তাক্ষর নেই কিন্তু তবুও সেখানে মাত্র ১০০ বছর সময়ের ব্যবধান নতুন পুস্তকের স্বহস্তাক্ষর এবং পুরাতন জীবিত অনুলিপির মধ্যে, যেটা আদতে ছোট অন্যান্য সাহিত্যে বিবেচনা করে যা আমরা পেয়েছি ৪০০ থেকে ১০০০ বছরের মধ্যে প্রাচীনত্ব যা মৌলিক অনুলিপি থেকে অপসারিত।

 এবং নতুন পুস্তকের বাক্য সংরক্ষণ এবং সত্যয়ন বিবেচনা করে যার মধ্যে ১১ শ্লোক ব্যতিত বেশিরভাগ পুরোপুরি পুনর্গঠন করা যেতে পারে ৯৭ থেকে ১৮০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত গীর্জার পিতাদের উদ্ধরণ দ্বারা। অধিকন্তু ১০০ থেকে ৩০০ খ্রিস্টাব্দের পাঠ্যও সম্পূর্ণ নতুন পুস্তকের বিষয়বস্তু নিশ্চিত করে।

বিবেচনা করার মতো অন্য একটি বিষয় হল যে যখন উৎসগুলোর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সময় থাকে তখন বেশ সম্ভাবনা থাকে যে একটি দলিলের সাহিত্যের বিষয় অলঙ্কৃত হয় যেটি মৌলিক ঐতিহ্যের কারণে অভিব্যক্ত হতে পারে অবাস্তব অংশে। আমরা এটি আবিষ্কার করেছি যখন আমরা শিশুকালে টেলিফোন নিয়ে খেলা করেছি। তাই আমি বিশ্বাস করি এই পান্ডুলিপির উৎসগুলোর মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম সময় দেবার কারণে বাইবেলের বাক্যের সত্যতা প্রতিপাদন করে। মৌলিক স্বহস্তাক্ষরগুলো কেন সংরক্ষণ করা এবং বাঁচিয়ে রাখা কঠিন ছিল তার অন্যতম কারণ হল চর্মের কাগজের কমতি থাকার কারণে, যার বেশিরভাগটা ছিল প্যাপিরাস৷ শতাব্দী পর্যন্ত পশুর চামড়া সর্বজনীনভাবে ব্যবহৃত হত না নতুন পুস্তক সম্পন্ন হবার পরে তাই উপসংহারে এই বিশাল পান্ডুলিপির লম্বা সারি একসাথে শাস্ত্রের বাক্য সাক্ষ্য আবদ্ধ করার ক্ষেত্রে একটা আশীর্বাদ হিসাবে পরিণত হয়েছে গুটেনবার্গ মুদ্রণযন্ত্রের সুবিধা ছাড়াই।

 পুরাতন পুস্তকের দিকে নজর দিলে, এটা আমাদের নিকট এসেছে ম্যাসুরেটস। এইসব কপিয়িস্ট বা স্কাইবস অতিসতর্ক ছিল কিভাবে এত অক্ষর, শব্দ এবং লাইনসমূহ পবিত্র বাক্যের সাথে সংগতি সাধন করা হয়। এই ধরনের বিশদের সামঞ্জস্য আরোপিত হয় যা আমরা দেখেছি ১৯৪৭ সালে ডেড সী স্ক্রলের আবিষ্কারের সাথে যা লিখিত হয়েছিল ম্যাসুরেটস লিপির(৮৯৫ খ্রিস্টাব্দ) ১০০০ বছর পূর্বে। যখন আমি জেরুজালেমে ছিলাম, তখন বই যাদুঘরের মন্দিরে ইশাইয়া স্ক্রোল দেখতে সক্ষম হয়েছিলাম।

 যাইহোক, এছাড়াও পুরোনো পুস্তকের আরেকটি অনুলিপি রয়েছে যা সেপ্টুয়াজিন্ট নামে পরিচিত, যা বিগত দ্বিতীয় শতাব্দীর দিকে গ্রীক ভাষায় লেখা হয়েছিল, যা এখনও এই প্রাচীন সাহিত্যের ধাঁধার অন্য একটি অংশ।

এখন নতুন পুস্তক প্রসঙ্গে, মূল পাণ্ডুলিপিটি লেখা হয়েছিল ৪৫ ও ৯৫ খ্রীস্টাব্দের মধ্যে। সৌভাগ্যবশত এসব দলিলাদি আরোপ করা হতে পারে তাদের বিভিন্ন সময়ে সুপরিচিত ব্যক্তি, স্থান এবং ঘটনার ঐতিহাসিক গুরুত্বের উপর ভিত্তি করে। এটা ছাড়াও আমি মনে করি এসব দলিলাদির বয়স নির্ণয়ে একটি প্রধান উপাদান হচ্ছে তথ্য যেটা হচ্ছে ৭০ খ্রীস্টাব্দে দেবালয়টি ধ্বংস করা হয়েছিল এবং অদ্যাবধি এটি এমন একটি সর্বনাশা ঘটনা যার সঠিকভাবে উল্লেখ নেই এমন সব গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক বইতে কর্মানুষ্ঠান বা প্রচারিত নিয়মের ধারাবাহিক বর্ণনা হিসেবে তারপর এটা বোধগম্য হল যে এই বইগুলো কেন ইতিহাসে এই বিশেষ ঘটনার আগে এসেছে।

এছাড়াও, পূর্বে নতুন পুস্তক গৃহীত হতে পারত ক্যানন হিসেবে এর বৈধতা ছিল এবং উৎপত্তি ছিল বলে প্রমাণিত হয়েছে যা একে দাবী করে হয়তো একটি সরাসরি সাক্ষী অথবা কেউ ঘনিষ্ঠভাবে এই সাক্ষীর সাথে সম্বন্ধযুক্ত বিশ্বাসীদের নতুন পুস্তক সম্প্রদায়ে গ্রহণযোগ্যতা খোঁজার উদ্দেশ্যে।

প্রায় সকল নতুন পুস্তক বাণীপ্রচারক কর্তৃক লিখিত সাহিত্যের অধিকাংশ অংশ যা হচ্ছে বাণীপ্রচারক পল কর্তৃক আরোপিত। অন্যান্য যারা বই লিখেছেন তারা ঘনিষ্ঠভাবে বাণীপ্রচারকদের সাথে সম্বন্ধযুক্ত ছিলেন যেমন যোহন মার্ক যিনি বাণীপ্রচারক পিটারের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ছিলেন এবং লূক যিনি পলের দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন এবং সেখানে আরও ছিল জ্যাকব (জেমস) এবং জুডাহ (জুড) যারা ছিলেন যীশুর সৎভাই। গোঁড়ার দিকের গীর্জার অনুসারীদের দ্বারা ধর্মশাস্ত্রগুলোর তারিখ ও গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তির উপরে প্রচারের জন্য প্রেরিত এইসব লেখকদের সত্যতা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন করার কোন কারন নেই।

এমনকি ১০৫ খ্রীস্টাব্দে পলিকার্প, যিনি বাণীপ্রচারক যোহনের একজন শিষ্য ছিলেন, তিনি ১৫ টি নতুন পুস্তক বইয়ের উল্লেখ করেছেন, এটা বলতে নয় যে অন্যান্য বইগুলোর অস্তিত্ব নেই, কিন্তু পরিশেষে বিভিন্ন গীর্জা পরিষদের মধ্য দিয়ে ৩৯৭ খ্রীস্টাব্দে কার্থেজ পরিষদের প্রতি অগ্রসর হয়, নতুন পুস্তকের ক্যানন সমাপ্ত নির্ধারিত হয়েছিল এবং পুরোপুরি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত ও গৃহীত ছিল যদিও এটা এর আগেই অনুমোদিত ছিল সন্তদের সম্প্রদায়ে যারা এইসব পরিষদের অধিবেশনের চেয়েও আগেকার। এ ছাড়াও জামনিয়ার ইহুদী পরিষদ এর আগেই তাদের ধর্মশাস্ত্রের ক্যানন অনুমোদন করেছিল ৯০ খ্রীস্টাব্দের আগে পুরাতন পুস্তক পাঠ্য আনুষ্ঠানিকভাবে সারসংগ্রহ করার দ্বারা।

পরিষদের জন্য অন্যতম কারন ছিল একটি প্রতিক্রিয়াশীল জবাবের কারণে যেমন বাইবেলে উল্লিখিত গোঁড়ামি অক্ষুণ্ণ রাখার প্রয়োজন যা বিভিন্ন ধর্মানুষ্ঠান ও ধর্মদ্রোহীতা দ্বারা আক্রমণের অধীন ছিল যেগুলো ইতিহাসে এই সন্ধিক্ষণে প্রচারিত ছিল। এছাড়াও এসব পরিষদে, যার মধ্যে জামনিয়া অন্তর্ভুক্ত, বিভিন্ন সন্দেহজনক সাহিত্য অনুপ্রেরণীয় হিসেবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল যদিও এটা সেপ্টুয়াজিন্টদের ভেতরে মেনে নেওয়া হয়েছিল এবং পরে বিভিন্ন শাস্ত্রবিশ্বাসী ও ক্যাথলিক বাইবেলের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

গোঁড়ার দিকের গীর্জা প্রমাণীকরণের প্রতি অত্যধিক সংবেদনশীল এবং প্রচারিত পাঠ্যের অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে খুবই সংকীর্ণ ছিল। গীর্জা চেয়েছিল বিতর্কমূলক পাঠ্যের সমলয় বিধান এড়িয়ে চলতে যা কিছু ধর্ম যেমন হিন্দুধর্মের চেয়ে আলাদা যা বিভিন্ন পরস্পরবিরোধী উপজাতীয় ঐতিহ্যকে সমন্বিত পাঠ্য হিসাবে একটি সমন্বয় অন্তর্ভুক্ত করে।

সুতরাং বাইবেল শুধুমাত্র পৌরাণিক কাহিনীর মিশ্রণ ও মিলনের দ্বারা এলোমেলো ভাবকে একত্র করতে আসেনি যেমন যা আপনি কিছু প্রাচীন পৌত্তলিক সংস্কৃতিতে খুঁজে পেতে পারেন যা সৃষ্টি ও মহাপ্লাবন বর্ণনার ঘটনাকে বহু ঈশ্বরবাদী দেবতাদের কাজ হিসেবে আরোপ করে। এটা নিজেকে শুধু তথ্যের অপব্যবহার হিসেবে কাজে লাগায় তা নয় বরং লেখকদের একটি বদ্ধমূল ধারণা আছে এর সঠিকতার জন্য। শুধু ডক্টর লূকের প্রচারিত নিয়মের বর্ণনা পড়বেন যিনি স্পষ্টতার অভিপ্রায়ে লেখেন যেমন বর্ণিত হয়েছে লূক ১:১-৪ তার প্রচারিত নিয়ম বর্ণনার প্রারম্ভিক বক্তব্যে যেটা প্রস্তুত হিসেবে বর্ণিত হয়েছে একটি সুশৃঙ্খল এবং যথাযথ ছন্দে।

যদিও বাইবেল অতিপ্রাকৃত উপাদান ধারণ করতে পারে, এটা লেখা হয়েছে ঐতিহাসিক কাহিনীর পরিপ্রেক্ষিতে যা হচ্ছে অন্যান্য পৌরাণিক সাহিত্যের থেকে অনন্য ও আলাদা। যদি ঈশ্বর যিঁনি দাবী করেন যে বাইবেল তাঁর তখন তাঁর সর্বশক্তিমত্তা, সর্বজ্ঞতা এবং সর্বত্র বিদ্যমানতা পরিষ্কারভাবে উপাত্তের পরিসরের মধ্যে পরিবর্তনশীল যা বাইবেলে উল্লিখিত বর্ণনা সমর্থন করে।

সেখানে আরও কিছু  অভিযোগ উত্থাপিত হয় প্রচারিত নিয়ম বর্ণনার বিরুদ্ধে যা অন্তর্ভুক্তি ও বর্জনের অসামঞ্জস্য দ্বারা দেখা যেতে পারে। বাইবেল অনুপ্রেরণা শিক্ষা দেয় একটি ঐশ্বরিক ও মানবীয় উপাদান উভয়ের সংগমস্থল সহকারে যা ইসলামের সাথে অসদৃশ যেটা শিক্ষা দেয় যে কুরআন একটি স্বর্গীয় অনুলিপি হিসাবে উৎপত্তি হয়েছে যা আদেশ দ্বারা জ্ঞাপন করে একজন শ্রুতিলেখক স্বরূপ।

প্রচারিত নিয়মের লেখকরা স্বতন্ত্র ছিলেন যারা একই ঘটনার উপর ভিত্তি করে তাদের পরিচালিত উপলব্ধি লিখেছিলেন যেন এটা তাদের পৃথক ব্যক্তিত্ব এবং অভিজ্ঞতার সাথে সম্পর্কযুক্ত যা অনেকটা একজন দর্শককে একটি খেলার ঘটনায় সেই খেলা সম্পর্কে তাদের প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করার সাক্ষাৎকার। সকলে একই জিনিস বলবে না তাদের প্রকৃত তথ্যের জ্ঞাপনে বিভিন্ন সুবিধার কারণে এবং যদিও সেখানে প্রতিপাদন হচ্ছে যেমন আপনি দেখবেন সারসংক্ষেপিত প্রচার নিয়মে এখনো ব্যক্তি স্বাতন্ত্র‍্যের জন্য বিশেষ অধিকার আছে। অবশ্যই, এটা শুধু গ্রহণযোগ্য যতক্ষণ পর্যন্ত না এটা প্রকৃতিতে পরস্পরবিরোধী হয়।

যদি গীর্জা কোন অনুভূত অসঙ্গতি সরাতে চায় যেমন অনুমিত অসঙ্গতিগুলো পরিহার করতে সাহায্য করে, তাহলে এখন থেকে এটা করতে তাদের কাছে অফুরন্ত সময় আছে কিন্তু এর কারণে খানিকটা বিতর্কিত ধর্মশাস্ত্রগুলো এর মৌলিকত্ব প্রমাণে সাহায্য করতে থাকে। যদি আমরা বাইবেলে উল্লিখিত সাহিত্যকে প্রশ্ন করি, তখন আমরা অবশ্যই একইভাবে প্রাচীন যুগের ঐতিহাসিক সাহিত্যে সেইসাথে অন্যান্য সাহিত্যে প্রশ্ন করি এমনকি সমসাময়িক উৎসগুলো থেকেও প্রশ্ন করি। আমরা ধর্মকে শুধুমাত্র সারি বা শ্রেণীভুক্ত করতে পারি না কুসংস্কার, বানানো গল্প এবং পুরাকথার উপাধির অধীনে কেননা এটা ধর্মীয় মতাদর্শ সংক্রান্ত।

আমাদের অবশ্যই আরও খুঁটিয়ে দেখা উচিৎ যে প্রমিত পাঠ্যপুস্তক উপাদান হিসেবে কি বিবেচিত হয় যেমন বিজ্ঞানসংক্রান্ত (দার্শনিক) দেশে কি পাওয়া যায় যা তাদের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির তত্ত্ব এবং অনুমানের উপরে চূড়ান্ত সাক্ষ্য প্রতিষ্ঠা করে।

এখনো পর্যন্ত আমরা ধর্মীয়ভাবে এই বইগুলোকে পবিত্র হিসাবে আলোচনা করছি কোন আপত্তি ছাড়া কল্পবিজ্ঞানের ধারণা গ্রহণের দ্বারা এইসব বিষয়ের যেমন ম্যাক্রোবিবর্তন যেটা কখনো প্রমাণিত হয়নি।

ধর্ম আরোপিত হয়েছে জনসাধারণের প্রস্বাপন হিসেবে কিন্তু বিজ্ঞান এবং দর্শনের সায়ানাইড সম্পর্কে কি, অথচ বিজ্ঞানের পরমকারণমূলক ও মহাজাগতিক যুক্তি এর সমাধানে হোঁচট খেয়েছে এবং সময়ে সময়ে তাদের বিশ্বাস রক্ষার উদ্দেশ্যে তাদের অবস্থান পরিবর্তিত হয় যা একটা অব্যাহত প্রবাহের অবস্থায় থাকে। নিকট পর্যবেক্ষণে যদি অবিশ্বাসীরা তাদের দলিলের কবাট টেনে বিদায় করতে পারে, তারা আবিষ্কার করতে পারবে সৃষ্টিকর্তা অণুবীক্ষণযন্ত্র ও দূরবীনের লেন্সের মধ্যে দিয়ে তাদের দিকে অনিমেষনেত্রে চেয়ে আছে।

বাইবেল অভিপ্রেত ছিল মানবীয় একাডেমিয়ার পাঠ্যের প্রতি সম্পূরক হিসেবে এবং জীবনের কর্মবিধির সাথে তা বিরুদ্ধ নয় যেহেতু এটা জ্ঞানের গ্রন্থাগারের ভেতরে প্রতীয়মান হয়। যাইহোক, কেউ কেউ একটি বিশেষ অধ্যায় সৃষ্টি করতে চায় যা একে পৃথক করে অবশিষ্ট গ্রন্থাগারের বইয়ের সংগ্রহ থেকে গুণারোপের দ্বারা এর চিন্তার অস্পষ্টতা বা ভিন্ন প্রকারের প্রাচীন সভ্যতার গোষ্ঠীসমূহের যারা অজ্ঞ ও ত্রুটিপূর্ণ ছিল তাদের পূর্ব বৈজ্ঞানিক বিশ্বাস ছিল।

পরিশেষে, এই পোস্টটি সকল আপত্তিমূলক প্রশ্নের উত্তর দেয়না, কিন্তু এটা এই বিষয়ে দেখায় যে বাইবেল প্রাচীন সাহিত্যের একটি নির্ভরযোগ্য উৎস। তথাপি কি বিষয় এই কাজের অংশকে অনন্য করেছে সেই বিষয়টা যেটার নিজস্ব স্বর্গীয় সত্তার উৎপত্তি আছে।

আমি বিশ্বাস করি এটা সৃষ্টির কিছু জিনিসকে দাবী করে যেটা বিশেষ দৈববাণী বলে বিবেচিত যেমন ভবিষ্যদ্বাণীর পূর্ণতা বা বৈজ্ঞানিক বিষয় যা এসব প্রাচীন সভ্যতার কাছে অজানা ছিল।

একজন ব্যক্তি সমালোচনা করতে পারেন যে বাইবেলে উল্লিখিত দৈববাণী একটি তীরের মতো যা নিক্ষিপ্ত হয় লক্ষ্য হিসাবে বাইবেল অনুবর্তিতার সাথে যেটা আমরা সুবিধামত পূর্ণতা অর্জনে চালিত হই।

তথাপি এখানে কিছু বিষয় আছে যেটা আমরা পর্যাপ্তরূপে খণ্ডন করতে পারিনা মাধ্যমিক বা বাইবেলে অনুল্লিখিত উৎসের ঐতিহাসিক প্রকৃতির কারণে যেটা হচ্ছে বাইবেলে উল্লিখিত উৎসের সংস্কারমুক্ত।

এই উৎসগুলোর মধ্যে থেকে একটি আমাদের কাছে এসেছে ঐতিহাসিক এবং প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের মাধ্যমে যা প্রতিপন্ন করতে সাহায্য করে এবং বাইবেলে উল্লিখিত পাঠ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রদান করে। ধর্মশাস্ত্রগুলো নিজেরা স্বয়ং কিছু ইচ্ছা তৈরী করেছে পরিত্রাণ গ্রহণের প্রতি এবং আমরা একে দেখি কিছু ইহুদীর প্রতিক্রিয়া হিসেবে যারা যীশুকে মসীহ হিসাবে বিশ্বাস এনেছে শুধুমাত্র তানাখ বা পুরাতন পুস্তক ধর্মশাস্ত্র পড়ে। অধিকাংশ ইহুদীর ক্ষেত্রে নতুন পুস্তক একটি নিকৃষ্ট মাধ্যমিক পাঠ্য কিন্তু যখন তারা একটি শ্রেণীবিন্যাস দেখে ঐতিহাসিক ক্রুশারোহন এবং নতুন পুস্তক নথির মধ্যে তখন মাঝেমধ্যে দৈববাণীর দীপ্তি যীশুর সাথে যোগাযোগে তাদের হৃদয়কে প্রদীপ্ত করে যেমন  পুরাতন পুস্তকের সর্বশ্রেষ্ঠ মসীহ মূর্তির পূর্ণতায়।

ইহুদী সম্প্রদায় যীশুর প্রতি সহানুভূতিশীল নয় যদিও আমরা একই সর্বজনীন ঈশ্বর এবং একটি পবিত্র বইয়ে বিশ্বাসের অংশ। সেটার একটি অধ্যায় হচ্ছে কিছু ধর্মপরায়ন ইহুদী ইশাইয়া ৫৩ এড়িয়ে যায় এর ভবিষ্যদ্বাণীপূর্ণ তাৎপর্যের কারণে যেহেতু তা যীশুর সাথে সম্পর্কিত। অনেক সময়, যখন অজ্ঞান ইহুদীরা প্রথমবারের মতো ধর্মশাস্ত্রের এই অংশ শোনে কেউ কেউ তাৎক্ষণিকভাবে যীশুর সাথে এই রচনাংশকে জুড়ে দেয় এবং তাদের প্রারম্ভিক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে যে আমরা নতুন পুস্তকে বিশ্বাস করি না এটা অনুধাবন ছাড়া যে তারা তাদের ইহুদী ধর্মশাস্ত্র থেকে এইমাত্র একটি রচনাংশ শুনল। আরেকটি ভাববাণী, যেটা পাওয়া যায় *Psalms ২২, যা বর্ণনা করে যীশুর ক্রুশবিদ্ধকরণের দৃশ্য যেটা বর্ণনা করে এই ধরণের মৃত্যুদণ্ড যা ইতিহাসে এই ক্ষেত্রে অবিদ্যমান ছিল এবং যতক্ষণ না পর্যন্ত পরবর্তীতে পার্সিয়ানদের দ্বারা অভিব্যক্ত হয় যা চূড়ান্তভাবে রোমানগণ কর্তৃক গৃহীত হয়।

আবার, এটি ঐ ধর্মশাস্ত্রগুলো থেকে আরেকটি যা কিছু ইহুদী প্রথমবারের মতো শুনে তাৎক্ষণিকভাবে যীশু এবং তাঁর মৃত্যুর ভেতরে একটি সামঞ্জস্য হিসাবে দেখে। প্রকৃতপক্ষে, এটি একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মশাস্ত্র যেটাতে আমার ইহুদী স্ত্রী নিজে থেকে যীশুর প্রতি বিশ্বাস এনেছে।

ভবিষ্যদ্বাণীপূর্ণ সাক্ষ্যের বিবেচনায় আমি একজোড়া ঘটনার উল্লেখ করতে চাই যা বাইবেলের উৎসের বাইরে অনন্য হিসেবে স্বীকৃত হতে পারে এবং অনস্বীকার্যভাবে একটি ধর্মীয় পাঠ্যের প্রভাব ছাড়া অখণ্ডনীয় যা একাই আমাদের বলে কি ঘটেছে যা প্রকৃত ঘটনার পরে কিছু যুক্ত করার সম্ভাব্যতা অন্তর্ভুক্ত করে।

শুরুতে আমরা জানি যে পুরাতন পুস্তক হচ্ছে নতুন পুস্তকের চেয়েও পুরনো এবং সেপ্টুয়াজিন্ট এবং ডেড সী স্ক্রলের তারিখ স্থিরিকৃত হওয়ার কারণে এ নিয়ে কোন বিতর্ক নেই এবং এই কারণে এই পাঠ্য খ্রীস্টধর্মের আবিষ্কারের পূর্বে নয়। ইহুদী সম্প্রদায় এই নতুন চুক্তি যুগের আবির্ভাবের বহু আগে এই পাঠ্যের অভিজ্ঞতা লাভ করেছিল এবং ইহুদীরা এমনকি এটার ব্যাপারে চিন্তা করেনি যে এটা বাইবেলে বর্ণিত বিষয়ের সংযোজিত অংশ।

তথাপি ধার্মিক ইহুদীগণ কিছু প্রকৃত সমস্যা খুঁজে পায় এই পুরাতন পুস্তক ধর্মশাস্ত্রে এবং অধিকন্তু তারা তা পড়া এড়িয়ে চলেন বা তা নিজের বলে দাবী করেন বা তা বুঝতে এত কঠিন যে বিশেষত যখন এটা পাঠ্যের ভাববাণী হিসেবে যীশুর নিরীক্ষণের সম্ভাব্যতা আসে।

একটি বিষয় আমি বিস্তৃতভাবে আলোচনা করেছি অন্য একটি ব্লগে যা হচ্ছে দানিয়েলের সত্তর সপ্তাহ যেটা বর্ণনা করে একটি স্থির তারিখের ঐতিহাসিক সময়সূচি যা তৈরী করা বা পরিবর্তন করা যায় না যেটা বিশেষভাবে নির্দেশ করে সেই সময়ের দেবালয় ধ্বংসের দ্বারা যীশুর পদানুবর্তী হওয়া।

jesusandjews.com/wordpress/2009/06/19/jesus-the-messiah/

এছাড়াও, আরেকটি সাক্ষ্য এবং এই আধুনিক যুগে অন্যতম প্রধান অলৌকিক ঘটনা হচ্ছে ইসরায়েল রাষ্ট্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং একটি সম্পূর্ণ আত্তীকরণ ও ধ্বংসের সকল মতভেদের বিরুদ্ধে ইহুদী ব্যক্তিদের চলমান বিস্তার যেটা জেনেসিস ১৩:১৪,১৫ এর ভবিষ্যদ্বাণীপূর্ণ গুরুত্বকে নিশ্চিত করতে সাহায্য করছে যা আব্রাহামকে একটি প্রাচীন প্রতিজ্ঞা হিসেবে দেওয়া হয়েছিল তার বংশধরদের বিষয়ে যেন তারা চিরতরে ইসরায়েলের ভূমিতে নিবাসী হয়। এই ভাববাণী প্রায় ২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে দেওয়া হয়েছিল এবং এটা এখনো ২০২১ খ্রীস্টাব্দের জন্য প্রযোজ্য এবং তার পরেও।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের এই ঐতিহাসিক পুনর্জন্ম ছিল একটি স্বর্গীয় অলৌকিক ঘটনা যা সাক্ষ্য দেয় বহিষ্কার ও অভিবাসীর বিরোধী শক্তির ভেতরে ইসরায়েলের রক্ষা যার ফলে তদন্ত, ধর্মযুদ্ধ, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা এবং এমনকি নাৎসি হত্যাকাণ্ড প্রসূত এবং তথাপি তারা এখনো টিকে আছে এবং তাদের পৌত্তলিক ও জাতীয় পরিচিতি ধরে রেখেছে স্বতন্ত্র মানুষ হিসেবে এবং যার ফলে পুরোপুরিভাবে একীভূত নয় পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যান্য মানবগোষ্ঠীর সাথে যারা তাদের স্বদেশ হারিয়েছে। ইহুদীরা হয়তো অস্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুত কিন্তু কেবল প্রত্যাবর্তন করতে পারে। ঈশ্বর তাদের প্রদর্শন করতে স্থাপন করেছেন যেন পৃথিবী তাঁর প্রতিজ্ঞার মহিমা এবং মহত্ত্ব দেখতে পায় যা কোন অনুশোচনা ছাড়া হয়।

এই ছাড়াও শুধুমাত্র অলৌকিক ঘটনা শুনে যা ইহুদী লোকদের মধ্যে ঘটেছিল যেহেতু তারা তাদের মাতৃভূমি ধরে রাখতে লড়াই করেছিল তা তোমাকে একজন বিশ্বাসী করতে যথেষ্ট। দেখতে গেলে আরব দেশগুলোর সন্নিহিত হানাদার সৈন্যবাহিনী থেকে তাদের রক্ষার জন্য ঈশ্বরের হাত ছিল যখন তারা সংখ্যায় অধিক এবং সম্পূর্ণরূপে সশস্ত্র ছিল যা কি না বাইবেলের বাইরে একটি কাহিনী যেটা অনেকটা দাউদ এবং গোলিয়াথের কাহিনীর মতো। পৃথিবীতে অনেক মহান সভ্যতা এসেছে এবং গিয়েছে কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য ব্যর্থ হবে না। এই বিষয়ের পুনরাবৃত্তি দেখতে একটি সহায়ক নির্মিত চলচ্চিত্র হচ্ছে “Against all the Odds”।

বিজ্ঞান প্রসঙ্গে অনেকে চিন্তা করেছে যে আধুনিক বৈজ্ঞানিক যুগের অগ্রগতির সাথে বাইবেল বেমানান এবং তথাপি আমরা জানি যে অনেক বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক তাদেএ নিজ নিজ শৃঙ্খলাতে কাজ করছেন যেটার ন্যূনতমরূপে একটি আধ্যাত্মিক দর্শন আছে সেইসাথে তাদের একটি অংশ জুডিও-খ্রিস্টিয় বিশ্বাসের প্রতি সংলগ্ন। এখানে একটি লিংক আছে যাতে এইসব ব্যক্তিদের একটি আংশিক তালিকা দেওয়া হয়েছে।

www.christiananswers.net/q-eden/edn-scientists.html

উপসংহারে, বাইবেলের পাঠ্য বা বাইবেলের ঈশ্বর সম্পর্কিত যে প্রশ্নটি করেন তা কখনোই প্রমাণিত হতে পারে না, কিন্তু এটা আপনার ক্ষুধা যথেষ্ট বাড়ানো মানে মানুষের বাস্তবতার ক্ষুধার যন্ত্রণা মেটানো সন্তুষ্ট করার নিমিত্তে ঈশ্বরের বাক্যের খাবার ভর্তি থালা অনুসন্ধান করতে সাহায্য করবে। আমাদের সমস্যা হল আমাদের এমন একটি তৃণশয্যা রয়েছে যা স্রষ্টার কাছে রুচি পাওয়ার দিকে চূড়ান্ত নয়।  তবুও বাইবেল আমাদের বলে স্বাদ গ্রহণ করুন এবং দেখুন যে প্রভু ভালো।

ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়-Bengali

হিন্দু সম্পদ

যিশু এবং ইসলাম

Is The Bible Reliable

 

 

 

AMG’s Encyclopedia of Bible Facts, AMG Publishers, Chattanooga, Tennessee

Reprinted by permission. “Josh McDowell A Ready Defense, Josh McDowell and Bill Wilson, Copyright 1993, Thomas Nelson Inc. Nashville, Tennessee. All rights reserved.”

ইসলামে অর্ধচন্দ্রাকার চাঁদ ও নক্ষত্র

Saturday, February 13th, 2021

ইসলাম যেকোনো ধরনের পৌত্তলিকতার প্রভাব থেকে স্বাধীনতা দাবি করে যদিও এখনও সেখানে পৌত্তলিকতার প্রতীক ও অনুশীলন  অবশেষ আছে  পুরাকালীন অতীত থেকে এবং তা কি ইসলামের সামাজিক কাঠামোর সাথে একীভূত হয়েছে?

আমি পূর্বেই কা’বা সম্পর্কে আলোচনা করেছি এবং এখন আমি ইসলামিক প্রতিনিধিত্বের আরেকটি দৃশ্য উপস্থাপন করছি যেটা অর্ধচন্দ্রাকার চাঁদ এবং নক্ষত্রের সাথে সম্পর্কিত।

এইসব প্রতীকগুলো বিভিন্ন ইসলামিক দেশের সাথে সংযুক্ত যারা তাদের জাতীয় পতাকার উপরে এই পরিচয়চিহ্ন গ্রহণ করেছে এবং যেমন এটা তাদের মিনার ও মসজিদের উপরেও প্রদর্শিত হয়।

এই প্রতীকীবাদ ইসলামের আবির্ভাবের চেয়েও পুরনো এবং অমর দেহের পূজা যেমন আরবি দেবতা ‘হুবাল’ বা ‘চন্দ্র দেবতা’র সাথে সম্ভবত সম্পর্কযুক্ত যা কি না কা’বার সাথে সম্পৃক্ত।

এইসব চিত্র বিদেশি সংস্কৃতি বা আরব গোত্র থেকে উদ্ভূত হতে পারে কিন্তু তা সত্ত্বেও এটা খুব সম্ভাব্য পৌত্তলিক বিগ্রহ অর্থে অনুপ্রাণিত।

পৌত্তলিক সাংস্কৃতিক মূল্য থেকে ইসলাম পৃথক এটা দাবি করা প্রশ্নবিদ্ধ মনে হয়। অন্যের বিষয় থেকে ধার করার অনুশীলন যেন ‘এক ঈশ্বর’ এর অভিমতের সাথে বিদ্রুপাত্মক।

এই একই ঘটনা অন্যান্য অনেক ইসলামিক এলাকায় বিদ্যমান যেমন যেখানে স্থানীয় বিশ্বাস এবং লোকাচারবিদ্যা প্রায়ই মুহাম্মাদের উপদেশের সাথে সমন্বয় প্রচেষ্টার সংযুক্তি করে যা কিনা একটি মিশ্রণের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের প্রতি বিশ্বাসের শুদ্ধতা প্রতিষ্ঠিত হয়।

ঈশ্বরের সাথে কিভাবে সম্পর্ক রাখতে হয়-Bengali

হিন্দু সম্পদ

যিশু এবং ইসলাম

The Crescent Moon and Star of Islam